সিরিয়ায় বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সদস্যদের নিয়ে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নিয়োগ পেয়েছেন মোহাম্মদ আল বশির। মঙ্গলবার সিরিয়ার টেলিভিশনে দেওয়া এক ঘোষণায় বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করবেন। খবর রয়টার্স, স্কাই নিউজ, আলজাজিরার।
এদিকে প্রেসিডেন্ট আসাদের পতনের পর দুইদিনে ৩১০টি বিমান হামলা চালিয়ে সিরিয়ার সামরিক শক্তি গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইসরাইল।
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ পালিয়ে যাওয়ার পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের নেতৃত্বে রয়েছেন বিদ্রোহী জোটের প্রধান কমান্ডার আবু মোহাম্মদ আল জোলানি। তিনি একটি স্থিতিশীল প্রশাসন গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিয়েছেন।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া সংক্ষিপ্ত ভাষণে মোহাম্মাদ আল-বশির বলেছেন, ‘‘তিনি ১ মার্চ পর্যন্ত অন্তর্বর্তী কর্তৃপক্ষের নেতৃত্ব দেবেন।’’ ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলেছে, সিরিয়ার তুলনামূলক কম পরিচিত এই বিদ্রোহী নেতার অতীতে দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের ছোট এক অঞ্চলের প্রশাসন পরিচালনার অভিজ্ঞতা রয়েছে। ওই অঞ্চলটি বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে ছিল।
তিনি বলেছেন, ‘আজ আমরা মন্ত্রিসভার বৈঠক করেছি। বৈঠকে ইদলিব ও এর আশপাশের মুক্তিকালীন সরকারের একটি দল এবং ক্ষমতাচ্যুত সরকারে কাজ করা সদস্যরা অংশ নিয়েছিলেন।’
মোহাম্মদ আল-বশির বলেন, ‘অন্তর্বতীকালীন সরকারের কাছে ফাইল ও প্রতিষ্ঠান হস্তান্তর’ শিরোনামে ওই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। টেলিভিশনে ভাষণ দেওয়ার সময় সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রীর পেছনে দুটি পতাকা দেখা যায়।
এক দশকের বেশি সময়ের গৃহযুদ্ধকালীন আসাদের বিরোধীদের ব্যবহার করা সবুজ, কালো এবং সাদা রঙের একটি পতাকা এবং কালো কালিতে কালিমা লেখা আরেকটি সাদা পতাকা ছিল। সাধারণত সুন্নি ইসলামপন্থী যোদ্ধারা সিরিয়ায় কালো কালিতে কালিমা লেখা সাদা পতাকা উড়ান।
আপনার মতামত লিখুন :