প্রধান প্রতিবেদকঃ
‘যার বিয়ে তার খবর নাই, পাড়াপড়শীর ঘুম নাই’ প্রবাদের মতোই যেন দেশের কিছু ব্যক্তি ও মুখচেনা প্রতিষ্ঠানের অবস্থা। শেখ হাসিনা পালিয়েছেন; কিন্তু তার অলিগার্করা আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপিকে ঠেকিয়ে রাখার মহাপরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নেমেছেন। যাতে আগামী নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় আসতে না পারে সে লক্ষ্যে চলছে নানা কসরত। কেউ অন্তর্বর্তী সরকারকে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার পরামর্শ দিতে মনগড়া জরিপ করে ফলাফল প্রকাশ করছেন। কেউ সেমিনার সিম্পোজিয়াম করে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের নতুন রাজনৈতিক দল (কিংস পার্টি) গঠনের পরামর্শ দিচ্ছেন। কেউ বিএনপি, জামায়াত ও আওয়ামী লীগের জনসমর্থন একই পর্যায়ে দেখানোর চেষ্টা করছেন। দিল্লির তাবেদার তথাকথিত এসব বিশিষ্টজন ও তাদের সংগঠনগুলোর টার্গেট হচ্ছে বিএনপি ঠেকাও।
বিএনপি যাতে ক্ষমতায় আসতে না পারে সে জন্য এরা এসব কান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। অথচ মানবতাবাদী এবং ন্যায় নীতিবান এসব সুশীল বুদ্ধিজীবী শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামলের পৈচাসিকতা, হামলা-মামলা, খুন, গুম নিয়ে কোনো জরিপ করেননি। এমনকি ২০১৪ সালের প্রার্থী বিহীন নির্বাচন, ২০১৮ সালের মধ্যরাতের নির্বাচন ও ২০২৪ ডামি প্রার্থীর নির্বাচনের আগে দেশের মানুষ কি ভাবছেন এবং পাতানো ওই নির্বাচনগুলো নিয়ে মানুষের মতামত নিতে কোনো জরিপ করেননি। এমনকি কেউ গণমাধ্যমে প্রবন্ধ নিবন্ধ লিখেও মানুষের মতামত জানার চেষ্টা করেননি। হাসিনা পালানোর পর কোটি কোটি মানুষ যখন ভোট দেয়ার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন; অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস যখন বলেছেন, ‘নির্বাচন কখন হবে রাজনৈতিক দলগুলো ঠিক করবে; এ সরকার প্রয়োজনের চেয়ে একদিন বেশি ক্ষমতায় থাকবে না’।
অথচ মুখচেনা সুশীলরা তথাকথিত জরিপ করে দেখাচ্ছেন দেশের বেশির ভাগ মানুষ চায় অন্তর্বর্তী সরকার দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকুক। তাদের ভাষায় দেশের ৮১ শতাংশ মানুষ চায় সংস্কার সম্পন্ন করার জন্য যতদিন প্রয়োজন, ততদিন অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় থাকুক। তবে মাত্র ১৩ শতাংশ মানুষ মনে করে অতিদ্রুত নির্বাচন দিয়ে এই সরকারের ক্ষমতা ছেড়ে দেয়া উচিত। সুশীল বুদ্ধিজীবীদের ভাবখানা হলো হাসিনা পালিয়েছে, আওয়ামী লীগ ধ্বংস হয়ে গেছে; অতএব বিএনপির ক্ষমতায় আসা ঠেকাও।
জানতে চাইলে সংবিধান বিশেষজ্ঞ ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, ‘ওয়ান ইলেভেনের কুশিলব এবং বর্তমানের সুশীলরা বিএনপিকে পছন্দ করেন না। এটা বাস্তবতা। রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি বৃহৎ এবং ব্যাপক জনপ্রিয়। দলটির নেতাকর্মীরা সবাই এই বাস্তবতা বোঝেন। কাজেই বিএনপির সিনিয়র নেতাদের বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে এগোতে হবে। আমার মনে হয় বিএনপির নেতারা সেভাবেই এগোবেন।’
