সীমান্তে যে কোন সন্ত্রাসী হামলা প্রতিহত করতে বেনাপোলের ধান্যখোলা, রঘুনাথপুর, সাদিপুর, ঘিবা, পুটখালী, বাহাদুরপুর, দৌলতপুর, বড় আচড়া, গাতিপাড়াসহ সীমান্তে উচ্চ সতর্কতা জরি করেছে বিজিবি। যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় সীমান্তে বসবাসরত জনসাধারনও বিজিবির সাথে রাত জেগে সীমান্তে পাহারা দিচ্ছে। জনগনও সতর্কতায় রয়েছে। সীমান্তে যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবেলায় সন্ধ্যার পর জন সাধারণকে সীমান্ত এলাকায় যাতায়াতে বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
বিজিবি সীমাšত এলাকায় কাউকে যেতে দিচ্ছে না। সীমান্ত এলাকায় সড়কগুলোতে এবং বিভিন্ন পয়েন্টে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
বৃহস্প্রতিবার (৫ ডিসেম্বর) যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে: কর্ণেল সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী উচ্চ সর্তকতা জারির বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, বিজিবি সদর দপ্তরের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে তারই প্রেক্ষিতে সকল ইউনিটকে বার্তা দেওয়া হয়েছে।
বেনাপোল সীমান্তে এলাকায় বিজিবি সদস্যরা সতর্ক অবস্থায় দায়িত্ব পালন করছে। এবং সীমান্তে টহল জোরদার করা হয়েছে। বাংলাদেশি নাগরিক বিশেষ করে সীমাšতবর্তী জনসাধারণকে সীমাšেতর ওপারে যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ও প্রাণ-হানিকর পরিস্থিতি এড়াতে অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে বিজিবি ।
সীমান্তে যেকোনো ধরনের অপতৎপরতা রোধে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বিজেপি। যশোর সীমাšেতর বিভিন্ন পয়েন্টে অতিরিক্ত বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে ইসকন সদস্যরা একজন আইনজীবীকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা ও মসজিদ ভাঙ্গা হয়। ঘটনার সাথে জড়িত ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। প্রতিবাদে গত সোমবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে ভাঙচুর করা হয়। সেখানে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকায় আগুন দেওয়া হয়।
একই দিনে বেনাপোলের ওপারে পেট্রাপোল বন্দর এলাকায় বিজেপির নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ইসকন সদস্যরা। তারা বাংলাদেশের সাথে আমদানি রপ্তানী বন্ধের হুমকী দিলেও তা কার্যকর হয়নি। বেনাপোল বন্দরের ডেপুটি ডাইরেক্টর সজিব নাজির জানান, আমদানি রপ্তানী ও পাসপোর্ট যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক রয়েছে রয়েছে।