ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের ফলে দুই পরাশক্তির মধ্যে পরস্পরের বিরুদ্ধে বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু হওয়ার ফলে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বেইজিং ও ওয়াশিংটনের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে। যুক্তরাষ্ট্রে অধ্যয়নরত চীনা শিক্ষার্থীদের ভিসা ‘আগ্রাসীভাবে’ বাতিলের ঘোষণা দিয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও গত বুধবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, এ পদক্ষেপে এমন শিক্ষার্থীরাও অন্তর্ভুক্ত হবেন যাদের চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) সাথে যোগাযোগ রয়েছে কিংবা যারা ‘সংবেদনশীল বা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে’ পড়াশোনা করছেন। তিনি আরো জানান, ভবিষ্যতে চীন ও হংকং থেকে আসা শিক্ষার্থীদের ভিসা যাচাইয়ের প্রক্রিয়া আরো কঠোর করা হবে।

বিবিসি বলছে, ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের ফলে দুই পরাশক্তির মধ্যে পরস্পরের বিরুদ্ধে বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু হওয়ার ফলে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বেইজিং ও ওয়াশিংটনের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে।

এর আগে, সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কূটনীতিক রুবিও বিশ্বজুড়ে মার্কিন দূতাবাসগুলোকে নতুন বিদেশী শিক্ষার্থীদের ভিসা অ্যাপয়েন্টমেন্টের সময়সূচী নির্ধারণ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন। পররাষ্ট্র দফতর এ ধরনের আবেদনকারীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যাচাই-বাছাই সম্প্রসারণের প্রস্তুতি নিচ্ছে। আনুমানিক হিসেব অনুযায়ী, গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় দুই লাখ ৮০ হাজার চীনা শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছিলেন।

আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে চীন সবসময় শীর্ষে থাকলেও মহামারি ও কূটনৈতিক টানাপড়েনের কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তাদের সংখ্যা কমেছে। ট্রাম্প প্রশাসন এর আগেও হাজার হাজার বিদেশী শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল ও বহিষ্কারের উদ্যোগ নিয়েছে। তবে দেশটির আদালত সেগুলোর অনেকটাই আটকে দিয়েছে।

এছাড়া দেশের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় বরাদ্দ দেয়া শত শত মিলিয়ন ডলারের তহবিলও ফ্রিজ করে দেয়া হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কিছু নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়, বিশেষ করে হার্ভার্ডকে অতিমাত্রায় উদারপন্থী মনে করেন। ট্রাম্পের অভিযোগ, তারা অভ্যন্তরীণভাবে ইহুদি বিদ্বেষ রুখতে ব্যর্থ হয়েছে। সূত্র : বিবিসি।