যার জন্য দিল্লির তাবেদার এই সুশীলদের মায়াকান্না এবং বিএনপি ঠেকানোর কেরামতি সেই মুজিব কন্যা শেখ হাসিনা পিতৃ হত্যার প্রতিশোধ নিয়ে ভারতে পালিয়ে গেছেন। ১৯৭৫ সালে শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাÐের পর শেখ হাসিনা বোন রেহানাকে নিয়ে ৬ বছর দিল্লিতে ছিলেন। জিয়াউর রহমানের অনুকম্পায় দেশে ফেরার সুযোগ পান এবং ১৯৮১ সালে পিতৃহত্যার প্রতিশোধ নিতে বাংলাদেশে আসেন। ওই সময় আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসির সাক্ষাতকারে হাসিনা নিজের টার্গেটের কথা প্রকাশ করেছিলেন। ১৯৯৬ সালে এরশাদের জাতীয় পার্টির সমর্থন নিয়ে ২১ বছর পর বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসেন। অতঃপর ভারতের চানক্যনীতিতে ২০০৮ সালে ওয়ান ইলেভেন ঘটিয়ে দ্বিতীয় দফায় ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে গণতন্ত্র, আইনের শাসন, সামাজিক ন্যায়বিচার, মানবাধিকার পায়ে দলিয়ে কায়েম করেন কর্তৃত্ববাদী শাসন। সংবিধান শিকেয় তুলে রেখে বাকশালী কায়দায় দেশ শাসন করেন।
বাংলাদেশ রাষ্ট্রের ১৭ কোটি মানুষের অধিকার হরণ করে ধ্বংস করে দেন রাষ্ট্রের সকল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। ভারতের সহায়তায় ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতে নির্মম, নৃশংসভাবে মধ্যযুগীয় কায়দায় হত্যা করেন দেশের হাজারো মানুষকে। দেড় দশকে প্রায় তিন হাজার বিচারবহির্ভ‚ত হত্যাকাÐ ঘটান। আয়না ঘর সৃষ্টি করে তার আমলে গুমের শিকার হন প্রায় ৭শ’ মানুষ। মূলত ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে পিলখানায় সেনাবাহিনীর ৫৭ জন অফিসারকে হত্যার মধ্যদিয়ে মিশন শুরু করেন। অতঃপর মতিঝিলের শাপলায় হেফাজতের সমাবেশে গভীর রাতে গণহত্যা। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গণহত্যার মাধ্যমে পিতা হত্যার প্রতিশোধ নিয়ে পালিয়ে যান। সেই শেখ হাসিনার রাজনৈতিক অপমৃত্যুতে দিল্লির হালুয়া-রুটিভোগী সুশীলদের মায়াকান্না যেন থামছেই না। তারা সতীনের মতোই আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ বিএনপি যাতে জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসতে না পারে সে জন্য নানান ফিকির করছেন।
শেখ হাসিনা পালানো এবং আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক দল হিসেবে বারোটা বেঁজে যাওয়ায় জনসমর্থনের দিক দিয়ে বিএনপি কার্যত দেশের রাজনীতিতে অপ্রতিদ্ব›দ্বী হয়ে উঠেছে। কিন্তু হিন্দুত্ববাদী ভারতের নরেন্দ্র মোদী চায় না বিএনপি বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসুক। প্রতিবেশী দেশটির প্রত্যাশা আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে দিল্লির তাবেদার কেউ ফের ক্ষমতায় আসুক। সে জন্য নির্বাচন প্রলম্বিত করতে দিল্লির তাবেদারদের সেমিনার সিম্পোজিয়াম, জনমত জরিপ শুরু হয়ে গেছে। এতোমধ্যে তিনটি জরিপের ফলফল প্রকাশ করা হয়েছে।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি) একটি জরিপ করেছে। ‘পালস সার্ভে ২০২৪: জনগণের মতামত অভিজ্ঞতা ও প্রত্যাশা’ শীর্ষক জরিপে দেখানো হয় দেশের ৮১ শতাংশ মানুষ চায় সংস্কার সম্পন্ন করার জন্য যতদিন প্রয়োজন, ততদিন অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় থাকুক। মাত্র ১৩ শতাংশ মানুষ অতিদ্রæত নির্বাচন চায়। প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের ৩৮ শতাংশ মানুষ মনে করে অন্তর্বর্তী সরকার তিন বছর বা তার বেশি সময় থাকা উচিত; ৯ শতাংশ মনে করে এই মেয়াদ হতে পারে দুই বছর; আর ৩৫ শতাংশ মানুষ মনে করে অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর থাকা উচিত। জরিপে অংশ নেয়া ৭১ শতাংশ মানুষের ধারণা, দেশ সঠিক দিকে যাচ্ছে। অর্থনীতি সঠিক দিকে যাচ্ছে মনে করে ৬০ শতাংশ।
