

নেতানিয়াহুর নির্দেশে গাজায় নতুন হামলা, নিহত ২০
ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধবিরতির মধ্যেই নতুন করে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। মঙ্গলবারের এই হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজা সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষ।ইসরায়েল দাবি করেছে, ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাস তাদের বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়েছে। এর জেরেই ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সেনাবাহিনীকে গাজায় ‘শক্তিশালী পাল্টা হামলা’ চালানোর নির্দেশ দেন। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের পরামর্শের পর নেতানিয়াহু অবিলম্বে গাজায় তীব্র হামলার নির্দেশ দিয়েছেন।
মঙ্গলবারের বিমান হামলায় গাজার রাজধানীর উপকণ্ঠ সাবরা এলাকায় একটি বাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ফেলা হয়। হামলা হয় আল–শিফা হাসপাতালের আশপাশে ও পশ্চিমের শাতি শরণার্থীশিবিরেও। কামান থেকে গোলাবর্ষণ করা হয় মধ্য গাজার দেইর আল–বালাহ এলাকার বিভিন্ন স্থানে।
ইসরায়েলি গণমাধ্যম জানিয়েছে, দক্ষিণ গাজার রাফা এলাকায় ইসরায়েলি সেনা ও হামাস যোদ্ধাদের মধ্যে তীব্র গোলাগুলি হয়েছে। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ইসরায়েলি বাহিনীর ওপর হামলার জন্য হামাসকে চড়া মূল্য দিতে হবে।
ইসরায়েল অভিযোগ করেছে, হামাস যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। এই অভিযোগের পরই গাজায় নতুন হামলার নির্দেশ দেন নেতানিয়াহু। অন্যদিকে, হামাসের সামরিক শাখা কাসেম ব্রিগেড জানায়, ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করায় তারা একজন ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া স্থগিত করেছে। সংগঠনটি দাবি করেছে, ইসরায়েলের সামরিক তৎপরতা জিম্মিদের মরদেহ উদ্ধারে বাধা সৃষ্টি করছে।
গত ৯ অক্টোবর মিসরের শারম আল–শেখে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় গাজায় যুদ্ধবিরতির চুক্তি সই হয়। ১০ অক্টোবর থেকে সেটি কার্যকর হয়।
তবে যুদ্ধবিরতির পরও ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ১১৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আর ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া সংঘাতে এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৬৮ হাজার ৫২৭ জন ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছেন এক লাখ ৭০ হাজারের বেশি মানুষ।
২০২৩ সালের ওই দিন হামাসের যোদ্ধারা ইসরায়েলে ঢুকে প্রায় ১ হাজার ২০০ মানুষকে হত্যা করে ও ২৫১ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায়। এরপর থেকেই ইসরায়েল গাজায় পূর্ণমাত্রায় সামরিক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। নেতানিয়াহুর নতুন নির্দেশে এই যুদ্ধের আগুন আবারও জ্বলে উঠেছে।
আপনার মতামত লিখুন :