জন্ম : ২৬ মার্চ ১৯২২। মৃত্যু : ২৫ জুলাই ২০০২
সৈয়দ আলী আহসান কি দার্শনিক ছিলেন? বিশ শতকের চল্লিশের দশকে দেশভাগের সময়ে বাংলা কবিতায় তার উপস্থিতি স্পষ্ট হলেও পরবর্তীকালে কবিতার ভুবনে খুব প্রভাব বিস্তার করতে পেরেছেন, এমন নয়। তাহলে আজও কী করে আলোচনার মধ্যে রয়ে গেলেন তিনি? অনেকের হয়তো মানতে কষ্ট হবে, তারপরও ভাবনার বিষয় হলো তিনি টিকে রয়েছেন তার গদ্যচিন্তা এবং শিক্ষা ও সমাজ-সংস্কৃতি সংশ্লিষ্ট দার্শনিক অবস্থানের কারণে।
মনে রাখতে হবে, বাংলা ভাগের সময়ে তিনি ‘অপশন’ দিয়ে কলকাতা তথা পশ্চিম বাংলায় না থেকে ‘পূর্ব বাংলা’কেই বেছে নিয়েছিলেন। পূর্ব বাংলার অপার স্নিগ্ধতায় সেই সময়কার তার কবিতা যাপনের কথা অন্তত সাহিত্যবোদ্ধাদের অজানা নয়। প্রশ্ন হতে পারে, কেন সৈয়দ আলী আহসান পশ্চিম বাংলাকে গ্রহণ করলেন না? কেন তিনি তুলনামূলক ‘ছোট’ পরিসর ঢাকাকেন্দ্রিক সাহিত্য অভিযাত্রায় পা বাড়ালেন। বিষয়টির গভীরে যেতে হলে আলী আহসানের চিন্তাধারার শেকড়ের দিকে তাকাতে হবে। ভাবতে অবাক লাগে, সৈয়দ আলী আহসানের ‘আমার পূর্ব বাংলা’ কবিতার ব্যঞ্জনা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের কাছে বিলিয়ে চলেছে অভাবনীয় অনুভব। আর সত্যিকার অর্থে ওই কবিতায়ই গাঁথা হয়ে আছে সবুজ বাংলার এই কবির প্রাণের আকুলতা।
কবিতাটি থেকে খানিকটা পাঠ নেয়া যেতে পারে : ‘আমার পূর্ব বাংলা একগুচ্ছ স্নিগ্ধ/ অন্ধকারের তমাল/অনেক পাতার ঘনিষ্ঠতায়/একটি প্রগাঢ় নিকুঞ্জ/সন্ধ্যার উন্মেষের মতো/ সরোবরের অতলের মতো/কালো কেশ মেঘের সঞ্চয়ের মতো/বিমুগ্ধ বেদনার শান্তি/আমার পূর্ব বাংলা বর্ষার অন্ধকারের অনুরাগ/হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া/ সিক্ত নীলাম্বরী/ নিকুঞ্জের তমাল কনক-লতায় ঘেরা/কবরী এলো করে আকাশ দেখার মুহূর্ত/আমার পূর্ব-বাংলা অনেক রাতে গাছের/পাতার বৃষ্টির শব্দের মতো/কখনো মৃদঙ্গ, হঠাৎ কখনো বেহালা-/একসময় বাঁশির সুর/যখন রাত্রে একাকী ঘুম ভাঙে/অনবরত কোমল কোলাহলে/স্বপ্নের মতো পাতায় পাতায়/শব্দকে দেখি/তার আকুল বিকাশ/অন্ধকার আকাশের চেতনার মতো/যে চেতনা এক সময় অতল অবলুপ্তি/এক সময় কালো চোখের তন্দ্রা/এক সময় বিদ্যুৎ বিকাশ/এক সময় হঠাৎ জাগরিত বজ্র এবং/চোখ চেয়ে দেখার কথায়/ ভরপুর…।’ -এই পূর্ব বাংলাকে তিনি ধারণ করেছিলেন; তাকে হারাতে চাননি কবি।
অন্যভাবে চিন্তা করলে দেখা যাবে, ব্যক্তিগতভাবে সৈয়দ আলী আহসান ছিলেন ‘সাউথ-ওয়েস্ট’ ঘরানার চিন্তাবিদ। ব্যাপারটা এবার একটু খোলাসা করা যেতে পারে। চেতনায় তিনি দক্ষিণপন্থায় আস্থাশীল ছিলেন; মানে বাম নয়, ডানেই ছিল তার পরিষ্কার পক্ষপাত। আর যদি পশ্চিমের কথায় আসতে হয়, তার আগে দেখে নিতে হবে বাঙালির ‘কেবলা’ কিংবা পশ্চিমের ডিরেকশন ভাবনাগুলো। সৈয়দ আলী আহসান যে তাল-তমালের পূর্ব বাংলায় বিচরণ করেছেন, সেখানে চারটি পশ্চিম নানানভাবে প্রভাব ছড়িয়েছে : মক্কা-মদিনা, ওয়েস্টার্ন শিল্প-সাহিত্য, পশ্চিম পাকিস্তান এবং কলকাতাময় বাংলা ভাষাভিত্তিক পশ্চিম বাংলা।
