হাজীদের বিমান ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছিল অযৌক্তিক -ধর্ম উপদেষ্টা


Sarsa Barta প্রকাশের সময় : সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৪, ৮:০২ পূর্বাহ্ণ /
হাজীদের বিমান ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছিল অযৌক্তিক -ধর্ম উপদেষ্টা

ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, বিগত পতিত সরকারের আমলে হাজীদের বিমান ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছিল অযৌক্তিক। গত হজে বিমান ভাড়া বাবদ প্রত্যেক হাজীকে গুনতে হয়েছে ১ লাখ ৯৫ হাজার টাকা। ২০১৯ সালে হাজীদের বিমান ভাড়া ছিল জনপ্রতি ১ লাখ ২৮ হাজার টাকা। ২০২২ সালে হাজীদের বিমান ভাড়া ছিল জনপ্রতি ১ লাখ ৩৮ হাজার টাকা। ২০২৩ সালে হাজীদের বিমান ভাড়া অযৌক্তিভাবে এক লাফেই ২ লাখ ৫ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়।

আগের বছরের চেয়ে ওই বছর হাজীদের বিমান ভাড়া প্রায় ৬৭ হাজার টাকা বৃদ্ধি করা অযৌক্তিক ছিল। ধর্ম উপদেষ্টা ড. খালিদ হোসেন বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হাজীদের ওপর জুলুম হয় এমন কোনো আচরণ করবে না। আগামী হজে হাজীদের বিমান ভাড়া যৌক্তিক পর্যায়ে কমিয়ে নির্ধারণের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছি। ইতোমধ্যেই হজের সাথে সংশ্লিষ্ট হাব নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিমান কর্তৃপক্ষের সাথে হাজীদের বিমান ভাড়া সংক্রান্ত আলোচনা হবার কথা রয়েছে। হজ ব্যবস্থাপনায় কোনো প্রতারণা দুর্নীতি অনিয়ম বরদাশত করা হবে না বলেও ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন উল্লেখ করেন।

গতকাল সোমবার ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন ইনকিলাবের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন। এক প্রশ্নে জবাবে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, আগামী হজ ব্যবস্থাপনার কার্যক্রম সুন্দর সুষ্ঠু করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানে হবে। হজ প্যাকেজের সময় ৩৮ থেকে ৪২ দিন না করে কমিয়ে আনার ব্যাপারেও উদ্যোগ নেয়া হবে বলে ধর্ম উপদেষ্টা উল্লেখ করেন। সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার বিষয়ে আলোচনার জন্য চলতি মাসেই সউদী হজ ও ওমরাহ মন্ত্রীর সাথে ধর্ম উপদেষ্টা বৈঠকে মিলিত হবেন বলেও জানান।

২০২৫ সালের হজ প্যাকেজ ঘোষণার আগে প্রধান উপদেষ্টা ড.মুহাম্মদ ইউনুসের সাথে হজ সংক্রান্ত বিষয়াবলি নিয়ে আলোচনা করার কথা রয়েছে ধর্ম উপদেষ্টা। এদিকে, হাব কর্তৃপক্ষ হাজীদের বিমান ভাড়া জনপ্রতি ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা নির্ধারণের জন্য ধর্ম উপদেষ্টার কাছে লিখিত প্রস্তাব জমা দিয়েছে।