দেখতে দেখতে ২০টি বছর পার করে সারসা বার্তা আজ ২১ বছরে পদার্পণ করলো। অনেক চড়াই উতরাই পথ পেরিয়ে আপামর মানুষের সহযোগিতা আর ভালবাসা নিয়ে এ ২০টি বছর পার করেছে। যশোর জেলার সীমান্তবর্তী একটি উপজেলার নাম শার্শা। এ উপজেলার নামের দুটি বানান, একটি সারসা আর একটি শার্শা। পিছন ইতিহাসে গেলে সারসা বানানটি দেখা যাবে বাষট্টির জরিপ নকশায়।
থানা/উপজেলার নামের বানান ‘সারসা’ দেখা যাবে। ২৬ সালের সি এস রেকর্ডেও শব্দটিও বানানে ‘সারসা’ লেখা আছে। পাকিস্তান আমলের ৬২’র জরিপ নকশা ম্যাপেও ওই বানানটি পাওয়া যাবে।সারসা’ শব্দটি ব্যক্তির নাম থেকে আসেনি এসেছে ‘সরস’ শব্দের অপভ্রংশ থেকে। আর শার্শা শব্দের উৎপত্তি জানতে ফিরে যেতে হবে দিল্লীর সুলতান শের শাহ’র শাসন আমলের দিকে। শের শাহ’র শাসনামল ছিল জনপ্রিয়।
সেই শের শাহ’র নামটি কালের আবর্তে পরিবর্তন হয়ে শার্শা শব্দটি উদ্ভব বা নতুন শব্দ হয়েছে অর্থেরও পরিবর্তন হয়েছে। বাংলাদেশ স্বাধীনের আগ পর্যন্ত আমাদের থানার নামটি লেখা হতো সারসা। ইতিহাস প্রশিদ্ধ এ নামটি বিশ পঞ্চাশ বছরনয় শত শত বছর আগে থেকেই তৎসম ‘সরস’ শব্দটি অপভ্রংশের মাধ্যমে ‘সারসা’ খাঁটি বাংলা শব্দ রুপে প্রকাশ পেয়েছে। সরস উর্বর সারসা অত্যন্ত শক্তিশালী অর্থ প্রকাশ করে।
সারসা বার্তার ২১তম বর্ষে পদার্পণে আমার সারসা বার্তার প্রাণপ্রিয় পাঠক সূধি জনদের সামনে কথাটি তুলে ধরা একান্ত আবশ্যক বলে মনে করি। ২০০৩ সারসা বার্তার ডিক্লারেশনের আবেদন করি আর ডিক্লারেশন পাই ২০০৫ সালের ২৫ আগস্ট। সাদা কালো কলেবরে প্রথম প্রকাশিত হয় অক্টোবরের ১ তারিখে। ইতোমধ্যে দুই দশক পেরিয়ে গেল, যাত্রা করলো ২১ বছরে। আল-হামদুলিল্লাহ! সবই আপনাদের দোয়া আর ভালোবাসায়।
ইত্যবসরে ঠাই করে নিয়েছে যশোরের ইতিহাসের পাতায় তথা বাংলাদেশের সংবাদপত্রের ইতিহাসে। আর এটাও সম্ভব হয়েছে আপনাদের সকলের ভালোবাসা আর সহযোগিতায়। সারসা বার্তার ২১ বছরে যাত্রা কালে আমরা প্রতিশ্রুতি দিতে চাই, শার্শার গণমানুষের একমাত্র রঙ্গিন পত্রিকাটি সুখে দুঃখে জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের মনের কথা দেশবাসীর কাছে তুলে ধরবে এবং জাতীয় উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে। পাশা পাশি সংবাদ পত্রটিকে আপনারা মূল্যবান পরামর্শ, মতামত এবং সার্বিক সহযোগিতা দিয়ে পাশে থাকবেন এটি আমাদের একমাত্র প্রত্যাশা। পরিশেষে সকলের সুখ ও শান্তিময় জীবন কামনা করি সবার জীবন ভরে যাক অপার্থিব আনন্দে।
আপনার মতামত লিখুন :