সত্য ঘটনাঃ অভিমানে ছাড়েন বাড়ি, ফিরে এসে দেখেন স্ত্রী অন্যজনের ঘরে 


Sarsa Barta প্রকাশের সময় : সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৪, ৭:৫৩ পূর্বাহ্ণ /
সত্য ঘটনাঃ অভিমানে ছাড়েন বাড়ি, ফিরে এসে দেখেন স্ত্রী অন্যজনের ঘরে 

স্ত্রীর সঙ্গে অভিমান করে বাড়ি ছাড়েন মুর্শিদ মিয়া।এরপর কেটে যায় দীর্ঘ ৩২ বছর। সম্প্রতি ফেসবুকে এক পোস্টের মাধ্যমে তাকে চিনতে পারেন স্বজনেরা। পরে পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায় বাড়ি ফেরেন মুর্শিদ। তবে দুঃখের বিষয়, যার সঙ্গে অভিমান করে বাড়ি ছেড়েছিলেন মুর্শিদ, সেই মানুষটি এখন আর তার বাড়িতে নেই।

জানা গেছে, মুর্শিদ মিয়ার নিখোঁজের বেশকিছু দিন পর তার স্ত্রী শেফালি খাতুন বাবার বাড়িতে চলে যান। পরে তাকে অন্য জায়গায় বিয়ে দেয় পরিবার।

মুর্শিদ মিয়া কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার দক্ষিণ চরটেকী গ্রামের মৃত শাহিদ ব্যাপারীর ছেলে। রবিবার দুপুরে পাকুন্দিয়া পুলিশের সহযোগিতায় বাড়ির স্বজনরা তাকে পার্শ্ববর্তী নরসিংদীর বেলাবো উপজেলা থেকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান টিটু তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে এ-সংক্রান্ত একটি পোস্ট দিলে বিষয়টি জানাজানি হয়।

জানা গেছে, পাকুন্দিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোবারক হোসেনের বাড়ি নরসিংদীর বেলাবো উপজেলার ধুকুন্দি গ্রামে। সেই গ্রামের সাহাজ উদ্দিন মাস্টারের বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে শ্রমিকের কাজ করতেন মুর্শিদ মিয়া। সম্প্রতি অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। এরইমধ্যে নিজের বাড়িতে ফেরার ইচ্ছার কথা জানান। বাড়ির ঠিকানা বলেন কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলা। ঠিকানা অনুযায়ী খোঁজখবর শুরু করেন ওই এলাকার লোকজন ও পাকুন্দিয়া থানার পরিদর্শক মোবারক হোসেন।

এরই ধারাবাহিকতায় ধুকুন্দি গ্রামের একজন ফেসবুকে মুর্শিদ মিয়াকে নিয়ে একটি পোস্ট করেন। ফেসবুকে মুর্শিদ মিয়াকে দেখতে পেয়ে স্বজনরা চিনতে পারেন। রবিবার মুর্শিদের ভাতিজাসহ বেশ কয়েকজন সেখানে গিয়ে তাকে বাড়িতে নিয়ে আসেন।

মুর্শিদের ভাতিজা আবদুল হাকিম বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন পর চাচাকে ফিরে পেয়ে খুবই আনন্দিত। চাচার স্ত্রী-সন্তান নেই। তবে অনেক জমিজমা রয়েছে তার। চাচা যাতে জীবনের শেষ সময় আমাদের সঙ্গে সাচ্ছন্দ্যে কাটাতে পারেন, আমরা সেই চেষ্টাই করব।’

পাকুন্দিয়া থানার ওসি মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘ফেসবুকের কল্যাণে নিখোঁজের ৩২ বছর পর নিজ বাড়িতে ফিরে এসেছেন মুর্শিদ মিয়া। তার ভাগের সহায়-সম্পত্তি যেন তাকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়, সে বিষয়ে পরিবারের অন্য সদস্যদের বলে দেওয়া হয়েছে। তারাও আমাদের জানিয়েছেন, বাকি জীবনটা চাচাকে তারা খুব সেবা যত্নে রাখবেন।’