শুল্ক ফাঁকি রোধে কঠোর বেনাপোল কাস্টম পণ্য রপ্তানিতে নতুন ১১ শর্ত


Al Amin প্রকাশের সময় : জানুয়ারি ৮, ২০২৫, ১১:২৭ পূর্বাহ্ণ /
শুল্ক ফাঁকি রোধে কঠোর বেনাপোল কাস্টম পণ্য রপ্তানিতে নতুন ১১ শর্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক: বেনাপোল স্থল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ৮০ ভাগ পণ্য আমদানি হয়ে থাকে। সেই সঙ্গে ভারতে পণ্য রপ্তানি হয়।

আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে গতি সঞ্চার, সময় কমানো, বাণিজ্য সহজীকরণসহ করদাতাবান্ধব পরিবেশ তৈরির লক্ষ্যে বেনাপোল কাস্টম হাউজ থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

এরই ধারাবাহিকতায় আমদানি-রপ্তানি পণ্য চালানের খালাস ত্বরান্বিতকরণ ও শুল্ককর ফাঁকি প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ চলমান। সেই সঙ্গে বেনাপোল বন্দর দিয়ে পণ্য রপ্তানিতে শর্ত দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (৬ জানুয়ারি) বেনাপোল কাস্টম হাউজ থেকে ১১টি শর্ত দিয়ে আদেশ জারি করা হয়। আদেশে সই করেন বেনাপোল কাস্টম কমিশনার মো. কামরুজ্জামান।

একই আদেশে ১২ ধরনের আমদানি পণ্যকে সংবেদনশীল ও শুল্ক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করার কথা বলা হয়েছে। এর মানে হলো, এসব পণ্য আমদানিতে শুল্ক-কর ফাঁকি দেওয়ার ঝুঁকি বেশি।

পণ্যগুলো হলো- অ্যাসর্টেড গুডস, সব ধরনের কাপড়, সব প্রকার নতুন-পুরাতন মটর পার্টস (টু হুইলার, থ্রি হুইলার, ফের হুইলার ইত্যাদি), বাইকের যন্ত্রাংশ, ইলেকট্রনিকস ও ইলেকট্রিক্যাল পণ্য, প্রসাধন সামগ্রী, ইমিটেশন জুয়েলারি, বাণিজ্যিক ভিত্তিতে রেয়াতি সুবিধায় আমদানিকৃত যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশ, শিল্প খাতের যন্ত্রাংশ, চিকিৎসা যন্ত্রপাতি ও অস্ত্রোপচারের সামগ্রী, একই চালানে পাঁচমিশালি পণ্য। এসব পণ্যের চালানও কায়িক পরীক্ষার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া এসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেম পর্যালোচনা করে ঝুঁকিপূর্ণ প্রতিষ্ঠান, এইচএস কোডসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে পণ্যের চালানের কায়িক যাচাই-বাছাই করা, গোপন সংবাদ সংগ্রহ, বন্দরের ভেতর-বাইরে ঘোষণা অতিরিক্ত ও বহির্ভূত পণ্য চালান চিহিৃতকরণ, ফাঁকি উদঘাটন, রাজস্ব আদায় ও খালাস প্রক্রিয়া নজরদারি এবং চোরাচালান প্রতিরোধে আইনানুগ কার্যক্রম গ্রহণ করার জন্য আইআরএম কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন বেনাপোল কাস্টমসের কমিশনার মো. কামরুজ্জামান।

শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরসহ অন্যান্য সংস্থা থেকে প্রাপ্ত তথ্যের বিশ্লেষণ করে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে আইজিএম, বিল অব এন্ট্রি লকসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা। পাশাপাশি শুল্ক-কর ফাঁকি রোধে বেশ কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া রপ্তানির ক্ষেত্রে ৪০ হাজার মার্কিন ডলারের বেশি মূল্যের পণ্য চালান অথবা ২০ হাজার পিসের বেশি ঘোষণার রেডিমেড গার্মেন্টস (শার্ট, প্যান্ট, টি-শার্ট, আন্ডার গার্মেন্টস ইত্যাদি) পণ্য চালান কায়িক পরীক্ষা করা।
কায়িক পরীক্ষার মানে হলো, এতে পণ্যের চালান খুলে দেখা হয় এবং ঘোষণা দেওয়া পণ্যের সঙ্গে মিল আছে কি না, তা পরীক্ষা করা হয়। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ আদেশ কার্যকর থাকবে বলে জানানো হয় আদেশে।