যশোর জেলা প্রশাসনের নান্দনিক আয়োজনকোটি কোটি মানুষের স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধন ঘিরে সারা দেশের মতো ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে যশোরেও। সেতু উদ্বোধনের ক্ষণকে স্মরণীয় করে রাখতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রস্তুতিও ব্যাপক।
ঐতিহাসিক দিনে ঐতিহাসিক ক্ষণের সাক্ষী হতে আজ প্রাণের টানে হাজারো মানুষের মহা মিলন ঘটবে যশোরের পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। টাউন হল মাঠকে সাক্ষী করা হবে এই মুহূর্তের। ঐতিহাসিক ক্ষণের সাক্ষী হতে সকাল সাড়ে নয়টায় সমগ্র যশোরের মানুষ হাজির হবেন টাউনহল মাঠে। রাতে আতশবাজির আলোকচ্ছটায় আলোকিত হবে যশোরের আকাশ। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলবে নানা অনুষ্ঠান।
পদ্মাসেতুর সাথে সাথে উন্নয়ন অগ্রযাত্রার দ্বার উন্মোচন হবে যশোরাঞ্চলেরও। এ কারণে যশোরের আয়োজনও ব্যাপক। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সরাসরি সম্প্রচার দেখতে টাউনহল মাঠে স্থাপিত হয়েছে এলইডি স্ক্রিন। সকালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে একই স্থানে সন্ধ্যা ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। নতুনত্বের চমকপ্রদ অনুষ্ঠান ভাবনায় সমগ্র আয়োজন হবে বিশেষ উপভোগ্য। যেখানে শহরের শ’শ’ শিল্পী অংশ নেবেন। ঢাকা থেকে আসবেন যশোরের কণ্ঠশিল্পী যারা নিজগুণে প্রিয় জেলার প্রতিনিধিত্ব করছেন সমগ্র দেশ তথা পৃথিবীতে।
জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ঐতিহাসিক এ দিনটিকে আরও বেশি উপভোগ্য ও স্মরণীয় করে রাখতে আতশবাজির আলোকচ্ছটার আয়োজন রয়েছে রাতে। তবে যশোরবাসীর জন্য এদিনে জেলা প্রশাসনের সবথেকে বড় উপহার ঐতিহাসিক তিনশ’ ৬০ দুয়ারী যশোর কালেক্টরেট ভবনকে আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন রূপে উপস্থাপন। বেশ কয়েকদিন আগেই নতুন রূপে রাতের যশোর কালেক্টরেট ভবনকে পেয়েছেন যশোরবাসী।
ঐতিহ্য আর আধুনিকতার অপূর্ব সমন্বয়ে নান্দনিক আর্কিটেকচারাল লাইটিং এ সাজানো হয়েছে যশোরের গর্ব ঐতিহাসিক এ ভবনকে। নতুন সাজের নতুন এ রূপের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে আজ। এ বছরের শুরুতে পুরো যশোর কালেক্টরেট চত্বরকে দৃষ্টিনন্দন করে তোলার বৃহৎ কর্মযজ্ঞ শুরু হলেও সম্প্রতি শেষ হয়েছে সমগ্র ভবনের আর্কিটেকচারাল লাইটিং এর কাজ। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে গণপূর্ত বিভাগ যশোর এ কাজ করেছে।