ফ্রান্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট নিকোলা সারকোজিকে আগামী ২১ অক্টোবর ফ্রান্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট নিকোলা সারকোজিকে প্যারিসের লা সান্তে কারাগারে কারাবন্দি করা হবে। লিবীয় অর্থায়ন মামলায় ‘অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের’ দায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর তিনি এই সাজা ভোগ করতে যাচ্ছেন। সোমবার (২০ অক্টোবর) মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রের বরাত দিয়ে ফরাসি সম্প্রচারমাধ্যম বিএফএমটিভি এই খবর জানিয়েছে। প্যারিসের লা সান্তে কারাগারে কারাবন্দি করা হবে। লিবীয় অর্থায়ন মামলায় ‘অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের’ দায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর তিনি এই সাজা ভোগ করতে যাচ্ছেন। সোমবার (২০ অক্টোবর) মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রের বরাত দিয়ে ফরাসি সম্প্রচারমাধ্যম বিএফএমটিভি এই খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্যারিসের ১৪তম আরোঁদিসমাঁতে অবস্থিত লা সান্তে কারাগারে ঝুঁকিপূর্ণ বন্দিদের জন্য একটি বিশেষ শাখা রয়েছে। সারকোজির বয়স (৭০) এবং তার সাবেক উচ্চ পদের কথা বিবেচনায় রেখে তাকে সেখানে রাখা হতে পারে।
এর আগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০০৭ সালের নির্বাচনী প্রচারাভিযানে লিবীয় অর্থায়নের একটি মামলায় সারকোজিকে ষড়যন্ত্রের দায়ে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আদালত সারকোজিকে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করলেও দুর্নীতি এবং অবৈধ অর্থায়নের অভিযোগ থেকে খালাস দিয়েছে। যদিও তখন তাকে তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেওয়া হয়নি, তবে পরে তাকে তলব করে জানানো হয় কবে এবং কোথায় সাজা ভোগ করতে হবে। সারকোজি বরাবরই তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা ২০০৫ সালে তৎকালীন ফরাসি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সারকোজি এবং তৎকালীন লিবীয় নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির মধ্যে হওয়া একটি কথিত চুক্তিকে ‘অকল্পনীয়, অশ্রুতপূর্ব এবং অশোভন এক দুর্নীতির চুক্তি’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। সে সময় গাদ্দাফি পশ্চিমা বিশ্বে একজন অগ্রহণযোগ্য নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, নিকোলা সারকোজি ২০০৭ সালে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন এবং ২০১২ সাল পর্যন্ত এই দায়িত্বে ছিলেন।