জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক হতে হবে শ্রদ্ধা ও সমতার হতে হবে। বিগত এক যুগ ধরে আমরা ডমিনেন্স ফিল করে এসেছি। কোন রাষ্ট্রের আধিপত্য নিয়ে চোখ রাঙানি আমরা আর দেখবো না।

শুক্রবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে রংপুর নগরীর কেরামতিয়া জামে মসজিদে জুম্মার নামাজ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় এসব বলেন তিনি। এ সময় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের জেলা ও মহানগরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সারজিস আলম বলেন, শুধু ভারত নয়, সমতা ও শ্রদ্ধার ভিত্তিতে সকল দেশের সঙ্গে সম্পর্ক থাকলে, সামনের দিকে এগিয়ে যাবে দেশ। আমি মনে করি বাংলাদেশের সাথে ভারত, চীন, আমেরিকা, রাশিয়া যে কোন দেশের সাথে সমতার সম্পর্ক থাকবে। আমরা পারস্পারিক শ্রদ্ধাবোধের সম্পর্কের ভিত্তিতে সামনে এগিয়ে যাবো। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ২৮ থেকে ২৯টি দেশ একসাথে ফাংশন করছে। প্রতিটি রাষ্ট্রের আন্তঃদেশীয় ও আন্তঃঅঞ্চল ভিত্তিক আদান-প্রদানের সম্পর্ক থাকবে। তারা দেশের বন্দরগুলো ব্যবহার করে ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়ন করবে। কিন্তু এগুলো সমতার ভিত্তিতে হতে হবে। রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে পারস্পারিক শ্রদ্ধার সম্পর্ক থাকতে হবে।

তিনি বলেন, বিগত এক যুগ ধরে রাজনীতি আর গণমানুষের রাজনীতি ছিল না। রাজনীতি ছিল টাকা দিয়ে মনোনয়ন কেনা এবং রাতের আধারে কারচুপির মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে সংসদে যাওয়া। জুলাই আগস্টে যে রক্তাক্ত নিথর দেহগুলো ছিল, সেগুলোকে যদি আমরা সামনে রাখতে পারি, তাহলে আমরা ২৪ সে জুলাই অভ্যূত্থানের যে স্পিরিট সেটা থেকে কখনও বিচ্যুত হবো না।

জাতীয় নাগরিক পার্টি ৩০০ আসনে প্রার্থী দিতে প্রস্তুত জানিয়ে এনসিপির এই নেতা বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩’শ আসনে প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ার চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত জাতীয় নাগরিক পার্টি। এমন চ্যালেঞ্জ নিতে আমরা অভ্যস্ত। জাতীয় নাগরিক পার্টি এক মাস হয়েছে আত্মপ্রকাশ করেছে। আমরা আমাদের জায়গা থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো যেন সৎ, যোগ্য ও দেশপ্রেমিক প্রার্থীদের মনোনয়ন দেয়া যায়।

তিনি বলেন, জাতীয় নাগরিক পার্টি উত্তরাঞ্চলের সাংগঠনিক টিম হিসেবে আমরা দায়িত্বপ্রাপ্তরা ৩২টি জেলায় যাবো। আমরা মনেকরি বিগত এক যুগ ধরে রাজনীতি গণমানুষের রাজনীতি ছিল না। আমরা মাঠে, ঘাটে, অলিতে-গলিতে জনগনের কাছে যাবো, আমরা যা করতে চাই, বাংলাদেশকে নিয়ে যে স্বপ্ন দেখি সেই প্রত্যাশার কথা তাদের কাছে তুলে ধরবো। জাতীয় নাগরিক পার্টি যদি জনগণের চাওয়া অনুযায়ী কাজ করতে পারে, তাহলে জনগণ তাদের রায় দিয়ে সংসদে নিয়ে যাবে।