স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের বেনাপোল পরিদর্শন ও মতবিনিময়


Al Amin প্রকাশের সময় : অক্টোবর ১৮, ২০২৪, ৯:২১ অপরাহ্ণ /
স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের বেনাপোল পরিদর্শন ও মতবিনিময়

বেনাপোল প্রতিনিধি: বাণিজ্য সম্প্রসারণের লক্ষ্যে যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর ব্যবহারকারী ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সাথে মত বিনিময় সভা ও বন্দরের কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মানজারুল মান্নান।

(১৮ অক্টোবর) শুক্রবার দুপুরে বেনাপোল স্থলবন্দর অডিটোরিয়ামে বাণিজ্যিক সংশ্লিষ্টদের সাথে তিনি মত বিনিময় সভা করেন।

এসময় তার সফর সঙ্গী ছিলেন, বাংলাদেশ স্থলবন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) হারুনুর রশিদ।

বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক(ট্রাফিক) রাশেদুল সজিব নাজিরের সভাপতিত্বে এ সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বেনাপোল কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার সায়েদুল ইসলাম, শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী নাজিব হাসান, বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি মো: রাসেল মিয়া, ইমিগ্রেশন পুলিশের পরিদর্শক মো: ওমর ফারুক মজুমদার, বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি মফিজুর রহমান সজন, দপ্তর সম্পাদক মোস্তাফিজ্জোহা সেলিম, বন্দর বিষয়ক সম্পাদক মোঃ মেহেরুল্লাহ, ভারত-বাংলাদেশ ল্যান্ডপোর্ট চেম্বার কমার্সের সভাপতি মতিয়ার রহমান, বেনাপোল চেকপোষ্ট আইসিপি বিজিবি ক্যাম্পের সুবেদার মামুন সিকদার ,ট্রান্সপোর্ট মালিক সমিতির সভাপতি আতিকুজ্জামান সনি, বেনাপোল স্থলবন্দর চেকপোষ্ট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আজিজুল হক সহ বানিজ্যিক সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা,কর্মী ও গণমাধ্যম কর্মীরা।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের দপ্তর সম্পাদক মোস্তাফিজ্জোহা সেলিম বেনাপোল বন্দরের সার্বিক বিষয় নিয়ে তার বক্তব্যে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, প্রথমত এ বন্দরকে সকল দুর্নীতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। সিসিটিভি গুলো মনিটরিং করার একজন দক্ষ লোক দরকার। বন্দরের ক্রেন ও ফর্কলিফ্ট অন্যের থেকে টেন্ডারে নেওয়াতে অনেক দুর্নীতি ও অনিয়মের মধ্যে থাকে।

এই সবের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসতে হলে বন্দর কর্তৃপক্ষের নিজস্ব ক্রেন ও ফর্কলিফ্ট থাকা প্রয়োজন। তিনি আরো বলেন, এ বন্দরটির ধারণ ক্ষমতার চাইতে ১০ গুণ বেশি মালামাল এখানে লোড আনলোড করা হয় অতএব, এ বন্দরটি কে একটি আধুনিক বন্দরে রূপান্তরিত করতে হলে আরো অনেক জায়গার প্রয়োজন। এ বন্দরে জায়গা কম থাকার কারনে বেনাপোলের মেইন রাস্তায় যানজটের কারনে এক দিকে আমদানী রপ্তানীর উপর চরম প্রভাব পড়ছে অন্যদিকে দ্রুত মালামাল খালাশ না হওয়াতে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে ব্যবসায়ীরা এবং রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। সভায় ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা বাণিজ্য সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে বেনাপোল ও পেট্রাপোল বন্দর অভ্যন্তরে নানান বাঁধা ও বৈষম্যের কথা তুলে ধরে প্রতিকারের আহবান জানান। পরে স্থলবন্দর চেয়ারম্যান এসব সমস্যা সমাধানের নির্দেশনা দিয়ে বাণিজ্য গতিশীলের আশ্বাস দেন।

সভা শেষে বন্দরে বাণিজ্যিক কার্যক্রম ও ইমিগ্রেশনে পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত পরিদর্শন করেন।