সেনাবাহিনীর একদল চৌকস সদস্য পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের অভ্যন্তরের একটি খালে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ আমদানি নিষিদ্ধ পাতার বিড়ি ও ক্যান্সারের ঔষধ উদ্ধার করেছে। শুক্রবার (৮ আগস্ট) ভোরে গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তায় চোরাকারবারীদের কবল থেকে তারা এসব অবৈধভাবে ভারত থেকে আনা সরঞ্জামাদি উদ্ধার করেন।
এ সময়ে অবৈধভাবে ভারতীয় মালামাল নেওয়ার সাথে জড়িত আজিজুল হক (৩৮), আব্দুস সোবহান মোল্ল্যা (৪০), দেলোয়ার হোসেন বাবু (৪০) এবং আশরাফ আলী (২৮) কে সেনাবাহিনীর সদস্যরা আটক করে। আটককৃতরা হলেন, কৈখালী রুহুল আমিন, বৈশখালীর মোহাম্মদ মোল্লা, ভেটখালীর ফারুক গাজী ও কৈখালীর মনসুর মোল্লার ছেলে।
এর আগে গত ৭ আগস্ট ভিত্তিতে আজিজুল গ্রুপের পান্ডা সুন্দরবনের চিহ্নিত অপরাধী চিহ্নিত বনদস্যু জামির আলী (৫৫) আলমগীর হোসেন বাবুসহ তাদের অপর এক সহযোগীকে সেনাবাহিনীর একটি চৌকষ দলের সদস্যরা একটি এক নলা একটি বন্দুক এবং চৌদ্দ রাউন্ড কার্তুসসহ আটক করেছেন।
পরবর্তীতে সেনাবাহিনীর জিজ্ঞাসাবাদ জামু এবং তার সহযোগিরা সুন্দরবনের ভেতরে আত্মগোপনে থাকা আজিজুলসহ অপর সহযোগিদের নাম প্রকাশ করে। এক পর্যায়ে সেনাবাহিনীর চৌকষ সদস্যরা ৮ আগস্ট সুন্দরবনের ভেতরে অভিযান চালিয়ে ভারত থেকে চোরাই পথে আনা বিপুল পরিমাণ পাতা বিড়ি, ক্যান্সারের ওষুধসহ সীমান্ত পেরিয়ে আসা মালামাল জব্দ করা হয়।
উদ্ধারকৃত ভারতীয় মালামালের মধ্যে রয়েছে ৫০ লক্ষাধিক টাকা মূল্যের ১৫ বস্তা চোরাই মালামাল।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে আটক ব্যক্তিরা সুন্দরবন এলাকার একটি কুখ্যাত চোরাচালান চক্রের সদস্য। যারা নানাবিধ চোরাচালান ও মানবপাচারের সাথে জড়িত এবং যা দেশের রাজস্বের জন্য গুরুতর হুমকি।
সেনাবাহিনীর সূত্র জানায়, অভিযানের পর আটক আসামি ও জব্দকৃত মালামাল কালিগঞ্জ ক্যাম্পে আনা হয় এবং প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শ্যামনগর থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়।
জব্দকৃত মালামালের মধ্যে রয়েছে ভারতীয় পাতা বিড়ি ১২ লাখ ৮০০ পিস ও ক্যান্সারের ওষুধ, Methoxsalen 10 mg, Valganciclovir p 450 mg, Defrijet 500 mg সহ মোট ২৬ হাজার ২৩০ পিস ও অন্যান্য ওষুধ ৯৮২ পিস।
আপনার মতামত লিখুন :