তিনি যেহেতু ডানপন্থায় আস্থা রেখেছিলেন, কাজেই নীতিগতভাবে চিন্তা ও কাজে সেই ভাবধারা প্রয়োগ করারই চেষ্টা করেছেন। আর বাংলার ভাবনায় তিনি পূর্ব পাকিস্তানকেন্দ্রিক ‘বাঙালি’ জাতীয়তাবাদ এবং আরো পরে ‘বাংলাদেশী’ জাতীয়তাবাদকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়ার সাংস্কৃতিক সংগ্রামের ভেতর দিয়ে নিজের শৈল্পিক-পরিভ্রমণ অব্যাহত রেখেছিলেন নিবিড় প্রত্যয়ে। ‘বাঙালি’ সংস্কৃতির সাম্প্রদায়িকতা-অসাম্প্রদায়িকতার বিতর্ক তো আজও অমীমাংসিত রয়ে গেছে ব্যাপক পরিসরে; কাজেই সেই বিতণ্ডায় না গিয়ে শুধু তার ‘দক্ষিণ-পশ্চিম’ ঘরানায় বিচরণ ও উত্তরাধিকারের বিষয়টি অনুধাবন করার চেষ্টা করা যেতে পারে।
সৈয়দ আলী আহসান যে ‘ স্রোতবাহী নদী’ দেখেছেন, তারই নিয়ম-মাফিক প্রবাহ প্রত্যাশা করেছেন আজীবন। কিন্তু চরম এক বাস্তবতা হলো- তিনি নদীমাতৃক বাংলাদেশের সেই চিরচেনা ধারাটিকে স্তব্ধ হয়ে যেতে দেখেছেন। ভূ-রাজনৈতিক যে জটিলতায় বিপন্ন হয়েছে তার প্রিয় এই দেশ, তাকে বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে মোকাবেলা করতে গিয়ে তিনিও পড়েছেন নানান শুভ-অশুভের মায়াজালে। কারণ, আর যেভাবেই দেখা হোক না কেন, ফারাক্কা, তিস্তা প্রভৃতি প্রসঙ্গ এই ভূখণ্ডের কৃষিজ ও আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থায় ব্যাপক বিরূপ প্রভাব ফেলেছে এবং এসব আলোচনা কখনোই কারো জন্য স্বস্তি নিয়ে আসেনি। প্রাকৃতিকভাবে যদি সৈয়দ আলী আহসানের ভাবগত অবস্থানকে ব্যাখ্যা করতে উদ্যোগী হওয়া যায়, তাহলে দেখা যাবে, দশদিকের একদিক যে নৈঋত (‘দক্ষিণ-পশ্চিম’) তা এই শুভ-অশুভের দোলায় দুলছে অনন্তকাল ধরে।
‘ডানপন্থী’ হওয়ার কারণে সৈয়দ আলী আহসানের চিন্তা বারবার বাধাগ্রস্ত হয়েছে। সরকার ও রাজনীতির কারণে কখনো তিনি চলে গেছেন আলোচনার অন্তরালে। তবে, তিনি ঠিকই প্রভাব বিস্তার করতে পেরেছেন; কেননা, প্রায় সবক্ষেত্রে বামপন্থার ঘড়ির কাঁটা একসময় ‘ডান দিকে হেলে থেমে যায়’! বাংলাদেশে সাহিত্যজগতে এবং শিক্ষাভুবনে সৈয়দ আলী আহসান বারবার প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছেন। তার সবচেয়ে বড় কারণ হলো- এখানে স্রোতবাহী নদীর মতোই প্রাতিস্বিক জাতীয়তাবাদ আন্দোলন ভেতরে ভেতরে সবসময় প্রবাহিত থেকেছে। যে কারণে আলী আহসান কখনো কখনো কম আলোচনায় থেকেছেন, সেই একই কারণে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, কবি ফররুখ আহমদ, আল মাহমুদরাও ‘অবহেলা’ বা ‘গালিগালাজে’ আক্রান্ত হয়েছেন। কিন্তু কী দারুণ প্রভাব ও উত্তরাধিকার তারা রেখে চলেছেন, তা গভীর বিশ্লেষণের দাবি রাখে।
সৈয়দ আলী আহসান মূলত আলোচিত থেকেছেন ও রয়েছেন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ‘ডান’-ঘরানার শিক্ষিত মধ্যবিত্ত সমাজে। অনেকে লেখালেখির ক্ষেত্রে তার গদ্যশৈলীর ভক্ত, কেউ কেউ শিক্ষাবিদ হিসেবে তার প্রজ্ঞার প্রশংসা করেন। কেউবা স্রেফ কবি হিসেবেই মানেন তাকে। কিন্তু যদি সরলভাবে ভাবা হয়, তাহলে কতগুলো প্রশ্ন সামনে আসবে; এত অধ্যাপকের ভিড়ে, এত গদ্যশিল্পীর ভেতর থেকে কী কারণে টিকে গেলেন সৈয়দ আলী আহসান?
