সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ
ব্রাজিলের বেলেমে অনুষ্ঠিতব্য জাতিসংঘের ৩০তম জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনে (কপ-৩০) অংশ নিচ্ছে সাতক্ষীরা উপকূলের শিশু শিক্ষার্থী নওশীন ইসলাম ও নুর আহমেদ জিদান। সম্মেলনে তারা বাংলাদেশের উপকূলে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাবের মুখে থাকা শিশুদের বাস্তব চিত্র তুলে ধরবে। বিশ্বের ১৫০ দেশের ১২ হাজারের বেশি জলবায়ু আন্দোলনের কর্মী এই সম্মেলনে অংশ নেবেন। তারা আগামী মঙ্গলবার ব্রাজিলের উদ্দেশে যাত্রা করবেন।
নওশীন ইসলাম আশাশুনি উপজেলা শিশু ফোরামের সভাপতি এবং কয়েক বছর ধরে শিশু সুরক্ষা, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় কাজ করছে। নওশীন প্রতাপনগর গ্রামের শিক্ষক মো. শহীদুল ইসলাম ও জেসমিন দম্পতির মেয়ে এবং প্রতাপনগর ইউনাইটেড একাডেমির অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী।
অন্যদিকে নুর আহমেদ জিদান শ্যামনগরের মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নের যতীন্দ্রনগর গ্রামের জি.এম. রইসউজ্জামান ও মোছা. লায়েকা খানম দম্পতির ছেলে এবং সুন্দরবন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। দুজনই জাগ্রত যুব সংঘ (জেজেএস), চিলড্রেন ফোরাম অন ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ডিআরআর এবং কেএনএইচ-বিএমজের সহযোগিতায় এই বৈশ্বিক সম্মেলনে অংশ নিচ্ছে।
নওশীন ইসলাম বলে, সম্মেলনে উপকূলের শিশুদের দুঃখ-দুর্দশা তুলে ধরব। ক্ষতিগ্রস্ত শিশুরা শিক্ষা, পুষ্টিকর খাবার, স্বাস্থ্যসহ সব মৌলিক অধিকার যেন পায় সে জন্য উন্নত দেশের নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করব।
নুর আহমেদ জিদান জানায়, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সাতক্ষীরা উপকূলীয় অঞ্চল বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠছে। এটা এখন বাঁচা-মরার লড়াই। এই সম্মেলনে বিশ্বনেতাদের সামনে আমাদের পরিস্থিতির কথা তুলে ধরব।
নওশীনের বাবা শহীদুল ইসলাম বলেন, বিশ্বমঞ্চে আমার মেয়ে বাংলাদেশের কথা বলবে, সাতক্ষীরা উপকূলের জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত শিশুদের কথা বলবে। বাবা হিসেবে আমি গর্বিত।