শার্শা বিএনপি ‘তৃপ্তির’ ডাকা বিক্ষোভ সমাবেশের মঞ্চ ভাঙচুর সমর্থকদের উপর সন্ত্রাসী হামলা


Sarsa Barta প্রকাশের সময় : নভেম্বর ২৬, ২০২৪, ৮:৫৯ অপরাহ্ণ /
শার্শা বিএনপি ‘তৃপ্তির’ ডাকা বিক্ষোভ সমাবেশের মঞ্চ ভাঙচুর সমর্থকদের উপর সন্ত্রাসী হামলা

শার্শায় বিএনপির সমাবেশে দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় বোমাবাজিও হয়েছে। এ ঘটনায় অন্তত ৭ জন আহত হয়েছে। আজ (মঙ্গলবার) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার নিজামপুর ইউনিয়নের গোড়পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ বলছে, সমাবেশের আগে থেকেই উত্তেজনা ছিল। তবে, পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। অভিযোগ পেলেই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

যশোরের শার্শা উপজেলায় পতিত ফাসিস্ট সরকারের নির্দেশে ঢাকায় হাজার হাজার ছাত্র জনতাকে হত্যা এবং প্রায় ত্রিশ হাজারের মতো ছাত্র জনতাকে পঙ্গু করার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রতিবাদ সভা আহবান করে। যার প্রচার প্রচারণা চালায় প্রায় সপ্তাহব্যাপী। তৃপ্তি’র ডাকা বিক্ষোভ প্রতিবাদ সভাটি ২৬ নবেম্বর বিকেল ৩টায় নিজামপুর ইউনিয়নের গোড়পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে সমাবেশের আয়োজন করা হয়। কিন্তু তৃপ্তির প্রতিপক্ষ হাসান গ্রুপও একই মাঠে সমাবেশের ঘোষণা দেয়।

ফলে সোমবার থেকেই সমাবেশ নিয়ে গোড়পাড়া বাজার সহ আশপাশ এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছিল। ্সে কারণে আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে সমাবেশ স্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। কিন্তু দুপুর একটার দিকে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হাসান জহির গ্রুপ মফিকুল হাসান তৃপ্তি গ্রুপের সমাবেশ মঞ্চে হামলা চালায়।

এ সময় তারা সমাবেশ মঞ্চ ও চেয়ার টেবিল ভাঙচুর করে। একই সাথে অন্তত ১২টি ককটেল বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। সাথে সাথে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। মফিকুল হাসান তৃপ্তি গ্রুপের নেতাকর্মীদের দাবি হামলায় তাদের ৭ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। তাদেরকে বুরুজবাগান স্বাস্থ্য কপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য, বিকাল ৩টার দিকে শত শত হাসান সমর্থক লাঠি সোটা, রামদা, চাইনিচ কুড়াল, দা হেসো সহ প্রভৃতি দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে আবারও হামলা চালায়। নিজামপুর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে রান্নাকৃত এবং রান্নারত সকল খাবার ধ্বংস বিনষ্ট করে।

খাবারের ডেক হাড়ী মালমসলা সবকিছুই চূলার আগুনে ফেলে দেয় এবং জ্বালিয়ে দেয়। এ সব সন্ত্রাসী কান্ড পুলিশের চোখের সামনেই করে। পুলিশ বাহিনী এ সকল কান্ড দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখে। মঞ্চ ভাংচুর পাশা পাশি কয়েকশ’ প্লাস্টিকের চেয়ার ভেঙ্গে তা খাবার রান্নার জায়গায় এবং মেইন রোডের উপর উপর ঢিবে স্তুপ করে তাতে আগুন জালিয়ে দেয়া হয়। যা বিকাল সাড়ে চারটায় করা হলেও তা প্রায় সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্তও জ্বলতে দেখা যায়। এ বিষয়ে এলাকাবাসী মন্তব্য করেন পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের আত্ম গোপনে থাকা দলীয় সমর্থকরা বিএনপির সাথে মিশে এ নারকীয় ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে ।

এ বিষয়ে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ (নাভারণ সার্কেল)  সুপার নিশাত আল নাহিয়ান জানান, সমাবেশকে কেন্দ্র করে পূর্ব থেকে উত্তেজনা ছিল। তবে পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।