রাজধানীর নাগরিক সেবায় ৭ মন্ত্রণালয় ও ৫৪ প্রতিষ্ঠান, তারপরও পা ফেললেই ভোগান্তি


Sarsa Barta প্রকাশের সময় : জানুয়ারি ৩১, ২০২৫, ৮:২৯ পূর্বাহ্ণ /
রাজধানীর নাগরিক সেবায় ৭ মন্ত্রণালয় ও ৫৪ প্রতিষ্ঠান, তারপরও পা ফেললেই ভোগান্তি

রাজধানী ঢাকাকে বলা হয় ‘মেগা সিটি, ‘স্মার্ট সিটি’, ‘মেট্রাপলিস’ এবং ‘ডিজিটাল রাজধানী। গ্রামাঞ্চলের মানুষ কর্মসংস্থানের জন্য যে ভাবে রাজধানীমুখি হচ্ছে এই শ্রোত চলতে থাকলে জাতিসংঘের বার্তা হচ্ছে ২০৫১ সালে বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ৫৮ শতাংশই নগর এলাকায় বাস করবে। বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে নগরে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ৩ দশমিক ১। 

২০১১ সালে দেশের নগরগুলোয় বাস করত ২৮ শতাংশ মানুষ, ২০২০ সালে এসে দাঁড়ায় তা ৩৮ শতাংশে। আর নগরবাসীর বেশির ভাগ বাস করবে ঢাকায়। কারণ সব শ্রেণি-পেশার রুটিরুজির ‘কেন্দ্রস্থল’ এই ঢাকাই। ফলে, উপায়ন্তর না থাকায় প্রতিদিনই কাজের সন্ধানে, বেঁচে থাকার তাগিদে এ নগরে ভিড়ছেন বহু মানুষ। প্রতিনিয়ত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে, পরিষেবা থেমে থাকছে আগের জায়গাতেই।

এই পরিষেবা পেতেও পদে পদে খেতে হয় হোঁচট। দুর্নীতি, অনিয়ম, দায়িত্বহীনতা, অব্যবস্থাপনাকে ভোক্তা- সেবাগ্রহীতারা নিয়তি বলেই মেনে নিয়েছেন! ঢাকার সেবায় আছে ৭টি মন্ত্রণালয় ও ৫৪টি প্রতিষ্ঠান। ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের আগে ছিলেন দুইজন মেয়র। অথচ মহানগরীর চিত্র কেমন? রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা ‘ঘর হতে দুই পা ফেলিয়া/ একটি ধানের শিষের ওপরে একটি শিশিরবিন্দু’ নয়, ঘর থেকে দুই পা ফেললেই ধানের শিষের ওপরে একটি শিশিরবিন্দ নয় নাগরিকরা দুর্ভোগে পড়েন।

ঢাকার চারদিকের নদ-নদীকে কেবল ‘নাম’ দিয়ে চিনতে হয়! চারদিকে শুধু দালান আর দালান। খোলা জায়গা নেই, নালা-নর্দমা নেই, খেলার মাঠ নেই। নদী-খাল ভরাট করে, জলাশয় হাপিস করে, গাছপালা উজাড় করে, খাসজমি, নদীতীর দখল করা হচ্ছে; এমনকি ইতিহাস-ঐতিহ্যের সাক্ষী পুরাকীর্তিও বাদ যাচ্ছে না দখল থেকে। প্রতিদিন প্রায় বিশ্বের সবচেয়ে বায়ুদূষণের শহরের তকমা পাচ্ছে ঢাকা।

জানতে চাইলে নগর পরিকল্পনাবিদ আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, নগর এলাকায় নাগরিক সুবিধাদির পরিমাণগত ও গুণগত মান দুর্বল হয়ে পড়েছে। যানজট ও পানিবদ্ধতা নগর এলাকার নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দেখা দিয়েছে। নগর এলাকার পরিকল্পনা ও উন্নয়নকে টেকসই ও নগরকে বাসযোগ্য করতে তরুণদের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন ভাবনায় আরো ঘনিষ্ঠভাবে সম্পৃক্ত করা প্রয়োজন। নগর পরিকল্পনা প্রণয়ন, উন্নয়ন প্রকল্প নির্ধারণ, সিটি করপোরেশন ও পৌর এলাকার উন্নয়ন বাজেট বরাদ্দ প্রক্রিয়ায় বৈষম্যহীন নগরায়ন ও নগর উন্নয়ন নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

