নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ‘এই সরকার বলেছিল তারা লোডশেডিংকে জাদুঘরে পাঠিয়েছে। সেই লোডশেডিং এখন জাদুঘর থেকে বের হয়ে এসেছে। কারণ সরকারের নিজেরই জাদুঘরে ঢোকার সময় হয়েছে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমেদের ২য় মৃত্যুবার্ষিকীতে স্বাধীনতা ফোরাম আয়োজিত স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিলে এসব কথা বলেন মাহমুদুর রহমান মান্না। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমতুল্লাহ এতে সভাপতিত্ব করেন।
ডাকসুর সাবেক ভিপি মান্না বলেন, ‘আমরা অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমেদের মতো বুদ্ধিজীবী চাই। ড্রয়িং রুমে বসে বিবৃতি লেখা আর ইনিয়ে বিনিয়ে ফ্যাসিবাদী সরকারের পক্ষে কথা বলা তথাকথিত বুদ্ধিজীবী চাই না। যারা বলেন, দেশে গণতন্ত্র না থাকলেও উন্নয়ন হচ্ছে, তাদের বলতে চাই আপনারা উন্নয়নের সংজ্ঞাই জানেন না।’
দেশের অর্থনৈতিক সংকটের কথা উল্লেখ করে মান্না বলেন, ‘দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রতিনিয়ত কমে যাচ্ছে। সরকার বলছে, বর্তমানে রিজার্ভ ৩৯ বিলিয়ন ডলারের ঘরে। কিন্তু এক্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট ফান্ডের ৭ বিলিয়ন বাদ দিলে রিজার্ভ ৩৩ বিলিয়ন ডলারেরও কম। আর বাণিজ্য ঘাটতি ৩১ বিলিয়ন ডলার।
বিপিসি বলছে, তারা দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত। ডলার না থাকায় জ্বালানি আমদানির জন্য এলসি পর্যন্ত খোলা যাচ্ছে না। টাকার মান কমতে কমতে ১০০ ছুইছুই। জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে লাগামহীনভাবে। শ্রীলঙ্কার সব সিম্পটম দেখা যাচ্ছে। আর সরকার উন্নয়নের গল্প শোনাচ্ছে।’
বিএনপির উদ্দেশে মান্না বলেন, ‘আপনারা বলেছেন এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাবেন না। নিজেদের সিদ্ধান্তে অটল থাকেন। এই সরকার বদলাতে হবে, নির্বাচন কমিশন বদলাতে হবে। তারপর একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে।
এই লক্ষ্যে বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। সবাই এক মঞ্চে না আসলে প্রয়োজনে যুগপৎ আন্দোলন করতে হবে। সব বিরোধী দলের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন ছাড়া এই স্বৈরাচার সরকারকে উৎখাত করা যাবে না।’