এতে বলা হয়, জরিপে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের দলীয় রাজনীতি নিষিদ্ধের পক্ষে মত দিয়েছে ৮৪ শতাংশ। আর ৮১ শতাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধকে সমর্থন করে। ৭২.২ শতাংশ মানুষ মনে করে, সাধারণ সময়ের তুলনায় আগস্টে অপরাধ বাড়েনি আর ২৫ শতাংশ মনে করে বেড়েছে।
এতে বলা হয়, জরিপে দেশের ৬৪ জেলার ৪৭৭৩ জনের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে ২৩৬৩ জনের ওপর জরিপ করা হয়, যা মোট নমুনার ৪৯ শতাংশ। এতে নারী-পুরুষের অনুপাত ৪৩: ৫৭। উত্তরদাতাদের ৬৭ শতাংশ গ্রামের এবং ৩৩ শতাংশ শহরের বাসিন্দা। বিআইজিডির আগের চারটি গবেষণা থেকে নমুনা নেয়া হয়। সেগুলো হলো এশিয়া ফাউন্ডেশন ও বিআইজিডি সার্ভে ২০২৪, ইয়ুথ সার্ভে ২০২১, মাদরাসা সার্ভে ২০২০ এবং ছাত্র পোল ২০২৪।
এদিকে গত ১০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর একটি হোটেলে উন্নয়ন গবেষণা ও প্রকল্প ব্যবস্থাপনা সংস্থা ইনোভিশন কনসাল্টিং বাংলাদেশ পরিচালিত এ জরিপের ফল প্রকাশ হয়। ‘বাংলাদেশ স্পিকস’ নামের একটি মাইক্রো-পোলিং প্ল্যাটফর্মে গত ২৯ আগস্ট থেকে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মাঠপর্যায়ে ও অনলাইনে পরিচালিত জরিপে দেশের ৫০টি জেলায় মাঠপর্যায়ে ৫১১৫ এবং অনলাইনে ৬৪টি জেলায় ৩৫৮১ নমুনার তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে জানানো হয়। এতে বলা হয়, দেশে এখন নির্বাচন হলে কাকে ভোট দেবেÑ সে বিষয়ে নিশ্চিত নয় ৩৪ শতাংশ মানুষ। আর ১১ শতাংশ বলেছে, তারা ছাত্রসমর্থিত নতুন কোনো দলকে ভোট দিতে চায়। অন্যদিকে অনলাইন জরিপে অংশ নেয়া ৩৫ শতাংশই ছাত্রসমর্থিত নতুন কোনো রাজনৈতিক দলকে ভোট দিতে চায়। তবে ১১ শতাংশ এখনও নিশ্চিত নয় কাকে ভোট দেবে।
ইনোভিশন কনসাল্টিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুবাইয়াৎ সরওয়ার জরিপের বিস্তারিত তুলে ধরে বলেন, মাঠপর্যায়ের জরিপে দেখা গেছে বিএনপির সমর্থনের হার ২১ শতাংশ। জামায়াতের সমর্থনের হার ১৪ শতাংশ। আওয়ামী লীগকে ভোট দেবে এমন কথা বলেছে ৫ শতাংশ। আর ৩৪ শতাংশ, অর্থাৎ বেশিরভাগই নিশ্চিত নয় কাকে ভোট দেবে। অনলাইন জরিপের ফল বলছে, ৩৫ শতাংশই ছাত্রসমর্থিত নতুন কোনো রাজনৈতিক দলকে, জামায়াতকে ২৫ শতাংশ, আওয়ামী লীগকে ১০ শতাংশ এবং বিএনপিকেও ১০ শতাংশ ভোট দিতে চায়।
জরিপের ফলাফলে আরো বলা হয়, মাঠপর্যায়ে জরিপে অংশগ্রহণকারীদের বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, জেন-জি (১৯৯৭ থেকে ২০১২ জন্ম সাল) প্রজন্মের ৩০ শতাংশ নিশ্চিত নয় কাকে ভোট দেবে। অন্যদিকে অনলাইন জরিপে এই বয়সিদের ৩৭ শতাংশ বলেছে, তারা ছাত্রসমর্থিত কোনো দলকে বেছে নেবে। স্বল্পআয়ের দরিদ্র জনগোষ্ঠী ও অনলাইনে সক্রিয় নয় এমন বয়স, লিঙ্গ ও পেশাভিত্তিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ নিশ্চিত নয় তারা কাকে ভোট দেবে। মাঠ জরিপ অনুযায়ী, কৃষক-শ্রমিক এবং ব্যবসায়ীদের মধ্যে বিএনপির সমর্থন বেশি। কিন্তু শিক্ষার্থী ও বেসরকারি চাকরিজীবীদের মধ্যে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর সমর্থন কাছাকাছি। আবার অনলাইনে শিক্ষার্থী, বেকার ও বেসরকারি চাকরিজীবীদের মধ্যে জামায়াত এগিয়ে।