হাজারো সমস্যায় জর্জরিত ঢাকাবাসী। প্রতিনিয়তই নানা সমস্যার মুখোমুখী হয়ে চলতে হয় তাদের। সীমাহীন ভোগান্তি পোহাতে পোহাতে কষ্টে পাথর নগরবাসীর। যেন এই নগর মানুষের নয়। রাজধানীবাসীর দুর্ভোগের শেষ নেই। মশার প্রতিনিয়ত আক্রমণে কাটে রাত-দিন। যানজটে পথে আটকে থাকতে হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা। রাস্তা সংস্কার ও মেরামতের নামে ফেলে রাখা হয় দীর্ঘদিন। এসব ভাঙাচোরা রাস্তা দিয়ে চলতে হয় কষ্ট করে। দীর্ঘদিন এসব কাজ ফেলে রাখলেও কেউই নজর দিচ্ছে না। রাজধানীতে দিন দিন বেড়েই চলেছে ডেঙ্গু প্রকোপ।

মশার আক্রমণ ক্রমাগত বাড়লেও নেই সেই তুলনায় প্রতিরোধ ব্যবস্থা। দুই সিটি করপোরেশন যেন ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কাজই করছে না। অনেক এলাকাতে দীর্ঘদিন ধরে মশা নিধনের ওষুধ ছিটানো হচ্ছে না। এমন অভিযোগ করছেন সাধারণ নাগরিকরা। মশার কামড়ে দুর্বিষহ জীবন, বেহাল সড়ক, দূষণ, শব্দদূষণ, যানজট ও ময়লার শহরে পরিণত হয়েছে। প্রায় আড়াই কোটি মানুষের বসবাস এই শহরে ঘর থেকে বের হলেই ভোগান্তি। যেখানে-সেখানে পার্কিং করে যাত্রী উঠানামা হচ্ছে। সবখানেই বিশৃঙ্খল পরিবেশ। ফুটপাথ থেকে প্রধান সড়ক সবই এখন দখল।

সড়কের মেরামত কাজে স্থবিরতার কারণে ঢাকা যেন হয়ে পড়ে ক্ষতবিক্ষত। হাসিনা সরকারের পতনের পর এই পরিস্থিতি যেন আরো ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেছে। সেবা সংস্থার ও সড়ক উন্নয়ন কাজে এসেছে স্থবিরতা। মূল সড়ক, অধিকাংশ অলিগলির সড়কের অবস্থাই বেহাল। আগস্টে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর আত্মগোপনে আওয়ামীপন্থী সব মেয়র-কাউন্সিলর। যার একটি বড় প্রভাবও রয়েছে সড়ক সংস্কারে। হাসিনা সরকারের পতনের পর সব সড়কই আগের মতোই নির্মাণ কাজ স্থবির হয়ে পড়ে আছে।

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদে এখনো নেই দায়িত্বশীল কর্মকর্তা। বিভাগীয় প্রধানসহ শীর্ষ গুরুত্বপূর্ণ পদ শূন্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি)। বদলী-পদোন্নতির কারণে এসব পদ ফাঁকা থাকলেও করপোরেশনের নিজস্ব জনবল দিয়ে আপাতত কাজ চালিয়ে নিচ্ছে সংস্থা দুটি। ফলে ব্যাহত হচ্ছে নাগরিক সেবা। স্থবির হয়ে পড়েছে উন্নয়নমূলক কাজ। শীর্ষ পর্যায়ের পদগুলো শূন্য থাকায় নির্দেশ-আদেশসহ কাজকর্মেও অনুমোদনসহ নজরদারী-খবরদারী করার মতো কেউ নেই।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার তুমুল আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের সব সিটি করপোরেশনের মেয়রদের অপসারণ করা হয়। এর আগে ডিএসসিসির মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস পালিয়ে দেশ ছাড়েন। অন্যরা গা ঢাকা দেন। এ অবস্থায় এসব সিটি করপোরেশনে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়। এখন পর্যন্ত ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে সরকারের দু’জন অতিরিক্ত সচিব প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে এখন পদ খালি আছে। একই অবস্থা ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনেরও।

