গত মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর এলাকায় তিন দিনের মধ্যে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। স্বরাষ্ট্র সচিব, স্থানীয় সরকার সচিব, আইজিপি, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের আদালতের এ আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
এর প্রতিবাদে রিকশাচালকরা ঢাকার মিরপুর-যাত্রাবাড়িসহ বিভিন্ন থানা এলাকায় বিক্ষোভ করেন। তারা রাস্তা অবরোধ করে জন অশান্তির সৃষ্টি করে। বিভিন্ন এলাকায় হামলা ও ত্রাস সৃষ্টি করে।
যাত্রাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ফারুক আহম্মেদ জানান, গতকাল দুপুর ১২টার দিকে মূল সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা চালানোর দাবিতে দয়াগঞ্জ মোড় অবরোধ করেন রিকশাচালকরা। সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হলে তাদের অনুরোধ করা হয় সড়ক ছেড়ে দেওয়ার জন্য।
তবে তারা পুলিশের অনুরোধ না শুনে উল্টো পুলিশের ওপর আক্রমণ চালায়। এতে করে দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, রাজধানীতে বর্তমানে প্রায় ১৩ লাখ রিকশা চলাচল করছে। যার বড় একটি অংশ ব্যাটারিচালিত। পুরাতন প্যাডেলচালিত অনেক রিকশায় ব্যাটারি লাগিয়ে যান্ত্রিক করা হচ্ছে। ঢাকা মহানগরের প্রায় সর্বত্র ব্যাটারিচালিত রিকশার চলাচল রয়েছে। রিকশাচালকদের কোনো রকম প্রশিক্ষণ ও নিবন্ধন ব্যবস্থা নেই।
এ কারণে রাজধানীতে নিয়মিত ঘটছে দুর্ঘটনা। এতে অনেকে আহত হচ্ছেন, প্রাণহানির ঘটনাও ঘটছে। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন কয়েক দফা অভিযান চালালেও থেমে নেই অবৈধ ব্যাটারিচালিত রিকশার দৌরাত্ম্য।
রাজধানীর মূল সড়কের চেয়ে অলিগলিতে ব্যাটারিচালিত রিকশার চলাচল বেশি। সুযোগ পেলে মূল সড়কেও দাপিয়ে বেড়ায় এসব রিকশা। রাজধানীর খিলগাঁও, মান্ডা, বাসাবো, মানিকনগর, রামপুরা, বাড্ডা, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী, কদমতলী, সবুজবাগ, শ্যামপুর, ডেমরা, মোহাম্মদপুর, বছিলা, উত্তরা, ভাটারা, দক্ষিণখান, উত্তরখান, ময়নারটেক, মিরপুর, পল্লবী এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশার সংখ্যা বেশি।