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতা হারানো এবং হাসিনা পালানোর পর অতি দ্রæত জরিপ করে মানুষ অনির্বাচিত সরকারকে দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় দেখতে চায় মতামত তুলে ধরা হলো। কিন্তু দেশের মানুষতো নির্দলীয় সরকারের অধীনে ১০ বছর ধরে নির্বাচনের প্রত্যাশা করছে; মানুষের সে মতামত তুলে ধরতে কি এরা কোনো জরিপ করেছিল? শেখ হাসিনার দুঃশাসন, হাজার হাজার মানুষ হত্যা, গুম, আয়নাঘরে বছরের পর বছর মানুষকে বন্দী করে রাখা এ সব নিয়ে মানুষের মতামত প্রকাশ করতে কী কোনো জরিপ করার প্রয়োজন মনে করেছিল? বিএনপির নেতাদের বিরুদ্ধে প্রায় লাখ লাখ মামলা, নেতাদের বিরুদ্ধে ২শ’ থেকে ৫শ’ মামলা পর্যন্ত করা হয়েছে।
বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন কমিশন, নির্বাচন কমিশনসহ রাষ্ট্রের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে দলীয় কার্যালয়ের পরিণত করা হয়েছিল। সেগুলো নিয়ে মানুষের মতামত ও প্রত্যাশা জানতে কি এই প্রতিষ্ঠানগুলোর জনমত নেয়ার প্রয়োজন মনে হয়নি? বিগত ১৫ বছরে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশকে ভারতের করদ রাজ্যে পরিণত করা হয়েছিল। শেখ হাসিনার এই দিল্লির তাবেদারি দেশের মানুষ ভালভাবে নিচ্ছে কিনা তা জানতে কি কোনো জরিপ করা হয়েছিল? এমনকি জনগণের ভোটের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে জনমত তুলে ধরতে কি জরিপ করা হয়েছিল? আওয়ামী লীগের রাজনীতি ধ্বংস হয়ে যাওয়ার পর বিএনপিকে ঠেকানোর এই জরিপের রহস্য কি?
শুধু কি তাই বিএনপিকে ঠেকাতে নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের জন্য বৈষম্য বিরোধী ছাত্র নেতাদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। সম্প্রতি রাজধানীর ধানমন্ডিতে টিআইবি কার্যালয়ে এক আলোচনা সভায় টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, ‘ছাত্র আন্দোলনের প্রত্যাশা ও চেতনা ধারণ করতে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন অপরিহার্য। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে যে নতুন বাংলাদেশের চেতনা তৈরি হয়েছে, সেই চেতনার ধারক হিসেবে একটি রাজনৈতিক শক্তির বিকাশের অপরিহার্যতা রয়েছে।’
প্রশ্ন হচ্ছে নতুন রাজনৈতিক দল তথা কিংস পার্টি গঠনের পরামর্শ কি আগামীতে নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপিকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় যাওয়া ঠেকানোর চেষ্টায়? নিকট অতীত ওয়ান ইলেভেনের মাধ্যমে ফখরুদ্দিন-মঈন উ আহমদের সরকার ক্ষমতায় আসার পর কিংক পার্টি গঠন করা হয়েছিল। ফেরদৌস আহমেদ কোরেশির নেতৃত্বে গঠিত ওই প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের রাজনীতি বেশিদিন স্থায়ী হয়নি।
অবশ্য বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভ‚ঁইয়া বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক দল গঠনের বিষয়টিকে নিতান্তই গুজব। আমরা স্পষ্টভাবে বলেছি, এখনই কোনো রাজনৈতিক দল খোলার কোনো অভিপ্রায় আমাদের নেই।
আপনার মতামত লিখুন :