চায়ের পলিফেনল, ক্যাটেচিন, থেফ্লাভিনের মতো যৌগ আদতে স্বাস্থ্যের উপকারই করে। কিন্তু সব থেকে বেশি উপকার হার্বাল টি বা দুধ-চিনি ছাড়া চায়ে।
আর্য়ুবেদ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চা পানে আসক্তি থাকলে এই পানীয়কেই বানিয়ে নিন স্বাস্থ্যকর। যা শরীরকে এনার্জি দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শক্তিও বৃদ্ধি করবে। চায়ে বিভিন্ন ভেষজ উপাদান মিশিয়ে নিলেই তা আর স্বাস্থ্যের ক্ষতি করবে না।
যদি বেশি কিছু মেশাতে ইচ্ছা না করে তবে মিশিয়ে নিন একটা লবঙ্গ। তাহলেই বেড়ে যাবে চায়ের গুণ।
লবঙ্গের রয়েছে দারুণ গুণ
এই শীতে আবহাওয়া পরিবর্তনে ঠান্ডা লাগার প্রবণতা সব থেকে বেশি। ঠান্ডা লাগা থেকে বাঁচতে শরীরের রোগপ্রতিরোধ শক্তিকে জোরদার করে তোলে লবঙ্গ। ফলে চায়ের কয়েক চুমুকেই শরীরে আসে জোর। রোগভোগ থাকে দূরে।
আর্য়ুবেদ বিশেষজ্ঞদের মতে, লবঙ্গের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি ভাইরাস, অ্যান্টি মাইক্রোবায়াল এবং অ্যান্টি সেপটিক উপাদান। যা শরীরকে যেকোনও সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।
সর্দি-কাশিতেও দারুণ উপকারী
সর্দি-কাশি সারিয়ে তুলতেও দারুণ উপকারী লবঙ্গ চা। এই মশলার গুণ বুকে জমে থাকা কফকেও তুলতে সাহায্য করে। অ্যান্টি অক্সিডেন্ট শরীরে যোগায় প্রচুর এনার্জি। এছাড়া এই চা হজমশক্তিকেও উন্নত করে। মেটায় গ্যাস ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও।
স্কিনকেও করে দারুণ উজ্জ্বল
আয়ুর্বেদ চিকিৎসকরা বলছেন, ত্বকের জন্যেও দারুণ উপকারী লবঙ্গ চা। এতে রয়েছে প্রচুর ফ্রি র্যাডিক্যালস, যা রক্ত থেকে টক্সিক পদার্থ দূর করে শরীরের সঙ্গে সঙ্গে স্কিনকেও চাঙ্গা করে তোলে। রক্ত সঞ্চালন উন্নত হওয়ায় স্কিনেও আসে উজ্জ্বলতা।
তাহলে অপেক্ষা কিসের, আজ থেকেই চায়ের কাপে মিশিয়ে নিন একটি করে লবঙ্গ। তাহলেই রেডি স্বাস্থ্যকর চা। এই চা খেলেই বদলে যাবে আপনার স্বাস্থ্যের হালহকিকত। কাটিয়ে যেতে পারবেন ছোট-বড় নানা রোগের ফাঁদ।
আপনার মতামত লিখুন :