দ্রুত শেয়ার করুন-
যশোরের চৌগাছায় ঝুলন্ত অবস্থায় এক নির্মাণ শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার সকালে পৌরসভার বিশ্বাসপাড়ার মডেলস্কুলের পাশ থেকে এই মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতের গলায় বাজারের ব্যাগ জড়ানো ছিল। নিহতের নাম রুমান ফকির (১৯)। তিনি পিরোজপুর সদর উপজেলার বাইনখালি গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে। গত দু’বছর ধরে স্থানীয় ডিভাইন হাসপাতালে নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে তিনি কাজ করতেন।
পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে। এ ঘটনায় তার সহকর্মীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানিয়েছেন, নিহত রুমান ফকির চৌগাছার ডিভাইন হাসপাতালে নির্মাণ শ্রমিকের চাকরি করতেন। তার সাথে খালাতো ভাই সাইমুন ও মামাতো ভাই আলামিনসহ এলাকার আটজন একই কাজের সাথে যুক্ত ছিলেন। নিহত রুমানসহ সকলে পৌরসভার বিশ্বাস পাড়ার তবিবর রহমানের বাড়ি ভাড়া থাকতেন।
মামতো ভাই আলামিন জানান, শনিবার রাত ১১টায় খাবার খেয়ে তারা মোবাইলে বিভিন্ন ভিডিও দেখেন। এরপর যে যার মত ফোনে নিজ নিজ পরিবারের সাথে কথা বলেন। কথা বলা শেষ হলে তারা সকলে ঘুমাতে যান।
তিনি আরও বলেন, ‘রোববার ভোরে আমরা কাজে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিই। আমরা ভেবেছি রুমান আগেই বের হয়ে গেছে। কিন্তু পরেই আশপাশের লোকজনের মাধ্যমে জানতে পারি পাশের নির্মাণাধীন গোয়াল ঘরে রুমান ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে’।
স্থানীয়রা জানান, গলায় দড়ি দেয়া মরদেগ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে তারা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থালে এসে মরদেহ উদ্ধার করে। স্থানীয়রা বলেন, রহস্যজনক একটি ঘটনা রয়েছে মরদেহকে ঘিরে। সেটা হলো গলায় যেখানে ফাঁস দেয়া সেখানে আগে থেকেই একটি বাজারের ব্যাগ প্যাচানো রয়েছে।
চৌগাছা থানার ওসি (তদন্ত) ইয়াসিন আলম চৌধুরী জানান, স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে ঘটনাটি জানতে পেরে মরদেহ উদ্ধারের পর মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে আমরা ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে ধারণা করছি। তবে যেহেতু নিহত যুবক অন্য জেলার বাসিন্দা। সে কারণে ছোটখাট সূত্রগুলো আমরা গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছি। নিহতের সহকর্মীদের ওপরও আমাদের নজর রয়েছে’।
আপনার মতামত লিখুন :