সিলেটে ৮ দলের সমাবেশে ‘আগামী নির্বাচনে জনগণ ইসলামী শক্তিকে নির্বাচিত করবে’ বললেন জামায়াত আমির


Sarsa Barta প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ৬, ২০২৫, ৭:১৯ অপরাহ্ণ /
সিলেটে ৮ দলের সমাবেশে ‘আগামী নির্বাচনে জনগণ ইসলামী শক্তিকে নির্বাচিত করবে’ বললেন জামায়াত আমির
  • ‘তারা যদি চিন্তা করেন, বাঁকা পথে জনগণের রায়কে প্রশাসনিকভাবে ফল উল্টে ক্ষমতায় যাবেন, আমি তাদেরকে বলি, অতীত ভুলে যান, এই সূর্য বাংলাদেশে আর ফিরবে না।’

ইসলামপন্থীদের ইস্পাতকঠিন ঐক্য গড়ে তোলা হয়েছে উল্লেখ করে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা: শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘আগামী নির্বাচনে জনগণ ইসলামী শক্তিকে নির্বাচিত করবে।’ বিএনপিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘একটি দল এখনো পুরোনো জায়গায়, ধ্যান-ধারণায় পড়ে আছে। তারা সংস্কারে রাজি না। তারা জুলাই সনদ বাস্তবায়নে রাজি না। যারা এতদিন জাতিকে নির্বাচন নির্বাচন করে বেহুঁশ করে ফেলেছিল, তারা কেউ কেউ এখন আবোলতাবোল কথা বলতে শুরু করেছেন। তারা বুঝতে পেরেছেন, জনগণ তাদেরকে লাল কার্ড দেখানোর জন্য প্রস্তুত।’

শনিবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে ঐতিহাসিক সিলেট সরকারি আলীয়া মাদরাসা মাঠে ‘জাতীয় নির্বাচনের পূর্বেই গণভোট আয়োজন এবং ৫ দফা দাবিতে’ জামায়াতসহ ৮ দলের আয়োজনে সিলেট বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

লাখো মানুষের এ সমাবেশে ডা: শফিকুর রহমান বলেন, ‘তারা যদি চিন্তা করেন, বাঁকা পথে জনগণের রায়কে প্রশাসনিকভাবে ফল উল্টে ক্ষমতায় যাবেন, আমি তাদেরকে বলি, অতীত ভুলে যান, এই সূর্য বাংলাদেশে আর ফিরবে না।’

আগামী নির্বাচনে চাঁদাবাজ ও লুটেরাদের হাত থেকে দেশকে উদ্ধার করে জনগণ দেশপ্রেমিক শক্তির কাছে তুলে দেবে মন্তব্য করে জামায়াত আমির বলেন, ‘সমমনা ইসলামী ৮টি দল ঐক্যবদ্ধ, ইসলামপন্থীদের ইস্পাতকঠিন ঐক্য গড়ে তোলা হয়েছে।’

আট দলের বাইরে থাকা দু’তিনটি ইসলামী দলকে নিজ আঙ্গিনায় ফিরে আসার আহ্বান জানিয়ে ডা: শফিকুর রহমান বলেন, ‘আরো দুয়েকটি ইসলামী দল ৮ দলের বাইরে রয়েছেন, তারা চাঁদাবাজদের আঙ্গিনায় ঘুরাফেরা করছেন, আমরা বলবো, আপনাদের আঙ্গিনা সেটা নয়, ওই দলের শীর্ষ নেতা বলেন, শরিয়াহ আইন তারা বিশ্বাস করে না। তারা মুসলমানদের জঙ্গি বলে, তাদের সাথে আপনাদের মানায় না। সেখানে আপনারা বড় বেমানান হয়ে গেছেন। ঘরের ছেলে আপনারা ঘরে চলে আসুন। আমরা আপনাদেরকে বুকে জড়িয়ে কবুল করবো ইনশাআল্লাহ।’

