ইফতেখায়রুল ইসলাম
আমরা কি চাই আর কি চাই না, তা সম্ভবত আমরা নিজেরাই জানি না! কিছুদিন আগে ‘যা’ নিয়ে চিৎকার, চেঁচামেচি করতাম! কিছুদিন পর সেই ‘যা’ নিয়ে বাতচিত করলে আমাদের মনোবেদনা নানা জায়গায় সঞ্চারিত হয়!
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আমাদের মনে নানা প্রশ্ন জাগে, যেমন কোনো বিষয় নিয়ে কথা বলার স্ট্যান্ডার্ড কি! কোন কোন প্যারামিটারের প্রেক্ষিতে কথা বলা যাবে আর যাবে না! সমাজের সেট রুলসই আসলে কি! সেটি নির্ধারণ যিনি করবেন তিনিই বা কে বা কাহারা!?
সহজ উত্তর যদি এমন হয় যে, বিদ্যমান আইনের সাথে সাংঘর্ষিক নয় এমন সবকিছুই গৃহীত হওয়ার সুযোগ পাবে! তা কি যথার্থ হবে? যদি হয় এবং না হয় তাহলে সামাজিক রীতিনীতি, প্রথা এসবের উদাহরণ আসে কেন? যদি কোনো প্রভাবকই বিবেচ্য বিষয় হিসেবে না আসে, তাহলে সর্বক্ষেত্রেই কি সচেতনমহল এক আঙ্গিকেই কথা বলেন! যদি না বলেন, তাহলে কেন বলেন না? সেট রুলস তখন কেন বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়?
মানুষ বড়ই অদ্ভুত! নিজ বিবেচনায় ঠিক, বেঠিক নির্ধারণ করে আবার সেটা পাল্টিয়েও ফেলে। আমার জীবনে সর্বাবস্থায় একইরকম প্রকৃত নিরপেক্ষ আচরণ করা লোক আমি খুব কমই পেয়েছি! তাহলে অবশিষ্ট আমরা যারা, তারা কি আসলে দ্বিমুখী আচরণের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত? দৃশ্যমান অবস্থান বাদ দিলে, হৃদয়ের গহীন থেকে দেখলে, নিরপেক্ষ বলতে পৃথিবীতে কিছু নেই সম্ভবত!
জানি না, কবি এই দ্বিধান্বিত আমাদের নিয়েই লিখেছেন কিনা
‘যাহা চাই তাহা ভুল করে চাই
যাহা পাই তাহা চাই না’
লেখক: এডিসি, ক্যান্টনমেন্ট ও খিলক্ষেত, ডিএমপি।