শিগগিরই গঠিত হচ্ছে গণমাধ্যম কমিশন -তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম


Sarsa Barta প্রকাশের সময় : সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৪, ৮:৩১ পূর্বাহ্ণ /
শিগগিরই গঠিত হচ্ছে গণমাধ্যম কমিশন -তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম

শিগগিরই গঠিত হচ্ছে গণমাধ্যম কমিশন। আগামী সপ্তাহে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলে গণমাধ্যম কমিশন গঠন করা হবে। এছাড়া বৈঠকে ইনকিলাবের নির্বাহী সম্পাদক ফাহিমা বাহাউদ্দীন বলেছেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারে আমলে ডিএফডির সুযোগ সুবিধাবঞ্চিত করা হয়েছে। সোমবার চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের উদ্যোগে সংবাদপত্রের প্রকাশক, সম্পাদক, নির্বাহী সম্পাদকসহ অন্যান্য অংশীজনের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম এসব কথা বলেন।

তথ্য ভবনে অনুষ্ঠিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম মোহাম্মদ শামসুদ্দিন। সাম্প্রতিক বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন প্রসঙ্গে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা বলেন, এই আন্দোলনে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তবে কিছু গণমাধ্যমকর্মী ফ্যাসিবাদের পক্ষে ছিলেন। যারা ফ্যাসিবাদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন, তাদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি অবিচার বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, কোনো সাংবাদিকের বিরুদ্ধে যদি মিথ্যা মামলা হয়ে থাকে, তাহলে তা প্রত্যাহার করা হবে। পরিবর্তিত এই প্রেক্ষাপটে গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে কাজে লাগিয়ে কেউ যেন ফ্যাসিবাদের পক্ষে কথা না বলেন, সে বিষয়ে তিনি সবাইকে সচেতন থাকার আহ্বান জানান।

মতবিনিময় সভায় প্রধান তথ্য অফিসার মো. নিজামূল কবীর বলেন, ক্রোড়পত্রের বকেয়া বিল দ্রুত পরিশোধ করা প্রয়োজন। এ বিষয়ে দ্রুত উদ্যোগ গ্রহণের জন্য তিনি তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। সভাপতির বক্তৃতায় চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মিডিয়া তালিকাভুক্তি, সংবাদপত্রের নিরীক্ষা, বিজ্ঞাপন ও ক্রোড়পত্র ব্যবস্থাপনায় বিদ্যমান সমস্যা উল্লেখ করেন এবং সমস্যা থেকে উত্তরণে করণীয় বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন। তিনি ক্রোড়পত্র খাতে ৭৫ কোটি ৩৮ লাখ টাকার বকেয়া বিল দ্রুত পরশোধের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

ইনকিলাবের নিবার্হী সম্পাদক ফাহিমা বাহউদ্দীন বলেন,বিগত স্বৈারাচারী হাসিনা সরকারের আমলে গত ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারী দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকার অফিসে অন্যায়ভাবে সিলগালা করে এবং আমাদের পত্রিকা বন্ধ করে দিয়েছিলো। ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের আমলে ডিএফডির সুযোগ সুবিধা থেকে আমাদের বঞ্চিত করা হয়েছে।

উমুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে সংবাদপত্রের প্রকাশক, সম্পাদক ও নির্বাহী সম্পাদকগণ প্রচার সংখ্যা নির্ধারণ, সংবাদপত্রের নিরীক্ষা, বিজ্ঞাপন ও ক্রোড়পত্র ব্যবস্থাপনায় বিভিন্ন অসংগতির কথা উল্লেখ করেন। তারা সংবাদপত্রসমূহকে সুনির্দিষ্ট নীতিমালার আওতায় আনার জন্য মিডিয়া কমিশন গঠনের উপর গুরুত্বারোপ করেন। মতবিনিময় সভায় সাত শতাধিক পত্রিকার সংবাদপত্রের প্রকাশক, সম্পাদক, নির্বাহী সম্পাদকসহ অন্যান্য অংশীজন উপস্থিত ছিলেন। মতবিনিময় সভা শেষে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড ও বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট পরিদর্শন করেন।