দুই সিটি করপোরশেনে নাগরিক সেবার বালাই নেই। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বেশির ভাগ সড়কই এখন ভাঙাচোরা। একদিকে খানাখন্দ অন্যদিকে এবড়োখেবড়ো। বেশ কিছু এলাকায় সড়কের অবস্থা একেবারেই বেহাল। আর বিভিন্ন স্থানে সড়ক খোঁড়াখুঁড়ি তো চলছেই। অপরিকল্পিত খোঁড়াখুঁড়িতে নগরবাসীর ভোগান্তি যেন ছাড়ছে না। এছাড়া কিছু উন্নয়ন প্রকল্পের ধীরগতির কারণে জনভোগান্তি চরমে উঠেছে। উন্নয়নমূলক কাজের পাশাপাশি শুষ্ক মৌসুমে ঢাকা মহানগরীতে ধূলা দূষণের প্রকোপ অত্যন্ত বেড়ে যায়।

বর্তমানে রাজধানীতে চলমান বিভিন্ন উন্নয়নমূলক নির্মাণ কাজের কারণে ধূলোর দুর্ভোগ অনেক বেশি পোহাতে হচ্ছে নগরবাসীকে। রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে দীর্ঘদিন ধরে রাতে জ্বলে না অনেক বাতি। ফলে সন্ধ্যা নামলেই অন্ধকারাচ্ছন্ন সড়কে চলতে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা ও পথচারীদের নানান সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এ ছাড়া অন্ধকার পরিবেশের কারণে বেড়েছে অপরাধ ও দুর্ঘটনার ঝুঁকিও। ড্রেনেজ ব্যবস্থার আরও অবনতি হয়েছে। বেশিরভাগ ড্রেনেই ঢাকনা খোলা ময়লা-আবর্জনায় ভরা।

এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে বিশ্বের শহরগুলোর তালিকায় বায়ুদূষণে গতকাল ২৪৫ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে এসেছে ঢাকা। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় দেখা যায় ঢাকার বাতাসের মান ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে রয়েছে। এদিন ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা (পিএম ২.৫)-এর পরিমাণ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মানদন্ডের চেয়ে প্রায় ৩৪ গুণ বেশি রয়েছে।

এ সময় ঢাকার মার্কিন দূতাবাস এলাকা (৭৭০), গোড়ান এলাকা (৭১২), গুলশান লেকপার্ক এলাকা (৬৫১) ও সাভারের হেমায়েতপুর এলাকা (৩৬২) বাতাসের মান ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ পর্যায়ে রয়েছে। বায়ুদূষণে বিশ্বের শহরগুলোর তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ভারতের দিল্লি। ৩৪৫ একিউআই স্কোর নিয়ে শহরটির বাতাসের মান ঝুঁকিপূর্ণ পর্যায়ে রয়েছে। তালিকায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা (২৪৫) ও উগান্ডার শহর কাম্পালা (২০১)। শহর দুটির বাতাসের মান অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে।

পরিবেশষজ্ঞরা বলছেন, রাজধানীর বায়ুতে গ্যাসের কারণে দূষণের মাত্রা বেড়েছে। শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে এই পদার্থগুলোই শরীরে প্রবেশ করে। ফলে শুরুতেই ক্ষতিগ্রস্ত হয় ফুসফুস। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বায়ুদূষণের মাধমে বায়ুবাহিত রোগ হতে পারে। শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া, ক্রনিক অ্যাজমা, ব্রংক্রাইটিস হতে পারে। অন্যদিকে দূষিত বায়ুর মাধ্যমে ক্ষতিকর পদার্থ নাক ও মুখ দিয়ে ফুসফুসে প্রবেশ করে। ফুসফুসে অক্সিজেনের মাধ্যমে সারা শরীরের রক্ত এসে পিওর হয়ে সাপ্লাই হয়।

ভাঙাচোরা ও গর্তে ভরা সড়কে কাজ বন্ধ রয়েছে। মতিঝিল টিকাটুলির মূলসড়কে রয়েছে বড় বড় গর্ত। মধুমিতা সিনেমা হলের সামনের সড়কটি অর্ধেক কাজ ফেলে রাখা হয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। সাদেক হোসেন খোকা কমিউনিটি সেন্টারের সামনের সড়কে বড় বড় গর্ত করে কাজ ফেলে রাখা হয়েছে। যাত্রাবাড়ী মোড় থেকে দয়াগঞ্জ সড়কে ছোট-বড় গর্ত। খিলগাঁও মধ্যপাড়া এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে রাস্তা কেটে রাখা হয়েছে। খিলগাঁও থেকে সবুজবাগ, মুগদা, মানিকনগর, গোলাপবাগ হয়ে সায়েদাবাদ পর্যন্ত সড়ক চলাচল অনুপযোগি।

