১৯৭১ এর ২৬ মার্চ গতকাল ছিল। সেদিন অর্থাৎ ঐদিন স্বাধীনতার ঘোষণা দেন শহীদ প্রেসিডেন্ট মেজর জিয়াউর রহমান। আমি নিজের কানে সেদিনের সেই ঘোষণাপত্র নিজ কানে শুনেছি। আমি ১৯৭১ সালে এস এস সি পরীক্ষার্থী শার্শা হাই স্কুলের। স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হলে আমি এস এস সি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ না করে মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করি।
আমি সাহিত্য কাব্য প্রেমী। শৈশবে আমার কবিতা, ছোট গল্প, উপন্যাস লেখার নেশা। ততোদিনে আমি বেশ ক'টি কাব্য, উপন্যাস লিখেছি। কবিতা লেখার জোস প্রখর। মুক্তিযুদ্ধে নিয়ে রকেট জলিলে সঙ্গী হয়ে অপারেশনে ব্যস্ত। লিখার কাজে ডুবে লিখে চলি দেশাত্মবোধক কাব্য বজ্রকণ্ঠ। ৬৪টি কবিতা এ কাব্যটিতে। এর একটি কবিতা যার শিরোনাম " স্বাধীনতার গান" নামে। যে গানটির সুর দিয়েছি আমি নিজেই। এটি আমি আমার জাতির ভাবী প্রজন্মের জ্ঞাতার্তে আবারও তুলে ধরতে চাই-...
।।স্বাধীনতার গান।।
।।সালাম গফফার ছন্দ।।
স্বাধীনতা তুমি মুক্তপ্রাণের জোয়ার
স্বাধীনতা তন্বীর ভালোবাসা।
সাড়ে সাতকোটি বাঙ্গালীর প্রাণে-
বেঁচে থাকার আশা।।
স্বাধীনতা তুমি আকাশের লাল সূর্য
স্বাধীনতা তুমি রণ দামামা তূর্য,
স্বাধীনতা মায়ের বুকের-
সতঃস্ফুর্ত ভাষা।।
স্বাধীনতা তুমি মুক্তপ্রাণের..
স্বাধীনতা কবি নজরুলের ছায়ানট হিন্দোল
স্বাধীনতা তুমি পদ্মা মেঘনা যমুনার কলকল,
স্বাধীনতা তুমি শাশ্বত প্রাণে-
মৃত্যুঞ্জয়ীর আশা।।
স্বাধীনতা তুমি মুক্তপ্রাণের..
আমরা স্বাধীনতার ৫৪ বছর পার করে ৫৫ বছরে এলাম। দেখতে দেখতে সাড়ে পাঁচ দশক পেরিয়ে গেছে। স্বাধীনতার সূর্য মাখা সবুজের মুক্ত প্রাণের প্রকৃতির রঙে চাওয়া সেই কাঙ্ক্ষিত সপ্নকে নয়মাস শেষে ৭১'র ১৬ই ডিসেম্বর আমরা ছিনিয়ে এনেছিলাম বীরত্বের গর্বে। তাও লক্ষ লক্ষ মা বোনের সম্ভ্রম ইজ্জতের এবং লক্ষ লক্ষ লক্ষ প্রাণের আর এক সাগর রক্তের বিনিময়ে। কিন্তু দুঃখের বিষয় ৫৪ বছরেও আমরা সে স্বাধীনতার সুফল পাইনি। যে কারণে আমাদের প্রাণপ্রিয় আপামর ছাত্র জনতা স্বাধীনতার স্বাদকে ছিনিয়ে আনতে ২৪'এর ৫ আগস্টে আবারও দুই হাজার প্রাণ বুকের রক্ত দিয়ে আর ৩০ হাজার প্রাণ অঙ্গহানির বিনিময়ে নতুন করে ছিনিয়ে নিয়ে এলো। স্বাধীনতার শোষকরা পালিয়ে গেছে। কিন্তু রয়ে গেছে তাঁদের দোসররা। সুযোগ পেলে কিন্তু ওরা আবারও গিলে খেতে হাঙ্গরের মতো হা করে আসতে পারে। তাই দেশপ্রেমী সকল নাগরিক কৃতিসন্তানদের তীক্ষ্ণ দৃষ্টে সজাগ থাকতে হবে তাহলে ফ্যাসিসরা আর কখনো সে সুযোগ পাবেনা।