হাসিনার পদত্যাগ ইস্যুতে মিথ্যাচার করেছেন প্রেসিডেন্ট- উপদেষ্টা আসিফ নজরুল


Sarsa Barta প্রকাশের সময় : অক্টোবর ২১, ২০২৪, ৫:৫৩ অপরাহ্ণ /
হাসিনার পদত্যাগ ইস্যুতে মিথ্যাচার করেছেন প্রেসিডেন্ট- উপদেষ্টা আসিফ নজরুল
  • ‘তিনি ৫ আগস্ট রাত ১১টা ২০ এ জাতির উদ্দেশে ভাষণে বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন ও তিনি তা গ্রহণ করেছেন’

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র তার কাছে নেই বলে মন্তব্য করেছেন প্রেসিডেন্ট মো. সাহাবুদ্দিন। প্রেসিডেন্টের এই বক্তব্য মিথ্যাচার বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।

সোমবার (২১ অক্টোবর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরের সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা এ কথা বলেন। শেখ হাসিনার পদত্যাগ নিয়ে প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে এ মন্তব্য করেন আইন উপদেষ্টা।

আসিফ নজরুল বলেন, তার এ পদে থাকার যোগ্যতা আছে কি না, এ নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। তিনি যদি তার বক্তব্যে অটল থাকেন, তাহলে বিষয়টি উপদেষ্টা পরিষদে আলোচনা হতে পারে।

আসিফ নজরুল বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট নিজেই ৫ আগস্ট রাত ১১টা ২০ মিনিটে পেছনে তিন বাহিনীর প্রধানকে নিয়ে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী উনার কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন এবং উনি তা গ্রহণ করেছেন।

আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘এরপর সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী উপদেশমূলক এখতিয়ার প্রয়োগ করে উনার (রাষ্ট্রপতি) কাছ থেকে আপিল বিভাগের পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হয়- এই পরিস্থিতিতে করণীয় কী আছে? এটার পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন সুপ্রিম কোর্টের যিনি প্রধান বিচারপতি ছিলেন এবং অন্য সব বিচারপতি মিলে ১০৬-এর অধীনে একটা মতামত প্রদান করেন রাষ্ট্রপতির রেফারেন্সের ভিত্তিতে।

সেটার প্রথম লাইনটি হচ্ছে, দেশের বর্তমান অদ্ভুত পরিস্থিতিতে যেহেতু প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন…। তারপর অন্যান্য কথা।’ আইন উপদেষ্টা আরো বলেন, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা মতামত দিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট স্ববিরোধিতা করছেন। তার এ পদে থাকার আর অধিকার নাই। ভাষণে তিনি বলেছেন, শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন। এখন আড়াই মাস পরে এ কথা কিভাবে বলেন? তিনি প্রেসিডেন্ট পদে থাকতে পারেন না।

দৈনিক মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীর সঙ্গে আলাপকালে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্রের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রেসিডেন্ট মো. সাহাবুদ্দিন তাকে বলেন, তিনি শুনেছেন শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। তবে তার কাছে এর কোনো দালিলিক প্রমাণ নেই।

কথোপকথনটি রবিবার পত্রিকাটির রাজনৈতিক ম্যাগাজিন ‘জনতার চোখ’-এ প্রকাশিত হয়। এরপর নতুন করে আলোচনায় আসে হাসিনার পদত্যাগপত্রের বিষয়টি।