টিটু মিলনঃ যশোরর শার্শায় ফুটপয়জন হয়ে এক মাদ্রাসা ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রুবার বিকালে শার্শার নারায়নপুর আশরাফুল মাদারীস কওমী মাদ্রাসায়। এ মাদ্রাসার নাজেরানা শাখার ছাত্র মাহিন হোসেন (১১) বাজারের খোলা বিষাক্ত বিস্কুট খেয়ে অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। এ সময় মাদ্রাসার শিক্ষরা তাকে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। এ সময কর্তব্যরত ডাক্তার সিদ্দিকুর রহমান তাকে মৃত ঘোষনা করেন। মাহিন ঝিকরগাছা উপজেলার নন্দিরডুমুরিয়া গ্রামের সুরোত আলরি ছেলে। এ ঘটনায় এ মাদ্রাসার আরো ৬ জন ছাত্র অসুস্থ হয়ে পড়ে। এর মধ্যে মামুনুর রশিদ (১০) নামে এক ছাত্রকে আশংকা জনক হওয়ায় তাকে যশোর ২৫০ শয্যা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে নারায়নপুর আশরাফুল মাদারীস কওমী মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ মাওলানা আনারুল ইসলাম জানান, ছাত্ররা দুপুরের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে ছিল। তারপর বিকালে এক ছাত্রের বাড়ী থেকে দেওয়া বিস্কুট খাওয়ার পরে কয়েকজন ছাত্র হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাৎক্ষনিক তাদেরকে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎক মাহিন নামে এক ছাত্রকে মৃত ঘোষনা করে। এর মধ্যে এক জনকে এক ছাত্রকে যশোরে ভর্তি করা হয়েছে।
সূত্রে জানাগেছে, মাদ্রাসার মৃত ছাত্রের দুলাভাই রাসেল আহমেদ বলেন সে বৃহষ্পতিবার বিকালে উপজেলার নাভারন বাজারের ফুটপথ খেকে ৫শ’ গ্রাম ওজনের দুই প্যাকেট বিস্কুট কিনে দিয় । শুক্রবার বিকালে সংবাদ পায় সেই বিস্কুট খেয়ে আমার শালাসহ সাতজন বাচ্ছা অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। তার মধ্যে তার শ্যালক মাহিন মারা গেছে।
শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ সিদ্দিকুর রহমান জানান, বিকালে কওমী মাদ্রাসার ৭জন ছাত্রকে অসুস্থ্য অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসলে মাহিন নামে এক ছাত্রকে মৃত ঘোষনা করা হয়েছে। এক ছাত্রের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকীদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে সবাই ভালো আছে।
এ বিষয়ে শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ মামুন খান জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ তদন্ত করছে। নিহত শিশুকে ময়না তদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিস্তারিত পরে জানা যাবে।