সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে রেল উপদেষ্টা - ছবি :সাবা
রেলওয়ে কারখানাকে আধুনিকায়ন করে দ্রুততম সময়ে জনবল নিয়োগ দেয়া হবে মন্তব্য করে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির বলেছেন, ‘সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা ও পার্বতীপুর লোকোমোটিভ কারখানাকে আধুনিকায়ন করে দ্রুত জনবল নিয়োগ দিয়ে একটি সচল প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা হবে। যাতে রেলওয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ইঞ্জিন ও কোচ নির্মাণ সহজ ও কার্যকর হয়। তাহলে আমাদের আর বিদেশ নির্ভর হতে হবে না। এতে করে দেশের টাকাও সাশ্রয় করা সম্ভব হবে।’
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সবিচ ফাহিমুল ইসলাম, বাংলাদেশ রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের সিএমই সাদেকুর রহমান, জিএম মামুনুল ইসলাম, পাকশী বিভাগের ডিআরএম শাহ সুফী, সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার ডিএস মোস্তফা জাকির হাসান, পার্বতীপুর লোকোমোটিভ কারখানার সিএক্সই মো: সাইফুল ইসলাম, নীলফামারীর জেলা প্রশাসক নায়িরুজ্জামান, সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুর ই আলম সিদ্দিকীসহ রেলওয়ের বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘রেলওয়ে একটি অলাভজনক খাত। এ কারণেই রেলওয়ের উন্নয়নে বাধা। তাছাড়া ইতোপূর্বে বিভিন্ন সরকার এখাতটিকে অবমূল্যায়ন করেছে। উন্নয়নের নামে লুটপাট করে সাবার করেছে। এজন্য রেলওয়ের প্রকৃত উন্নয়ন হয়নি। অথচ বাংলাদেশের যোগাযোগ ক্ষেত্রে রেলওয়ের ভূমিকা অনেক। তাই আমরা রেলওয়েকে প্রকত অর্থে একটি সচল খাতে পরিণত করতে চাই। এজন্য রেলওয়ে লোকেমোটিভ ও কোচ নির্মাণ খুবই জরুরি।’
তিনি বলেন, ‘সৈয়দপুর ও পার্বতীপুরে যে রেলওয়ের অবকাঠামো ও মেশিনপত্র আছে তাতে আধুনিকায়ন করা হলে এখানেই ব্যাপকভাবে ইঞ্জিন ও কোচ নির্মাণ করা যাবে। এজন্য নতুন কোনো কারখানা তৈরির প্রয়োজন নেই। বরং পর্যাপ্ত কার্যক্রম চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় বাজেট ও জনবল দিয়ে এই কারখানাতেই বাৎসরিক চাহিদা পূরণের চেষ্টা করা হবে। এজন্য দ্রুততম সময়ে জনবল নিয়োগ দেয়াসহ অন্য বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হবে।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা কোনো মিথ্যে আশ্বাস দিতে চাইনা। তবে আগের মন্ত্রীদের মতো রাজনৈতিক স্ট্যান্ডবাজিও করতে চাই না। আপনারা দেখুন আমরা কী কী কাজ করছি।’
এ সময় তিনি রেলওয়ে হাসপাতালকে মেডিক্যাল কলেজ করার বিষয়ে বলেন, ‘আগের প্রধানমন্ত্রী কী বলেছেন তা আমার জানা নেই। তবে মেডিক্যাল কলেজ করার বিষয়টির মূল কাজ হলো স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের। একইভাবে রেলওয়ে স্কুলের বিষয়টিও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে। আমি ঢাকায় গিয়ে এ ব্যাপারে-সংশ্লিষ্ট উপদেষ্টার সাথে কথা বলব।’