১৫ টাকা চালের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চালু হচ্ছে যশোরে সুবিধা পাবে ১ লাখ ৩৫ হাজার 


Sarsa Barta প্রকাশের সময় : ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৫, ১০:৪২ পূর্বাহ্ণ /
 ১৫ টাকা চালের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চালু হচ্ছে যশোরে সুবিধা পাবে ১ লাখ ৩৫ হাজার 

যশোরে ফের ১৫ টাকা কেজি দরের চাল পেতে যাচ্ছেন এক লাখ ৩৫ হাজার ১৩২ জন। আসন্ন রমজান উপলক্ষে দেয়া হচ্ছে এই চাল। তবে, কর্মকর্তারা বলছেন, এ বছর পাঁচ মাস এই কর্মসূচি অব্যাহত থাকতে পারে। মার্চ ও এপ্রিল এবং অক্টোবর, নভেম্বর, ডিসেম্বর মাসে অসচ্ছল মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হবে কমদামের এই চাল। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় জেলার ২৬২ জন ডিলার এই চাল বিতরণ করবেন।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের দপ্তর থেকে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, জেলার আট উপজেলার ৯৩ টি ইউনিয়নের এক লাখ ৩৫ হাজার ১৩২ মানুষের মধ্যে সদর উপজেলায় ১৮ হাজার ২৯০, মণিরামপুরে ২৩ হাজার ৪১৯, কেশবপুরে ১২ হাজার ৯৮৪, অভয়নগরে ১৬ হাজার ৪৮৪, ঝিকরগাছায় ২২ হাজার ১৭৫, শার্শায় ১৭ হাজার ৬১৭, বাঘারপাড়ায় নয় হাজার ১৬৬ ও চৌগাছায় ১৪ হাজার ৯৯৭ জন এই সুবিধার আওতায় আসবে।

তথ্যানুযায়ী, সদর উপজেলায় ৩৭, মণিরামপুরে ৪৬, কেশবপুরে ২৪, অভয়নগরে ৩২, ঝিকরগাছায় ৪৩, শার্শায় ৩১, বাঘারপাড়ায় ১৯ ও চৌগাছায় ৩০ জন তালিকাভুক্ত ডিলার খাদ্যবান্ধবের এই চাল বিতরণ করবেন।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রত্যেক ব্যক্তি মাসে ৩০ কেজি করে চাল পাবেন। প্রতি কেজির দাম দিতে হবে ১৫ টাকা করে। সেই হিসেবে জেলায় প্রতি মাসে চার হাজার ৫৩ মেট্রিকটন চাল বিতরণ করা হবে। পাঁচ মাসে বিতরণ করা হবে ২০ হাজার ২৬৫ মেট্রিকটন।

বর্তমানে বাজারে চালের দাম ঊর্ধ্বমুখী। ৫০-৫৫ টাকার নীচে কোনো চাল নেই বাজারে। এই দামে চাল কিনে জীবিকা নির্বাহ করা নি¤œ আয়ের মানুষের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে। এই অবস্থায় পবিত্র রমজান আসন্ন। রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য নিয়ে চিন্তিত মানুষ। বিশেষ করে অসচ্ছল, নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষের কপাল থেকে চিন্তার ভাঁজ যেন যাচ্ছেই না। কীভাবে রমজান মাস পার হবে তাই নিয়েই এখন যত দুশ্চিন্তা।

এই অবস্থার মধ্যে ১৫ টাকার চালের খবর যেন লক্ষাধিক মানুষকে খানিকটা হরেও স্বস্তির আভাস দিয়েছে। তালিকাভুক্ত লোকজন বলছেন, কম টাকায় চাল পেলে রমজান মাসে কিছুটা হলেও সুবিধা হবে।

সদর উপজেলার আরবপুর ইউনিয়নের তালিকাভুক্ত একাধিক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন,‘৫৫ টাকার চাল যদি ১৫ টাকায় পাই তাহলে সেটিই বা কম কিসে। এখন ৩০ কেজি চাল বাজার থেকে কিনতে হলে কমপক্ষে এক হাজার ৫০০ টাকা লাগবে। সেখানে ৪৫০ টাকায় একই ধরনের চাল পাওয়া যাবে। এটি আমাদের মতো মানুষের খুশির খবর বটে।’

এই চাল বিতরণ নিয়ে কিছু মানুষের ক্ষোভ রয়েছে। শাহিনুর আলম নামে একব্যক্তি বলেন,‘যারা দীর্ঘদিন ধরে ১৫ টাকায় চাল পেয়েছেন তারাই আবার পাচ্ছেন। আর যারা বঞ্চিত ছিল তারা বঞ্চিতই থেকে যাচ্ছে।’

এ ব্যাপারে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সেফাউর রহমান বলেন, ‘খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল নিয়ে যাতে সামান্যতম অভিযোগ না আসে সেদিকে কঠোর নজরদারী করা হবে। তারপরও কেউ যদি কোনো অনিয়ম করে তাহলে সাথে সাথে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’