মাদ্রিদ প্রবাসী বাংলাদেশীদের পরিচালিত সর্ববৃহৎ বায়তুল মোকাররম জামে মসজিদের দলিল রেজিস্ট্রি সম্পন্ন হয়েছে। মাদ্রিদের বালেস্ক নোটারি পাবলিক অফিসে এটি রেজিস্ট্রি হয়। বাংলাদেশি অধ্যুষিত লাভাপিয়েছ এলাকায় প্রায় ৪৪০ মিটার আয়তনের মসজিদটি এক মিলিয়ন ইউরো ব্যয়ে ২৭ জুলাই সকাল ১০ টা ৩০ মিনিটে রেজিস্ট্রি হয়েছে। দলিলে স্বাক্ষর করেন মসজিদ কমিটির পক্ষে সভাপতি খোরশেদ আলম মজুমদার ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালেক।
এসময় অন্যতম উদ্যোক্তাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ এসোসিয়েশন স্পেনের সভাপতি আল মামুন ,সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি আল আমিন,বাইতুল মোকাররম জামে মসজিদের খতিব হাসান বিন আব্দুল্লাহ, মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুল খালেক ,সাবেক সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা , ঢাকা জেলা এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এস এম۔ মাসুদ, ভালিয়ান্তে বাংলার সভাপতি ফজলে এলাহী, কমিউনিটি নেতা মোহাম্মদ ইব্রাহিম, সাইফুল ইসলাম ও সাংবাদিক বকুল খান।
২০০৬ সালে বায়তুল মোকারম মসজিদ বর্তমান ক্যালে প্রভিশন্স (calle provisiones) থেকে যাত্রা শুরু করে । দীর্ঘ ১৬ বছর পর কর্ডোভার মুসলিম সভ্যতার স্মৃতিবিজড়িত স্পেনে স্থায়ী ভবন ক্রয়ের মধ্যে দিয়ে বহুদিনের একটি স্বপ্নের মসজিদ কাম ইসলামী কমপ্লেক্স নির্মাণ আলোর পথে এক ধাপ এগিয়ে গেলো ।
প্রবাসী বাংলাদেশি অধ্যুষিত লাভাপিয়েছ এলাকায় এই মসজিদ স্থায়ীকরণের মধ্য দিয়ে ইসলামী সংস্কৃতি, ইসলামী শিক্ষার প্রসার, প্রচার এবং নতুন প্রজন্মকে দ্বিনের আলোয় আলোকিত করতে নতুন দিগন্তের সূচনা হয়েছে বলে মনে করেন ধর্মপ্রাণ মুসলমান।
মসজিদ কমিটির বর্তমান সভাপতি, স্থায়ী ভবন ক্রয়ের অন্যতম উদ্যোক্তা খোরশেদ আলম মজুমদার আবেগে আপ্লুত হয়ে বলেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে লাখ লাখ শুকরিয়া, তার কৃপায় আমি-আমরা যে ভবনে দীর্ঘদিন নামাজ পড়েছি সেই জায়গায় স্থায়ী মসজিদ করতে পেরেছি ।
যেই দেশে একদিন ৭০০ বছর শাসন করে ইসলামের সূর্য অস্তমিত হয়েছিল, সেখানে আজ আমরা নতুনভাবে মসজিদের স্থায়ী ভবন ক্রয় করতে পেরেছি । এটা অনেক বড় নিয়ামত । এর যাযা মাদ্রিদের প্রত্যেক মুসলমান ভাই-বোন পাবেন ইনশাআল্লাহ। মাদ্রিদের প্রাণকেন্দ্রে মসজিদ নির্মাণে ভিন্ন সংস্কৃতিতে ইসলাম চর্চায় শক্তভিত্তি স্থাপনে মাইলফলক হিসেবে ভূমিকা রাখবে । মাদ্রিদের বালেস্ক ২৮-তিন নোটারি অফিসের দলিলপত্র পড়ে শুনান নোটারি পাবলিকের পক্ষে আলবারো ফার্নান্দেজ পিযেররা ।
পরে বাইতুল মামুর জামে মসজিদের ভবনের মালিক সের্খিও বারবারা ক্যাসিও আনুষ্ঠানিকভাবে ভবনের রেজিস্ট্রিকৃত দলিল এবং চাবি হস্তান্তর করেন মসজিদ কমিটির সভাপতি খোরশেদ আলমের কাছে । বাংলাদেশ এসোসিয়েশনের সভাপতি আল মামুন প্রতিক্রিয়ায় বলেন ,দীর্ঘ ত্রিশ বছরের লালিত স্বপ্ন ছিল মসজিদের জন্য একটি স্থায়ী ভবন ক্রয়। সকলের সহযোগিতায় এটি করতে পেরেছি এজন্য আমরা খুবই আনন্দিত ।
এসোসিয়েশনের সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আল আমিন মিয়া বলেন, সম্মিলিত প্রচেষ্টায় স্থায়ীকরণের মধ্য দিয়ে ভিন দেশে ইসলামী সংস্কৃতি প্রচারে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে বলে বিশ্বাস করি। মসজিদ কমিটির সাবেক সভাপতি জামাল উদ্দিন মনির ক্ষুদে বার্তায় জানান, প্রবাসে শুধু নিজেকে সফল এবং স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি ইহকাল এবং পরকাল এর জন্য দ্বীনি কাজে সম্পৃক্ত রাখতে মসজিদের স্থায়ী ভবন ক্রয় যুগান্তকারী উদ্যোগ হয়ে থাকবে । বর্তমান মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবদুল খালেক বলেন, প্রবাসে আমাদের নতুন প্রজন্ম আলোর পথ দেখবে বায়তুল মোকাররম জামে মসজিদের ছায়াতলে।