‘আমরা আপনাদের সম্মান দেবো, ভালোবাসবো। আপনাদের সেখানে থাকার কোনো প্রয়োজন নেই।’ তিনি আরো বলেন, ‘আপনারা কেন চাঁদাবাজদের অংশীদার হবেন, কেন দখলদারিত্বের সমর্থক হবেন, আপনারা নিজ আঙ্গিনায় ফিরে আসুন, আপনারা আমাদের ভাই। কোরআনের ঠিকানায় মানবতার ঠিকানায় ফিরে আসুন। ইসলামপন্থীদের ইস্পাতকঠিন ঐক্য গড়ে তোলা হয়েছে। আগামী নির্বাচনে জনগণ ইসলামিক শক্তিকে নির্বাচিত করবে।’

বিএনপিকে ইঙ্গিত করে জামায়াত আমির বলেন, ‘ফ্যাসিস্টদের সাথে হাত মিলিয়ে তারা অমুক দেশ তমুক দেশের ভয় দেখান। আমরা একমাত্র আল্লাহকে ভয় করি। আমরা আর কাউকে পাত্তা দেই না। তারা কেউ রক্তচক্ষুর ভয় করে না। যারা দাদাদের তাঁবেদারি করেছে, তাদের কাছ থেকে শিখুন। তারা এই অখাদ্য ফেলতেও পারছে না, গিলতেও পারছে না। জনতার কাছে আসুন, না হয় জনগণ আপনাদের ছাড়বে না। আগামী নির্বাচনে লাল কার্ড দেখাবে।’

তিনি সিলেটবাসীর উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা অতীতেও জালিমদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নামকরণ বিরোধী আন্দোলনে বিজয় ছিনিয়ে নিয়ে এসেছেন। সিলেটবাসী কারো রক্তচক্ষুকে ভয় করে না। আগামী নির্বাচনে ইসলামের পক্ষে বিজয় ছিনিয়ে আনবে।’ জামায়াত আমির বলেন, ‘বাংলাদেশ বিপুল সম্পদে ভরপুর। তবুও ৫৪ বছরেও এ জাতি মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারেনি। বর্গিরা পালিয়ে গিয়েও সম্পদ পাচার করেছে। কিন্তু চাঁদাবাজ একদল পালিয়ে চলে গেছে, আরেক দল চাঁদাবাজির দায়িত্ব নিয়েছে, নিজেরা নিজেরা মারামারি করছে। নিজেরা নিজেদের কাছে নিরাপদ নয়, তাদের কাছে দেশ কিভাবে নিরাপদ হবে।’

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মো: রেজাউল করিম বলেন, ‘৫৪ বছর যারা আমাদেরকে জিম্মি করে রেখেছিল, আজ তারা নিজেরা নিজেদের কাছে নিরাপদ নয়। তারা নিজেরা হানাহানিতে লিপ্ত।’ তিনি বলেন, ‘আমরা হতবাক, আজকে সংস্কারে বাধা, নির্বাচনে বাধা, এই চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে গর্জে উঠতে হবে। আজ তারা নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে, যতই শয়তানি করুন, কোনো কাজ হবে না। জনগণ আপনাদের প্রত্যাখান করেছে।’ সৈয়দ রেজাউল করিম আরো বলেন, ‘আসুন গণভোটে এই চাঁদাবাজদের পরাজিত করি। হ্যাঁ-ভোট দিয়ে খুনি ও চাঁদাবাজদের গণভোটের মাধ্যমে নিপাত যাবে।’

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক বলেন, ‘বিগত ১৭ বছর রাষ্ট্রযন্ত্রের শিকার হয়েছিলেন এদেশের ইসলামপন্থীরা। জীবন দিয়েছে, নির্যাতিত হয়েছে তবুও নতিস্বীকার করেন নাই। জীবন দিয়ে বাংলার মাটি থেকে ফ্যাসিবাদ উৎখাত করেছে, নতুন করে কোনো ফ্যাসিবাদের উথান হতে দেবে না এদেশের জনগণ।’ তিনি বলেন, ‘জুলাই সনদ নিয়ে বাংলাদেশ আজ দুই শিবিরে বিভক্ত। একটি দল সংস্কার ও জুলাই সনদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে, যারা জুলাই সনদের বিপক্ষে প্রচারণা চালাবে, বাংলাদেশের জনগণ তাদেরকে প্রত্যাখান করবে। সমমনা ইসলামী ৮ দল ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশের মানুষের যে ভালোবাসা পেয়েছে, দেশ বিরোধী শক্তির মাথা নষ্ট হয়ে গেছে। ফ্যাসিবাদ আর মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে দেওয়া হবে না।’