পুরান ঢাকার বিভিন্ন সড়কগুলোও খুঁড়ে রাখা হয়েছে। মৌচাক, হাজারীবাগ, ধানমন্ডি, আজিমপুর, পলাশী, লালবাগের বিভিন্ন রাস্তার অবস্থাও ভালো নয়। বাড্ডা, নদ্দা, কুড়িলে সড়ক অর্ধেকই খোঁড়া। বসুন্ধরা ওভারব্রিজ গেট থেকে জোয়ার সাহারা সড়ক বেহালদশা। তেজগাঁও সাতরাস্তা, কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট, ইন্দিরা রোড, মিরপুরের বিভিন্ন সড়কসহ নতুন ওয়ার্ডগুলোর বিভিন্ন সড়কে খানাখন্দ। মোহাম্মদপুর এলাকার বেশির ভাগ সড়কে খোঁড়াখুঁড়ি।

ভুক্তভোগীরা বলছেন, রাস্তায় যানজট, ভাঙাচুরা, ময়লা-আবর্জনা, ফুটপাথ দখল করে দোকান, ধূলাবালি, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাসহ নানা দুর্ভোগে বসবাস করতে হচ্ছে। এই শহর এখন আর আগের মতো নিরাপদ নয়। প্রতিনিয়তই ছিনতাইয়ের মতো ঘটনা ঘটছে। পথচারীদের জন্য তৈরি হলেও রাজধানীর ফুটপাথগুলোতে হেঁটে চলাই মুশকিল। এছাড়া মশার কামড়ে বাসা-বাড়ি, অফিসে থাকা বড় কষ্টকর।

বেসরকারি চাকরিজীবী আশিকুর রহমান কাজল বলেন, অতিরিক্ত যানজট, নানা নাগরিক ভোগান্তি এর ওপর নতুন করে যুক্ত হয়েছে ধূলোর দুর্ভোগ। রাস্তায় হেঁটে যাওয়ার সময় নাকে মাস্ক পরতে হয়। আর বাতাসে ধূলো ছড়িয়ে পড়ায় জামা কাপড়, চুল, ত্বকে ধূলোর প্রলেপ পড়ে যায়। এসব দুর্ভোগ থেকে নগরবাসী কি নিস্তার পাবে না? সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষর উচিত নাগরিকদের এমন দুর্ভোগ লাঘবে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) কর্মকর্তারা বলছেন, নগরবাসীর ভোগান্তি লাঘব করা আমাদের অন্যতম লক্ষ্য। ইতোমধ্যে অনেকগুলো সড়কের খানাখন্দ ও বড় বড় গর্ত মেরামত করতে সক্ষম হয়েছি। মশক নিয়ন্ত্রণে দৈনন্দিন নিয়মিত কার্যক্রমের পাশাপাশি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ওয়ার্ডে বিশেষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও মশক নিধন কার্যক্রম তথা চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) কর্মকর্তারা বলছেন, ঢাকা শহরকে বাসযোগ্য ও নিরাপদ শহরে পরিণত করতে নানা ধরনের বর্জ্য সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় আনতে হবে। যত্রতত্র ময়লা ফেলা বন্ধ করতে হবে। বর্জ্য পরিষ্কার ডিএনসিসির একটি নিয়মিত কাজের অংশ। প্রতিদিন আমাদের পরিচ্ছন্ন কর্মীরা রাস্তা, ফুটপাথ ও গৃহস্থালির বর্জ্য এবং খালের বর্জ্য অপসারণ করে। খাল পরিষ্কার কার্যক্রমের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। স্থায়ীভাবে টেকসই উন্নয়নের জন্য রাস্তা ও ড্রেনেজ নির্মাণের কাজ চলমান। রাস্তা ও ড্রেনেজের কাজগুলো করতে গিয়ে জনগণের কিছুটা ভোগান্তি হয়েছে।