সোহেল রানাঃ যশোরের উত্তর শার্শায় একই দিনে দুঃসাহসিক ভাবে দিন-দুপুরে ২টি সহ চলতি মাসে ৩টি মোটরসাইকেলসহ সম্প্রতি বেশ কিছু বাসাবাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটেছে ।
চুরির ঘটনায় বাইক মালিক ও বাসাবাড়ির ভুক্তভোগিরা পৃথক ভাবে শার্শা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।হঠাৎ এলাকায় এমন চুরির ঘটনায় মটরবাইক মালিক ও সাধারণ মানুষের মধ্যে চুরি আতঙ্ক বিরাজ করছে।
থানায় লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়,ডিহি ইউনিয়নের গোপিনাথপুর গ্রামের আব্দুর রবের ছেলে গোপিনাথপুর গ্রামে প্রতিষ্ঠিত আব্দুল আওয়াল স্মৃতি অটিষ্টিক ও প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষক মাওলানা সদর আলী প্রতিদিনের ন্যায় নাভারণ-কাশিপুর পাকা সড়ক বিদ্যালয় সংলগ্ন হাজেরা খাতুনের বাড়ির পাশে তান নিজ ব্যবহৃত কালো রঙের ইন্ডিয়ান বাজান কোম্পানির ১২৫ সিসি ডিসকভারি মটরসাইকেলটি সোমবার সকাল ৮টার দিকে রেখে বিদ্যালয়ে যান।
যার রেজিঃ যশোর-হ-১৯-১৬৭৫, চ্যাসিস নম্বর- পিএসইউবি ৪৪বিওয়াইওএমটিএ৩১৬৭৭,ইঞ্জিন নম্বর- জেডএক্সডবলুএমকে ১৭৭৯১। তিনি দুপুর ১২টার পর বিদ্যালয়ের পাঠদান শেষ করে মটর সাইকেল রেখে যাওয়ার স্থানে এসে দেখেন মটরসাইকেল নাই।অনেক খোজাখুজির পর চুরি নিশ্চিত হয়ে শার্শা থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
একই দিনে ইউনিয়নের চন্দ্রপুর গ্রামের আলী আজগার খানের ছেলে ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা আয়ুব খান ১মাস পূর্বে নতুন লাল কালো রঙের ইন্ডিয়ান বাজান কোম্পানির ১৫০ সিসি পালসার মটরসাইকেল শো-রুম থেকে ক্রয় করেন।
যার চ্যাসিস নম্বর পিএসইউএ১১সিওয়াই৮এনটিএ ৬৩১৯৫, ইঞ্জিন নম্বর,ডিএইসএক্সসিএনএম ৩৭৮৯৭। রেজিঃ বিহীন । সোমবার বিকাল ৩টার দিকে গাড়িটি নিজ বাড়ির সামনে রেখে বাড়িতে যান ।
বিকাল ৪টার দিকে বাহিরে যাবার উদ্দেশ্য গাড়ি রেখে যাবার স্থানে এসে দেখেন গাড়িটি নাই।অনেক খোজাখুজির পর গাড়িটি না পাওয়ায় চুরি নিশ্চিত বুঝে তিনি ঐ দিনই থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। চলতি জুন মাসের ৬ তারিখ গভীর রাতে ইউনিয়নের ফুলসর গ্রামের গিয়াস উদ্দীনের ছেলে শামীম রেজার নিজ ক্রয়কৃত লাল রঙের টিভিএস এ্যাপাসি ফোরভি যার রেজিঃ নম্বর- যশোর-ল-১৩-৬৮০৭,চ্যাসিস নম্বর পিএস৬৩৭এই৭এক্সএল৬ই ২০৭৪৬। ইঞ্জিন নম্বরঃএই৭বিকে ২৪০০২৩৮।
অজ্ঞাত চোরচক্র ঘরের মেইন কাইচি গেটের তালা ভেঙ্গে মটরসাইকেলটি চুরি করে নিয়ে যায় । চুরির বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়। অপর দিকে গত মে মাসের ১৯ তারিখ গোভীর রাতে উপজেলার লক্ষণপুর ইউনিয়নের শুড়ারঘোপ গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে আশার বাড়ির ঘরের তালা ভেঙ্গে দুই ভরি সোনার গহনা ও নগদ বিশ থেকে পঁচিশ হাজার টাকা চুরি হয়। পরের দিন ২০ মে একই গ্রামের মৃত জোনাব আলীর ছেলে আব্দুল গণির পরিবারের পাঁচজন সদস্যের সকলকে ভাতের সাথে চেতনানাশক পয়জন মিশিয়ে সবাইকে অজ্ঞান করে চোরচক্র আড়াই ভরি সোনার গহনা ও নগদ তিন লক্ষ টাকা চুরি করে নিয়ে যায়।
এঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়। এর আগে লক্ষণপুর গ্রামের জোনাব আলী ছেলে রুহুল আমিনের বাড়ি থেকে সোনার গহনা সহ নগদ প্রায় তিন লক্ষ টাকা চুরি হয়। গত ২৩ মার্চ দিনের বেলা ডিহি ইউনিয়নের ডিহি গ্রামের আবু দাউদ খানের ছেলে কামরুল আলম খানের বাসাবাড়ির তালা ভেঙ্গে প্রায় দুই ভরি সোনার গহনা ও নগদ পাঁচ হাজার টাকা চুরি হয়। এ চুরির ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়। ঘটনার কয়েক দিন পর ইউনিয়নের ফুলসর গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে শিক্ষক নেছার উদ্দীনের ঘরের তালা ভেঙ্গে নগদ এক লক্ষ টাকা চুরি হয়। চুরির ঘটনায় গোড়পাড়া পুলিশ ক্যাম্পে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়।
ইউনিয়নের নৈহাটী গ্রামের মৃত কদম আলীর ছেলে আব্দুল মতিন ওরফে কাইল্যার বাড়ি থেকে নগদ টাকা সোনার গহনাসহ প্রায় আড়াই লক্ষ টাকার মালামাল চুরি হয়। নিজামপুর ইউনিয়নের গোড়পাড়া পালবাড়ির মৃত আহম্মদ আলীর ছেলে হারুন মিয়ার বাড়ি থেকে নগদ এক লক্ষ টাকা চুরি হয়। সম্প্রতি হঠাৎ এলাকায় এমন চুরির ঘটনায় মটরবাইক মালিক ও সাধারণ মানুষের মধ্যে চুরি আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে শার্শা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মামুন খান বলেন, এসব চুরির বিষয়ে আমাদের কাছে সব রিপোর্টেড হয় না । গতকালকে ডিহির একটি মটরসাইকেল চুরির অভিযোগ পেয়েছি। সব চুরির থানায় অভিযোগ বিষয়ে আমার জানা নাই।আমরা অভিযোগের তদন্ত করছি এবং তত্বপর আছি। ইনশাআল্লাহ আমরা কাজ করছি অচিরেই এর সাথে জড়িতদের ধরতে সক্ষম হবো।