সংস্কৃতির ঐতিহ্যগত শক্তিকে ধারণ করেই যে জাতীয়তাবাদের ভিত্তি গড়ে ওঠে, তা সৈয়দ আলী আহসান বিশ্বাস করতেন। ধর্মও যে সংস্কৃতির কাঠামো নিয়ন্ত্রণ করে, ইউনেস্কোর এমন নীতিকে সমর্থন করতেন তিনি এবং বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের বিকাশে সেই নীতি লালনের পক্ষেও তার ছিল জোরালো ভূমিকা। এ বিষয়ে তিনি বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ : আমাদের আত্ম-পরিচয় গ্রন্থে লিখেছেন- ‘বাংলাদেশে প্রধানত ধর্মীয় বিশ^াস এবং প্রেরণা সংস্কৃতি বিকাশের ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা পালন করছে। মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ এবং খ্রিষ্টান সবার ক্ষেত্রেই ধর্মবিশ^াসটি জীবনের প্রেরণার উৎস। এ দেশের বিভিন্ন উৎসবের উৎস অনুসন্ধান করলে দেখা যাবে, সেগুলোর প্রায় সব কয়টিই ধর্মভিত্তিক। ধর্মভিত্তিক হয়েও সব উৎসব আয়োজনের মধ্যে একটি উদারতা সহনশীলতা এবং সব শ্রেণীর মানুষকে একসাথে গ্রহণ করার একটি প্রবণতা লক্ষ করা যায়।’
লক্ষ করলে দেখা যাবে, কবিতায় এবং শিক্ষাচিন্তায় তিনি ‘শব্দ’কে খুব গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি বিশ্বাস করতেন, শব্দ যেমন অনুভূতি প্রকাশ করে, তেমনি তা মানুষের আকাক্সক্ষাকেও ধারণ করে। তাই শব্দ নির্বাচন ও প্রক্ষেপণ তার কাছে ছিল আরাধনার বিষয়। সৈয়দ আলী আহসান ছিলেন সৃজনশীলতা ও মননশীলতার সমন্বয়ে আস্থাশীল কবি ও অধ্যাপক। শিক্ষা-প্রশাসক হিসেবে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়কে সৌহার্দ্য ও মানবীয় বৈশিষ্ট্য-বিকাশের কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন। ভেবেছিলেন শিক্ষকরা জ্ঞানে ও প্রজ্ঞায় ছাত্র-ছাত্রীদের মনে ও চিন্তায় জানার আগ্রহে জাগিয়ে তুলবেন। কিন্তু তিনি পারেননি। সার্বিকভাবে বাংলাদেশের শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে সে আবহ সৃষ্টি হতে পারেনি। এর জন্য তিনি দায়ী করেছেন রাজনৈতিক দলের প্রভাবকে। তিনি লক্ষ করেছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ শিক্ষকদের কাছে নয়, রাজনীতিবিদদের হাতে। এই ধারাকে সমাজের একরকম বিপর্যয়রূপেই চিহ্নিত করতে চেয়েছেন তিনি।
সৈয়দ আলী আহসান প্রখর রাজনীতি সচেতন বুদ্ধিজীবী। তিনি প্রত্যক্ষভাবে রাজনীতিকে যাপন করেছেন বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান-প্রধানের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে। তবে, মানুষ, সমাজ ও জীবনের প্রতি অপার শ্রদ্ধার কারণে অপারগতাকে স্বীকার করতে কিংবা সত্যকে প্রকাশ করতে দেরি করেননি কখনো। প্রতিদিনের ঘটনা ডায়েরিতে লিখে রাখার অভ্যাস ছিল তার। সেসব দিনলিপিই তার যাপিত জীবন এবং সমকালীন সমাজ-পরিপ্রেক্ষিতের ঐতিহাসিক উপাদান হয়ে টিকে রয়েছে আজও। স্বাধীনতা-পরবর্তী বাংলাদেশের পরিস্থিতির বিবরণ পাওয়া যায় তার ‘১৯৭৫ সাল’ শিরোনামের রোজনামচায়।
