যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই অভিবাসন নীতিতে কড়াকড়ি বেড়েছে। এর প্রভাব পড়ছে ভারতীয় অভিবাসী ও শিক্ষার্থীদের ওপরও। চলতি বছরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে অন্তত ১০৮০ জন ভারতীয় নিজ দেশে ফিরে এসেছেন বা ফেরত পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশই বাণিজ্যিক বিমানের মাধ্যমে ফিরেছেন বলে জানিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসনসংক্রান্ত জটিলতা, অবৈধ বসবাস, কিংবা অবৈধ ভ্রমণের কারণে এসব ভারতীয়দের ফেরত পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ মে) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এই ইস্যুতে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি এবং যাদের বিষয়ে বিশদ তথ্য পেয়েছি, তাদের ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে।” তিনি আরও জানান, ফেরত আসা ব্যক্তিদের মধ্যে প্রায় ৬২ শতাংশই এসেছেন বাণিজ্যিক ফ্লাইটে।
রণধীর জয়সওয়াল জানান, ট্রাম্প প্রশাসন শিক্ষার্থী ও এক্সচেঞ্জ ভিসা আবেদনকারীদের বিষয়ে নতুন নির্দেশিকা চালু করেছে, যা কিছু সমস্যার সৃষ্টি করেছে। তিনি বলেন, “ভারত সরকার বিদেশে অধ্যয়নরত ভারতীয় শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয় এবং এ বিষয়ে সবসময় সতর্ক নজর রাখে।” হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও মার্কিন প্রশাসনের মধ্যে সাম্প্রতিক বিরোধের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের স্বার্থে ভারত এ বিষয়ে সব আপডেট পর্যবেক্ষণ করছে।
পলিটিকোর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসন এখন স্টুডেন্ট ভিসা আবেদনকারীদের সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল যাচাই-বাছাইয়ের পরিকল্পনা করছে। এর ফলে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বিশ্বব্যাপী মার্কিন দূতাবাসগুলোকে নির্দেশ দিয়েছেন, নতুন করে আর কোনো সাক্ষাৎকারের সময়সূচি না নিতে। এতে ভারতসহ বিভিন্ন দেশের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে উদ্বেগ আরও বাড়ছে।
এই পরিস্থিতি স্পষ্টভাবে ইঙ্গিত করছে, অভিবাসন নীতি ও ভিসা ব্যবস্থায় ট্রাম্প প্রশাসনের কড়াকড়ি ভবিষ্যতে আরও বাড়তে পারে। ফলে, বিদেশে পড়তে যাওয়া কিংবা স্থায়ীভাবে বসবাস করার পরিকল্পনা যাঁদের রয়েছে, তাঁদের জন্য আগাম সতর্কতা ও তথ্যভিত্তিক প্রস্তুতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। তথ্যসূত্র : এনডিটিভি
আপনার মতামত লিখুন :