শার্শা উপজেলার বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হত্যার ২৮ বছরেও বিচারে মুখ দেখেনি তার পরিবার


Sarsa Barta প্রকাশের সময় : জুন ২১, ২০২৫, ৮:৩০ অপরাহ্ণ /
শার্শা উপজেলার বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হত্যার ২৮ বছরেও বিচারে মুখ দেখেনি তার পরিবার

স্টাফ রিপোর্টার: যশোরের, বেনাপোল পৌরসভার ভবারবেড় ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মোসলেম আলীর ছেলে শার্শা উপজেলা বিএনপির, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও তরুণ রাজনীবিদ মোশারফ হত্যার,২৮ বছর পেরিয়ে গেলেও বিচার পাননি নিহতর পরিবার।

স্বামী সন্তানের হারানোর শোগে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে পথে পথে ঘুরে বেড়াচ্ছেন নিহত মোশারফ হোসেনের স্ত্রী।

‎নিহত মোশারফ হোসেন ছিলেন যশোরের, শার্শা উপজেলার বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক (১৯৯৪ সাল থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত) সততার সাথে দায়িত্ব পালন করেন।

‎গত ৪ আগস্ট। ১৯৯৭ সালের ঢাকার রমনা থানাধীন পরীবাগ এলাকায় ভয়াবহ নির্মমতায় এ উপজেলা সাধারণ সম্পাদক, মোশারফ হোসেনকে জবাই করে ও মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়। যশোরের শার্শা উপজেলার ভবারবেড় ৬ নম্বর ওয়ার্ডের এই তরুণ রাজনীতিবিদের মৃত্যুতে তোলপাড় হয়েছিল এলাকায়। তবে ২৮ বছর পেরিয়ে গেলেও আজও তার হত্যার বিচার হয়নি। মামলার কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই, গ্রেফতার হয়নি কোনো খুনি।

‎মৃত মোসলেম আলির ছেলে নিহত মোশারফ হোসেনের স্ত্রী ১ কন্যা সন্তান ২পুত্র সন্তান মেয়ে নিপা খাতুন, ও বড় ছেলে নিপুন হোসেন, ও ছোট ছেলে দিপু হোসেন তখন তারা অপ্রাপ্তবয়স্ক ছিল, আজ প্রাপ্তবয়স্ক।

‎নিহত মোশারফের বড় ছেলে নিপুণ হোসেন বলেন, “আমরা তখন শিশু ছিলাম, বাবার লাশ দেখে কিছুই বুঝিনি, এবং আমার এক বড়,বোনকে আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী দ্বারাই হত্যা হয়, তার বয়স ছিল তখন ৫ বছর, আজ বুঝি কী হারিয়েছি। কিন্তু এতদিনেও বিচার না হওয়ায় আমরা চরম হতাশ। আমরা আমারদের বাবা ও বড় বোনের খুনিদের বিচার চাই।”

‎নিপুণ আরও জানান, বাবা ও বড় বোনের মৃত্যুর পর আমার মা মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন । আজ ২৮ বছর পরেও তিনি পুরোপুরি সুস্থ হননি। “আমার মা মানসিক রোগী হয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়ান। আমাদের পরিবারটা একেবারে ধ্বংস হয়ে গেছে।”

‎স্থানীয়রা মনে করেন, মোশারফ হোসেন ছিলেন এলাকার প্রভাবশালী তরুণ নেতা। তার জনপ্রিয়তাকে ভয় পেয়ে পরিকল্পিতভাবে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে। দীর্ঘদিনেও কোনো বিচার না হওয়ায় এলাকায় ক্ষোভ বিরাজ করছে।

‎পরিবার ও এলাকাবাসীর দাবি—পুনরায় তদন্তের মাধ্যমে খুনিদের চিহ্নিত করে দ্রুত গ্রেফতার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।