স্টাফ রিপোর্টারঃ মাঠ জুড়ে প্রস্ফুটিত নানান রঙের-হরেক জাতের ফুল দুলছে নির্মল বাতাসে। জানান দিচ্ছে বসন্ত আসছে। সেই আনন্দে প্রফুল্ল ফুল চাষিও। বর্ষা মওসুমে অতিবৃষ্টির ক্ষতি পুষিয়ে যাবে আসন্ন বসন্ত ও ভালোবাসা দিবসসহ চার দিবসে- এমন আশা করছেন যশোরের গদখালী-পানিসারা ফুলচাষীরা।
আসছে বসন্তের রঙের ছোঁয়ায় ভালোবাসার দিন ১৪ ফেব্রয়ারি, মহান ভাষা ও শহিদ দিবস, স্বাধীনতা দিবস এবং বাংলা বর্ষবরণ। তাজা ফুলের চাহিদা প্রতিটি দিবসে। গেল সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে অতিবৃষ্টির কারণে উৎপাদনমুখুখী ফুলের কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও আসন্ন তিনটি দিবস ঘিরে প্রস্তুত ফুল চাষিরা।
তারা বলেন, মহান বিজয় দিবস ও ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনেও তারা চাহিদা মতো ফুল সরবরাহ করতে পেরেছেন। সে সময় উৎপাদন সংকটের কারণে কিছুটা দাম বেশি হলেও বর্তমান সময়ে স্বাভাবিক রয়েছে।ফুলচাষিরা আরও জানান, নভেম্বর-ডিসেম্বরে ভালো আবহাওয়ায় ফুল উৎপাদন হয়েছে নির্বিঘ্নে। তাই আশানুরূপ বেচাকেনার আশা তাদের। এ জন্যে ব্যস্ততাও বেড়েছে দ্বিগুন।মাঠের পর মাঠ প্রস্ফুটিত ফুলের সৌন্দর্যে দূর-দূরান্ত থেকে পানিসারায় আসছেন দর্শনার্থীরা। নিজেদের সাজাচ্ছেন ক্ষেতের ফুলে।
যশোর ফুল উৎপাদক ও বিপণন সমবায় সমিতির সভাপতি আব্দুর রহিম জানান, বর্তমানে এখানে নয় রকমের ফুল উৎপাদিত হচ্ছে। এর ভেতর রয়েছে গাঁদা, রজনীগন্ধা, গোলাপ, জারবেরা, গ্লাডিউলাসসহ আরো অনেক ফুল। নতুন ফুল হিসেবে এবার এসেছে লিলিয়াম।
মোট আটটি দিবসকে ঘিরে ফুল বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেন চাষিরা। এসব দিবসের ভেতর রয়েছে ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন, থার্টিফাস্ট নাইট বা ৩১ ডিসেম্বর, ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবস, একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস, পয়লা ফাল্গুন বা বসন্ত দিবস, পয়লা বৈশাখ।
যশোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা আবু তালহা বলেন, চলতি মৌসুমে যশোর জেলায় ৬৩৮ হেক্টর জমিতে নানা রকমের ফুল চাষ হয়েছে। প্রথমদিকে বৃষ্টির কারণে কিছু ফুলের চারা নষ্ট হয়ে যায়। এখন কৃষকরা তা পুষিয়ে উঠেছে। আশা করছি তারা ভাল দাম পাবেন।