ঘুম ভাঙলো ওয়েস্ট ইন্ডিজের। স্বরূপে দেখা দিলো ক্যারিবীয়রা। সেন্ট লুসিয়ায় বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে পরাস্ত করলো থ্রি লায়ন্সদের। ততক্ষণে অবশ্য বেশ দেরিই হয়ে গেছে। টানা তিন ম্যাচ জিতে সিরিজ আগেই নিজেদের করে নিয়েছে ইংল্যান্ড।
রোববার পাঁচ ম্যাচ সিরিজের চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ইংল্যান্ড। আগেই সিরিজ নিশ্চিত করে ফেলায় এই ম্যাচটা ছিল কেবল নিয়ম রক্ষার। যেখানে ৫ উইকেটের সান্ত্বনার জয় পেয়েছে ক্যারিবীয়রা।
আজ সেন্ট লুসিয়ায় যেন রান বন্যা হয়। দুই দল মিলে তুলে ৪৩৯ রান, ছক্কা আসে ৩২টি। যেখানে টসে হেরে আগে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ২১৮ রান তুলে ইংল্যান্ড। জবাবে ১ ওভার হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
দেশের মাঠে এই প্রথম দুই শ’ রান তাড়ায় জিতল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সব মিলিয়েও যা মাত্র দ্বিতীয়বার। ২০১৫ সালে জোহানেসবার্গে দক্ষিণ আফ্রিকার ২৩১ রান তাড়ায় জিতেছিল তারা।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা ইংল্যান্ডের শুরুটাও ছিল ভালো। উদ্বোধনী জুটিতে ৫ ওভারে ৫৪ রান তোলেন ফিল সল্ট ও উইল জ্যাকস। ১২ বলে ২৫ করে বিদায় নেন জ্যাকস। এরপর সল্ট ও জস বাটলার মিলে ১০তম ওভারে এক শ’ পার করান দলকে।
৯.২ ওভারে ভাঙে এই জুটি। ৩৫ বলে ৫৫ রান করে আউট হোন সল্ট। আর ১২.৩ ওভারে বাটলার আউট হন ২৩ বলে ৩৮ করে। থিতু হতে পারেননি লিয়াম লিভিংস্টোন (৪)। ১৫ ওভারে ১৫৫ রানে ৪ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড।
সেখান থেকে দলকে ২১৮ পর্যন্ত পৌঁছান জ্যাকব বেথেল। ৫ ছক্কায় ৩২ বলে খেলেন অপরাজিত ৬২ রানের ইনিংস। ইনিংসের শেষ বলে আউট হওয়া স্যাম কারান করেন ১৩ বলে ২৪। জোড়া উইকেট নেন গোদাকেশ মোতি।
বড় লক্ষ্য তাড়া করার কাজটা সহজ করে দেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ওপেনার শাই হোপ ও এভিন লুইস। দু’জন মিলে রীতিমতো ঝড় তুলেন, গড়েন ৫৫ বলে ১৩৬ রানের উদ্বোধনী জুটি। ১০তম ওভারে লুইসের বিদায়ে ভাঙে এই জুটি। এভিন লুইস আউট হন ৩১ বলে ৭ ছক্কায় ৬৮ রান করে।
পরের বলেই ফেরেন যান শাই হোপও। আগের ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও রান আউট হয়ে থামতে হয় তাকে। তবে আউট হবার আগে ২৪ বলে করেন ৫৪ রান। তবে ধাক্কা তখনো শেষ হয়নি।
এর পরের বলেই রেহানের গুগলিতে আউট হয়ে যান নিকোলাস পুরান। ৩ বলে ৩ উইকেট হারিয়ে তখন বিপাকে পড়ে যায় ক্যারিবীয়রা। এরপর শিমরন হেটমায়ার (৭) দ্রুত ফিরলেও দলকে জয়ের পথে রাখেন রভম্যান পাওয়েল ও রাদারফোর্ড।
২৩ বলে ৩৮ রানের ইনিংস খেলে পথ দেখান অধিনায়ক রভম্যান পাওয়েল। আর ১৭ বলে অপররাজিত ২৯ রান করে কাজ শেষ করেন শেরফেন রাদারফোর্ড। টানা দুই ছক্কায় তিনি ম্যাচ শেষ করে দেন ১৯তম ওভারেই।
আপনার মতামত লিখুন :