ছবি : সংগৃহীত
জাতীয় নাগরিক কমিটির পরিধি আরো বাড়ানো হয়েছে। ৫৫ সদস্যের আগের কমিটির সাথে নতুন করে আরো ৪৫ জনকে যুক্ত করা হয়েছে। এতে সারজিস আলম, জয়নাল আবেদীন শিশির, প্লাবন তারিক, শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি ও আরিফুর রহমান তুহিনরা রয়েছেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও শেখ হাসিনার পতনের পর নতুন রূপে আত্মপ্রকাশ ঘটে জাতীয় নাগরিক কমিটির। একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ পুনর্গঠনের জন্য ঐকমত্য গঠনের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত ৫৫ সদস্যের এ সংগঠনটির আহ্বায়ক করা হয় নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীকে এবং সদস্যসচিব করা হয় আখতার হোসেনকে। এবার ওই কমিটির পরিধি বাড়িয়ে যুক্ত করা হয়েছে আরো ৪৫ জনকে।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) জাতীয় নাগরিক কমিটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করছে। ছাত্র-জনতার এ অভ্যুত্থানের চেতনাকে সমুন্নত রাখতে কেন্দ্রীয় কমিটিতে আরো ৪৫ জনকে যুক্ত করা হয়েছে। কমিটি বর্ধিতকরণের চলমান প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ৪৫ ব্যক্তিদের নিয়ে ‘কেন্দ্রীয় সদস্য’ ঘোষণা করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় সদস্যরা হলেন সারজিস আলম, আলী আহসান জোনায়েদ, দেবাশীষ চক্রবর্তী, মোহাম্মদ এজাজ, শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি, কৈলাশ চন্দ্র রবিদাস, রাফে সালমান রিফাত, উশ্যেপ্রু মারমা, উম্মে হাবিবা বেনজির, মীর আরশাদুল হক, আলী নাছের খান, মামুনুর রশীদ, আবু সাঈদ লিওন, সাকিব মাহদী, জোবাইরুল হাসান আরিফ, সৈয়দা নীলিমা দোলা, শরিফ ওসমান হাদি, আলী আম্মার মুয়াজ, আরেফিন মোহাম্মদ, ভীম্পাল্লী ডেভিড রাজু, কৃষিবিদ গোলাম মর্তুজা সেলিম, সোনামণি কর্মকার, ডা. মিনহাজুল আবেদীন, সাইদ উজ্জ্বল, মো. বুরহান উদ্দিন নোমান, মো. রাকিব হোসেন, মো. আরিফুর রহমান (তুহিন), রাফিদ ভুঁইয়া, জয়নাল আবেদীন শিশির, জনি আকন্দ, মিয়াজ মেহরাব তালুকদার, মো. নাইম আহমাদ, সাগর বড়ুয়া, প্লাবন তারিক, এম ওয়ালি উল্লাহ, মোশফিকুর রহমান জোহান, সাদিয়া ফারজানা, সাইফুল্লাহ হায়দার, মোল্লা মোহাম্মদ ফারুক এহছান, এহতেশাম হক, অরণি সেমন্তি খান, মাহবুব আলম মাহির, ডা. আশরাফুল আলম সুমন, দ্যুতি অরণ্য চৌধুরী।
এর আগে ৮ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্র সংস্কার ও পুনর্গঠনের লক্ষ্য নিয়ে ৫৫ সদস্যের জাতীয় নাগরিক কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ও এবি পার্টির সাবেক গবেষণা ও তথ্য বিষয়ক সহকারী সম্পাদক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীকে আহ্বায়ক করা হয়। কমিটির সদস্যসচিব করা হয় ঢাবি আইন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ও ডাকসুর সাবেক সমাজকল্যাণ সম্পাদক আখতার হোসেনকে।
এ ছাড়া কমিটির অপর ৫২ সদস্যদের মধ্যে আছেন মায়ের ডাকের সংগঠক সানজিদা ইসলাম তুলি, চিকিৎসক তাসনীম জারা, চিকিৎসক ও অ্যাকটিভিস্ট তাজনূভা জাবীন, বাংলাদেশে মেটার পাবলিক পলিসি প্রধান সাবহানাজ রশীদ দিয়া, গবেষক ও লেখক সারোয়ার তুষার, কনটেন্ট ক্রিয়েটর সালমান মুক্তাদির, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাবেক সদস্য প্রীতম দাশ, আইনজীবী মানজুর-আল-মতিনসহ আরো অনেকে।