তিনি বলেন, ‘যে আকাঙ্ক্ষা নিয়ে এদেশের জনগণ রক্ত দিয়েছে, সেই আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে ৮ দলকে ভোট দিতে হবে। একটি দল পরাজিত ফ্যাসিস্ট শক্তির সাথে হাত মিলিয়ে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে। এতদিন নির্বাচনের জন্য মুখে ফেনা তুললেও এখন নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র করছে, তাদের পায়ের তলায় মাটি নেই। জনগণ তাদেরকে প্রত্যাখান করেছে।’ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এ টি এম মা’ছুম বলেন, ‘দীর্ঘ ১৬ বছরের নজিরবিহীন হত্যা-নিপীড়নের কারিগর ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও তার দলবলকে ভারতে পালাতে বাধ্য করেছে এদেশের জনগণ। আওয়ামী লীগের শাসন ছিল এক অন্ধকার যুগ। এই অন্ধকার যুগ আর বাংলাদেশে ফিরে না আসুক। কল্যাণ রাষ্ট্র গড়তে হলে, মানবিক বাংলাদেশ গড়তে হলে কোরআনের দিকে ফিরে যেতে হবে। আর এজন্য ৮ দলকে বিজয়ী করতে হবে। ৮ দলই একমাত্র বৈষম্যহীন সমাজ গঠন করতে পারবে।’ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেন, ‘৫ দফা দাবিতে ৮ দল ঐক্যবদ্ধ হয়েছে, এই গণদাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ৮ দলের লড়াই অব্যাহত থাকবে। জুলাই সনদের আইনিভিত্তির জন্য গণভোট অপরিহার্য, জাতীয় নির্বাচনের আগেই গণভোট দিতে হবে। বাংলাদেশের প্রতিটি জনপদে জনতার ঢল নেমেছে, এটা প্রমাণ করে জুলাই সনদের পক্ষে হ্যাঁ’র জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘একটি দল সংস্কার নিয়ে নিয়ে কালক্ষেপণ করছে। জনগণের কাছে তাদের ক্ষমতা লিপ্সা স্পষ্ট, জনগণ আগামী নির্বাচনে তাদের প্রত্যাখান করবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘এদের (বিএনপি) দ্বারা দেশের কল্যাণ হয় নাই, ভবিষ্যতেও হবে না। আমরা ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন চাই, নির্বাচন নিয়ে কোনো কালক্ষেপণ ও টালবাহানা চলবে না। আজকে যারা দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে, সমাবেশে হামলা করছে, তাদেরকে গ্রেফতার করতে হবে। সুষ্ঠু নির্বাচনে কেউ টালবাহানা করলে ৮ দল সমুচিত জবাব দেবে।’ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেন, ‘সেকুলারপন্থী ও দেশবিরোধী শক্তিকে পরাজিত করে দেশে ইসলামপন্থীদের বিজয়ী করতে হবে। ইসলামের পথে শান্তির পথে দেশকে পরিচালিত করতে হবে। এ দেশে শরিয়াহবিরোধী শক্তিকে নির্মূল করতে হবে।

