লিবিয়ায় জিম্মি আব্দুস সালামকে মাফিয়াদের হাত থেকে উদ্ধার করল যশোর পিবিআই


Al Amin প্রকাশের সময় : সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৪, ১:৫২ পূর্বাহ্ণ /
লিবিয়ায় জিম্মি আব্দুস সালামকে মাফিয়াদের হাত থেকে উদ্ধার করল যশোর পিবিআই

নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার খলসী গ্রামের সৈয়দ আব্দুস সালাম যেতে চেয়েছিলেন ইটালী। কিন্তু পাচারকারী চক্রের সদস্যরা তাকে নিয়ে গিয়েছিল লিবিয়ায়। তুলে দিয়েছিল মাফিয়া চক্রের হাতে। ওই মাফিয়ারা তার উপর চালিয়েছে নির্মম নির্যাতন। পরিবারের কাছে ফোন দিয়ে দফায় দফায় হাতিয়ে নিয়েছে লাখ লাখ টাকা। এক পর্যায়ে সালামের স্ত্রী যশোর আদালতে মামলা করেন। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় পিবিআই যশোর। পরবর্তীতে পিবিআই কর্মকর্তারা মামলার আসামি পাচারকারী বাঘারপাড়ার নওয়াব আলীর বাড়িতে যান। নিজেরাই সাজেন মক্কেল। পিবিআই এর তদন্তে পাচারের বিষয়টি উঠে আসে। এরপর তারা নওয়াব আলীর পরিবারকে চাপ দিলেই বেরিয়ে আসে থলের বিড়াল। শেষমেষ পাচারকারীরা লিবিয়া থেকে দেশে পাঠিয়ে দেয় সালামকে। সালামকে হেফাজতে নিয়ে পিবিআই কর্মকর্তারা (২২ সেপ্টেম্বর) রোববার পরিবারের হাতে তুলে দেন। ভুক্তোভোগী সালাম জানান, গত বছরের ২০ মার্চ তিনি লিবিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এরপর দিনের পর দিন বিভিন্ন স্থানে তাকে আটকে রাখে। এক পর্যায়ে লিবিয়াতে নিয়ে যায়। তাকে লিবিয়াতে নিয়ে খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে দেয়। কোনো দিন পানি পান করাতো। এমনও দিন ছিল পানিও দিত না। তার ওপর শুধু নির্যাতন চালানো হতো। এরপর দফায় দফায় বাড়িতে মোবাইল ফোনে কথা বলে টাকা পাঠানোর জন্য চাপ দিত পাচারকারীরা। এ পর্যন্ত ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে চক্রটি।

সালামের স্ত্রী ফারজানা জানান, সকালে একবার, রাতে একবার তার কাছে ফোন করে টাকা দাবি করত পাচারকারীরা। তিনি প্রথমে গহনা বিক্রি করে টাকা দেন। এরপর যেটুকু জমি ছিল তা বন্ধক ও কিছুটা বিক্রি করেও টাকা দিয়েছিলেন। বাধ্য হয়ে তিনি আদালতে কিশোরগঞ্জের নাদিম, শাহ পরান, খলসী গ্রামের নওয়াব আলী, তার স্ত্রী রেহেনা, জামাল হোসেন, চন্ডিপুরের পিন্টুর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন। মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআইকে দায়িত্ব দেন আদালত। পরে পিবিআই এর সহায়তায় তিনি তার স্বামীকে ফিরে পান।

পিবিআই যশোরের পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন বলেন, মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় ইন্সপেক্টর মীর রেজাউল হোসেনকে এরপর মীর রেজাউল হোসেন নানা কৌশল অবলম্বন করে আসামিদের সাথে যোগাযোগ করেন। এক পর্যায় সালামকে লিবিয়া থেকে ফেরত পাঠানো হয়। পরে সালামকে পরিবারের হাতে হস্তান্তর করে।