তিনি ১৯৭৫ সালের ১ জানুয়ারি লিখেছেন, ‘দেশের সর্বোচ্চ প্রশাসন ছাত্রদের ওপর প্রভাব বিস্তার করছে এবং তাদের আশ্রয়পুষ্ট ছাত্ররা শিক্ষাঙ্গনে অস্থিরতা তৈরি করছে। ছাত্রদের রাজনৈতিক দলভুক্তি বড় কথা নয়, বড় কথা হচ্ছে- রাজনৈতিক বিরোধ থেকে হিংস্রতার সৃষ্টি এবং মানবীয় বোধের সম্পূর্ণ অবমূল্যায়ন।’ – এমন পরিস্থিতির ভেতরে তিনি ছিলেন উপাচর্যের দায়িত্বে। বিশ্ববিদ্যালয়ের যে সাধারণ ধর্ম- সৃজনশীলতা ও চিন্তার বিকাশ, সেদিকে প্রতিষ্ঠান ধাবিত করার চেষ্টা তিনি করেছেন। কিন্তু ব্যর্থ হয়েছেন রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক অপ-প্রভাবে। তার শিক্ষাদর্শন প্রতিষ্ঠা পায়নি বটে কিন্তু উত্তরকালেও তিনি রয়ে গেছেন বাংলাদেশের শিক্ষাদর্শনের অলিগলিতে। অনেক উপাচার্যের সারিতে তিনি এক অনন্য ও আলাদা শিক্ষাবিদ হয়ে টিকে গেছেন হয়তো তার ব্যক্তিত্ব ও পাণ্ডিত্যের প্রভায়।
সৈয়দ আলী আহসান করাচি, কলকাতা, ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহীতে অধ্যাপনাকালে নৈতিক, মৌলিক ও ফলপ্রসূ শিক্ষার ধারণা এবং পাকিস্তান বেতারের কর্মী হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময়ে সাংগঠনিক সৃজনশীলতা প্রচার করেছেন। এ ছাড়া ইউজিসির চেয়ারম্যান এবং বাংলা একাডেমির পরিচালকের (তখনো মহাপরিচালক পদ সৃষ্ট হয়নি) দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কিংবা সরকারের উচ্চপর্যায়ে কাজ করার সময় তিনি প্রশাসকের চেয়ে প্রতিপালকের ভূমিকা নিয়ে প্রশংসনীয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। সমকালে তিনি ছিলেন সর্বজনবিদিত সামাজিক-অভিভাবক। যেকোনো অংশগ্রহণমূলক কাজ যে প্রতিষ্ঠান এবং রাষ্ট্রের জন্য কতটা জরুরি, তা তিনি উপলব্ধি করেছেন; সাধ্যমতো সেই ধারণা প্রয়োগ করারও চেষ্টা করেছেন।
সৈয়দ আলী আহসানের স্বপ্নের সমাজ-কাঠামো বাংলাদেশে অনুপস্থিত ঠিকই কিন্তু প্রজন্মান্তরে রয়ে গেছে তার চিন্তা ও চেতনার প্রবাহ। তাই আজকের দিনে তার প্রাসঙ্গিকতা সামনে এলে মনে প্রশ্ন জাগে- তিনি কি কেবলই কবি ছিলেন? তিনি কি শুধু শাদামাটা কোনো শিক্ষক বা গবেষক ছিলেন? না-কি তিনি ছিলেন একজন দার্শনিক? পরবর্তী প্রজন্মের একটি ধারা তাকে অনুসরণ করছে, কী কারণে? এসব জিজ্ঞাসা নিয়ে যত বেশি নাড়াচাড়া হবে, ততই স্পষ্ট হবে সৈয়দ আলী আহসানের সাহিত্যিক-সামাজিক-রাষ্ট্রীয় অবদান ও অবস্থান।
ড. ফজলুল হক সৈকত
আপনার মতামত লিখুন :