সীমান্তে বাংলাদেশীকে কুপিয়ে হত্যায় ভারতীয় নাগরিকসহ ৭ জনের নামে মামলা – ছবি : সংগৃহীত
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া সীমান্তবর্তী এলাকায় এক বাংলাদেশী যুবক আহাদ আলীকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করেছে ভারতীয় নাগরিকরা। এ ঘটনায় ভারতীয় নাগরিকসহ সাতজনের নামে মামলা হয়েছে। রোববার (২৭ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টার দিকে কুলাউড়া থানায় মামলা করেন নিহতের স্ত্রী জমিরূন্নেছা। মামলায় এজাহারভুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশী নাগরিকও রয়েছেন।
এর আগে রোববার দুপুরে ভারতীয়দের হামলায় গুরুতর আহত যুবকের সন্ধ্যায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়।
ঘটনাটি কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের দশটেকি (নতুন বস্তি) এওলাছড়া এলাকায় ঘটেছে। নিহত যুবক ওই এলাকার ইউসুফ আলীর ছেলে।
জানা গেছে, রোববার দুপুরে জমি-সংক্রান্ত বিষয়ে ভারতীয় কয়েকজনের সাথে বাকবিতণ্ডা হয় বাংলাদেশী বাসিন্দা আহাদ আলীর। একপর্যায়ে ভারতীয় নাগরিক হায়দার আলী ও তার সহযোগীরা আন্তর্জাতিক সীমানা রেখার পাঁচ গজ ভেতরে ঢুকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে তাকে। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কুলাউড়া সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায় স্থানীয়রা। পরে অবস্থার অবনতি হলে সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এওলাছড়া বস্তির বিপরীতের এলাকা ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের ইরানী থানায় পড়েছে। আহাদের শ্বশুরবাড়ি সীমান্তের ওপারে। সেখানে ভারতের কাঁটাতারের বাইরে আহাদের শ্বশুরবাড়ির কিছু জমি রয়েছে। হায়দার আলী নামের ভারতের এক নাগরিক ওই জমি বর্গা নিয়েছেন। কিন্তু হায়দার বর্গা নেয়ার টাকা নিয়মিত পরিশোধ করেন না।
এ নিয়ে আহাদের সাথে হায়দার আলীর বিরোধ চলছিল। এর জেরে হায়দার রোববার দুপুরের দিকে আহাদকে সীমান্তে ডেকে নেন। কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে হায়দার ও তার কয়েকজন সহযোগী ধারাল অস্ত্র দিয়ে আহাদকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ফেলে রেখে চলে যান।
কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম আফসার জানান, বিজিবির মাধ্যমে ভারতীয় পুলিশের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে যেন হত্যা মামলার ভারতীয় আসামিদের ভারতীয় পুলিশ আটক করে।
মুরাইছড়া বিজিবির টহলদল জানায়, তাৎক্ষণিক বিএসএফকে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। বাকি বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বলতে পারবেন।
আপনার মতামত লিখুন :