আগামী নির্বাচনে ৮ দলকে ভোট দিয়ে আধিপত্যবাদী ও দেশ বিরোধীদের পরাজিত করতে হবে। গণভোট হ্যাঁ ভোটকে বিজয়ী করতে হবে। জনগণ জেগে উঠেছে, আগামী নির্বাচনে ইসলামপন্থীদের বিজয়ী করবে। দালাল ও আধিপত্যবাদী শক্তিকে জনগণ আর গ্রহণ করতে চায় না। ২৪-এর বিপ্লবকে বৃথা যেতে দেয়া হবে না।’ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেন, ‘ভারতের কাছে মাথা বিক্রি করে ৫৪ বছরের পঁচা বস্তা মতবাদ নিয়ে ওরা আবার দেশ শাসন করতে চায়। বাংলাদেশের জনগণ তা চায় না। বাংলাদেশে আর দুর্নীতি চলবে না। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে ৮ দল কাজ করছে। সাম্য ও ন্যায়ের বাংলাদেশ গঠনে কাজ করছে। এই স্বপ্ন বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত ৮ দলের সংগ্রাম চলবে।’

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা ইউনূস আহমেদ বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পরেও দেশে চুরি, চাঁদাবাজি কমেনি। এক জালিমের বিদায় হয়েছে, নতুন জালিম ও চাঁদাবাজদের আগমন ঘটেছে। তাই এ থেকে মুক্তিতে প্রয়োজন ভালো নীতি ও সৎ লোকের শাসন। একমাত্র ইসলামপন্থীরাই দেশের মৌলিক পরিবর্তন আনতে পারবে। তাই আগামী নির্বাচনে ইসলামপন্থী ৮ দলকে বিজয়ী করতে হবে।’ বাংলাদেশ ডেভলপমেন্ট পার্টির সভাপতি অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল ইসলাম চান বলেন, ‘জুলাই বিপ্লব যে গণআকাঙ্ক্ষা নিয়ে হয়েছে, প্রশাসনকে সেই পালস বুঝতে হবে। প্রশাসনকে জনগণের কল্যাণে কাজ করতে হবে। জুলাই বিপ্লবের দাবি, জুলাই চেতনা ধারণ করে মানবিক বাংলাদেশ গঠন।’ তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম গণভোট হয়েছে এই সিলেটে। এই সিলেটই ’৪৭ সালের গণভোটে বিজয়ী হয়েছে, সুতরাং এই সিলেটবাসী এবারো গণভোটে হ্যাঁ ভোট দেবে। আর এর মাধ্যমে ন্যায় ও সাম্যের বাংলাদেশ গঠন হবে।’ জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির সহ-সভাপতি ও মুখপাত্র রাশেদ প্রধান বলেন, ‘আজকে সিলেটের সমাবেশের মধ্য দিয়ে, ৮ দলের সমাবেশ সমাপ্ত হয়েছে। জালিমরা যদি মনে করে, ৮ দলের সমাবেশ শেষ, তাহলে ভুল করবে। ৮ দল দেশের স্বার্থে জেগে উঠবে।’

সিলেট আলিয়া মাদরাসা মাঠে সমাবেশে যোগ দিতে সকাল থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী মিছিলে মিছিলে মুখরিত করে তোলে গোটা নগরীকে। এসময় সিলেট মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়। নগরের সড়কে যানবাহন চলাচল কমে আসে। শুধু চারদিকে মিছিলের দৃশ্যই দেখা যায়। খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা আব্দুল বাসিত আজাদের সভাপতিত্বে এবং সিলেট মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমির ড. নূরুল ইসলাম বাবুল, সেক্রেটারি মুহাম্মদ শাহজাহান আলী ও সিলেট জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি জয়নাল আবেদীনের যৌথ পরিচালনায় সমাবেশে অন্যদের বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমির মাওলানা রেজাউল করিম জালালী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির মাওলানা মোসাদ্দেক বিল্লাহ মাদানী, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুল মাজেদ আজহারি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমির মুজিবুর রহমান হামিদী, সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির আমির অধ্যক্ষ মাওলানা সরওয়ার কামাল আজিজী, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমির মাওলানা হাবীবুল্লাহ মিয়াজী, খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মুনতাসীর আলী, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক মাওলানা তৌহিদুজ্জামান, সিলেট জেলা জামায়াতের আমির ও সিলেট-১ আসনের এমপি পদপ্রার্থী মাওলানা হাবিবুর রহমান, সিলেট মহানগর জামায়াতের আমির মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম প্রমুখ।