রোববার (২ মার্চ) নির্দেশিকাটি জারি করা হয়। বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে যে নিরাপত্তা প্ররক্ষা নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে, এখানে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতিকে রেঞ্জ ডিআইজি, পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ বাকিগুলোর সাথে একইরকম তুলনা করা হয়েছে।
‘গুরুত্বপূর্ণ বা বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে বিশেষ নিরাপত্তা প্রদান বিষয়ক প্ররক্ষা নির্দেশিকা-২০২৫’ এর বিষয়ে ব্যখ্যা দিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনিকে আগামী ১৮ মার্চ আদালতে তলব করেছেন হাইকোর্ট।
রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের পদমর্যাদাক্রম (ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স) এর সাথে নির্দেশিকাটির ক্রম সাংঘর্ষিক উল্লেখ করে বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টের আদেশ প্রার্থনা করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
গত ২ মার্চ জারিকরা নিরাপত্তা প্রদান বিষয়ক প্ররক্ষা নির্দেশিকায় দেশের প্রধান বিচারপতি এবং সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিদের পদ মর্যাদাক্রমের ব্যত্যয় ঘটানো হয়েছে এবং বিষয়টি অত্যন্ত অবমাননাকর বলে হাইকোর্টে উল্লেখ করেন আইনজীবী শিশির মনির।
একপর্যায়ে আদালত এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র মনজিল মোরশেদ ও আইনজীবী শামসুদ্দিন বাবুর বক্তব্য শুনেন। এরপর বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনিকে তার স্বাক্ষরিত ওই নির্দেশিকার বিষয়ে ব্যখ্যা দিতে আগামী ১৮ মার্চ হাইকোর্টের তলব করেন। সেই সাথে নির্দেশিকাটির কার্যক্রম ৩ মাসের জন্য স্থগিত করে রুল গত ২ মার্চ জারি করা নিরাপত্তা প্রদান বিষয়ক প্ররক্ষা নির্দেশিকাটি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।
এছাড়া প্রধান বিচারপতি, সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, অ্যাটর্নি জেনারেল, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল, জেল ও দায়রা জজ, চিফ জুডিশিয়াল ও চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটদের নিরাপত্তার বিষয়টি হাইকোর্ট যথাযথভাবে নিশ্চিত করতে বলেছেন বলে আদেশের পর জানান আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
আদালতে আজ আবেদনের পক্ষে শুনানি করে আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। তার সাথে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আখতার হোসেন মো: আবদুল ওয়াহাব। সূত্র : বাসস