সংগৃহীত
আকস্মিক এই বিমান দুর্ঘটনায় বিমানের পাইলট ফ্লাইট লেফটেনেন্ট মো: তৌকির ইসলামসহ ২৩ জন নিহত হয়েছেন। বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর এফ-৭ বিজিআই প্রশিক্ষণ বিমান রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিধ্বস্ত হয়েছে। আকস্মিক এই বিমান দুর্ঘটনায় বিমানের পাইলট ফ্লাইট লেফটেনেন্ট মো: তৌকির ইসলামসহ ২৩ জন নিহত ও ১৬৮ জন আহত হয়েছেন।
সোমবার (২১ জুলাই) দুপুর সোয়া ১টার দিকে বিমান বাহিনীর যুদ্ধবিমানটি বিধ্বস্ত হয়।
এদিন সন্ধ্যায় আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, এখন পর্যন্ত ২০ জন নিহত হয়েছেন, আর আহত হয়েছেন ১৭১ জন।
আইএসপিআরের তথ্য অনুযায়ী, কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন আটজন। জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন আছেন ৭০ জন। সেখানে দু’জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ১১ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে। চিকিৎসাধীন আছেন আরো ১৪ জন।
কুর্মিটোলা জেনারেল হসপিটালে দু’জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে। সেখানে কোনো চিকিৎসাধীন নাই। উত্তরার লুবনা জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড কার্ডিয়াক সেন্টারে দু’জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে। চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১১ জন। উত্তরা আধুনিক হাসপাতালে একজনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে। চিকিৎসাধীন আছেন ৬০ জন। উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন একজন।
আইএসপিআর জানায়, সন্ধ্যার পর বিমানের ধ্বংসস্তূপের নিচে থেকে ১২ বছরের এক কিশোর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে রাত সাড়ে ১১টার দিকে আরো তিনজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন জাতীয় বার্ন প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আবাসিক চিকিৎসক ডা: শাওন বিন রহমান।
তিনি জানান, রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাহারিন চৌধুরী (৪০), আফনান ফাইয়াজ (১৪) ও আব্দুল্লাহ সামিন (১৪) নামে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি আরো জানান, এর মধ্যে মাহারিন চৌধুরী মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক। তিনি উত্তরা এক নম্বর সেক্টরের ১২ নম্বর রোডে ১০ নম্বর বাসার বাসিন্দা মহিতুর রহমান চৌধুরীর মেয়ে।