রাজধানীর বনানীতে ছুরিকাঘাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খুন!


Sarsa Barta প্রকাশের সময় : এপ্রিল ২০, ২০২৫, ৬:৫০ পূর্বাহ্ণ /
রাজধানীর বনানীতে ছুরিকাঘাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খুন!

পারভেজ মোশারফ|ছবি- সংগৃহীত

অভিযোগ উঠেছে, একই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ও দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী মেহরুল ইসলাম, মহাতির হাসান ও আবু তোহর গিফ্ফারি প্রায় ১৫ জন সন্ত্রাসীকে ডেকে এনে পারভেজকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে।

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজধানীর বনানীতে পারভেজ মোশারফ (২৩) নামে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। শনিবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে বনানীর স্টার টাওয়ারের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযোগ উঠেছে, একই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ও দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী মেহরুল ইসলাম, মহাতির হাসান ও আবু তোহর গিফ্ফারি প্রায় ১৫ জন সন্ত্রাসীকে ডেকে এনে পারভেজকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে।

নিহত পারভেজ মোশারফ বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী। তিনি ময়মনসিংহের ভালুকা বিরুনিয়া ইউনিয়নের কাইচান গ্রামের মো: জসিম মিয়ার ছেলে।

একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাজহারুল ইসলাম জানান, গতকাল বিকেল সাড়ে ৪টায় পারভেজ পাশেই একটি ক্যান্টিনে সিঙ্গারা খেতে যায়। সেখানে ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্স এর দু’ নারী শিক্ষার্থী সিঙ্গারা খেয়ে গেলে তারা পারভেজের কাছে জানতে চায় তাদের দিকে তাকিয়ে হাসছে কেনো। তখন তারা প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীকে ফোন করে ডেকে আনে। এ সময় তাদের মধ্যে হট্টগোল বাঁধে। এরপর প্রক্টোরিয়াল বোর্ডের সদস্যরা এই দৃশ্য দেখে সবাইকে ক্যাম্পাসে ডেকে এনে মীমাংসা করে দেয়।

এরপর পারভেজ বনানীর স্টার টাওয়ারের সামনে গেলে ওই তিন শিক্ষার্থী সন্ত্রাসীদের খবর দিলে প্রায় ১৫ জন সন্ত্রাসীরা এসে পারভেজের শরীরে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় পারভেজকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসকরা পারভেজকে মৃত ঘোষণা করেন।

মাজহারুল ইসলাম আরো জানান, ঘটনার মীমাংসার পরও একটি ভার্সিটির প্রথম ও দ্বিতীয় সেমিস্টারের তিন শিক্ষার্থী পরিকল্পিতভাবে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটায়।

বনানী থানার ওসি মো: রাসেল সারোয়ার বলেন, ‘নিহত শিক্ষার্থী জাহিদুল পারভেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ভবনের সামনে সিঙ্গারা খাচ্ছিলেন। এ সময় ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্স-এর দু’ ছাত্রী প্রাইম এশিয়ার ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থীদের সাথে সেখানে আসেন। এ সময় ওই ছাত্রীদের নিয়ে হাসাহাসির জেরে এ ঘটনা ঘটে।’

ওসি আরো জানান, ‘বিষয়টি নিয়ে প্রাইম এশিয়ার ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থীরা পারভেজকে জেরা শুরু করেন। একপর্যায়ে তারা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। জাহিদের বুকে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বর্তমানে তার লাশ কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে রাখা হয়েছে। নিহতের পরিবারকে খবর দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি।’

কুর্মিটোলা হাসপাতালে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তা এসআই মওদুদ বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে দু’টি বিশ্ববিদ্যালয় (স্কলার্স ও প্রাইম এশিয়া) শিক্ষার্থীদের মধ্যকার দ্বন্দ্বের বিষয়টি সামনে এসেছে। আমরা তদন্ত করছি।’

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর ফারুক হোসেন জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।