নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার এবং ২০১৩ সালে বাতিল করা হয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা। এরপর থেকে ক্ষমতাসীনদের করা নীলনকশায় এবং প্রয়োজনীয় সব রাষ্ট্রযন্ত্রের পৃষ্ঠপোষকতায় তাদেরই অধীনে অনুষ্ঠিত হয় দশম, একাদশ ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন। প্রতিটি নির্বাচনেই চলে ভয়াবহ কারচুপি।
বিএনপিসহ সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো এর তীব্র বিরোধিতা করলেও এতে কর্ণপাত করেনি শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার। ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নীলনকশার একপেশে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নিজেরাই ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখে। আর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের এ নীলনকশা বাস্তবায়নের অন্যতম কুশীলব ছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লেজুড়বৃত্তি করা জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা (ইউএনও)। মাঠ প্রশাসনের এ কর্মকর্তাদের সঙ্গে চলে মাঠ পুলিশের যোগসাজশও।
এসব অপকর্ম বাস্তবায়নে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের তরফেও দেওয়া হয় নির্দেশনা। হাসিনার পতনের পর পাল্টে গেছে প্রেক্ষাপট। গত তিনটি জাতীয় নির্বাচনে নানা অপকৌশলে ক্ষমতাসীনদের গদি টিকিয়ে রাখতে প্রশাসনের যারা ছিলেন কুশীলব, ইতোমধ্যেই তাদের একটি তালিকা চূড়ান্ত করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ তালিকা আমাদের সময়ের হাতে এসেছে। অন্যদিকে পুলিশেও এমন কুশীলবদের আরেকটি তালিকা চূড়ান্ত হচ্ছে।
ইতোমধ্যেই বিভাগীয় কমিশনারদের একটি তালিকা করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। রিটার্নিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ডিসিদের তালিকাও হয়ে গেছে। এখন চলছে এসব নির্বাচনে সহকারী রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করা ইউএনওদের তালিকা চূড়ান্তকরণের কাজ। এ ছাড়া চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে ওই তিন নির্বাচনে পুলিশের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের ভূমিকা নিয়েও এবং সেই মোতাবেক তালিকাও হচ্ছে।
প্রশাসনের যেসব কর্মকর্তা পাতানো নির্বাচনে দলীয় কর্মীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে যেসব অফিসারের প্রত্যক্ষ দায় নেই কিংবা পরিস্থিতির শিকার, তারা ছাড় পাবেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী ২০৮ জন ডিসির নাম রয়েছে তালিকায়। ৬৪ জেলায় তিন নির্বাচনে ১৯২ জন ডিসি ছিলেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। কিন্তু তফশিল ঘোষণার পর তিন নির্বাচনে ১৬ জেলা প্রশাসকের বদলির কারণে রিটার্নিং কর্মকর্তার সংখ্যা বেড়ে হয় ২০৮। এতে তিন নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা ২৩ বিভাগীয় কমিশনারের নামও রয়েছে (২০১৪ সালে ময়মনসিংহ বিভাগে উন্নীত হয়নি।)
বিতর্কিত তিন নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী বিভাগীয় কমিশনার ও ডিসিদের অনেকে পরবর্তীকালে সচিব হয়েছেন। কেউবা তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুখ্য সচিব পদেও পুরস্কৃত হন। ইতোমধ্যে অনেকে অবসরে গেছেন। কেউবা ওএসডি হয়েছেন। কেউবা মারা গেছেন। মাঠ প্রশাসনে বিভাগীয় কমিশনার, ডিসি, ইউএনওদের তৎপরতা ছিল। পুলিশের ডিআইজি, এসপি, ওসিও এসব কর্মকাণ্ডে প্রত্যক্ষ মদদ দিয়েছেন। অবশ্য প্রহসনের এসব নির্বাচনে তাদের সবাই যে এ তৎপরতায় লিপ্ত ছিলেন, এমনটি না-ও হতে পারে। তবে কর্তৃত্ববাদী শেখ হাসিনা সরকারের আমলে এ ধরনের দায়িত্ব পালনকালে নির্দেশ অমান্য করার সুযোগ ছিল কম। আওয়ামী লীগের ক্ষমতায়নে ‘ত্যাগী’ কর্মকর্তাদেরই প্রাধান্য দিত ক্ষমতাসীন দলটি।
২০১৪ সালের নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ৬৭ জেলা প্রশাসকের ৪৩ জন অবসরে চলে গেছেন। ওই নির্বাচনের অবশিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা এবং পরের দুই নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তারা এখনও কর্মরত। গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা সবাইকে সরানো হয়েছে। আগের দুই নির্বাচনের কয়েকজন রিটার্নিং কর্মকর্তাকে ওএসডি করা হয়েছে। বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে দুজনকে।
ডামি নির্বাচন খ্যাত গত ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো। আওয়ামী লীগ নেতারাই নৌকার বিপক্ষে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনি প্রতিদ্বন্দ্বিতার নাটক সাজিয়েছিলেন। ৭ জানুয়ারির ভোটকালে দায়িত্ব পালনকারী ৬৪ রিটার্নিং কর্মকর্তাকেই সরিয়ে দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ নির্বাচন যে সুষ্ঠু হয়নি, এ নিয়ে কোনো প্রশ্ন পর্যন্ত জাগেনি। আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি কিংবা তাদের জোটগত কোনো দল বা প্রার্থী কোন আসনে নির্বাচন করবেন এবং দলের কোন প্রার্থী বিকল্প বা বিদ্রোহী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন, তা ঠিক করে দিতেন খোদ শেখ হাসিনা।
একাদশ নির্বাচনে প্রদত্ত ভোটের হার দেখানো হয় ৮০ দশমিক ০২ শতাংশ। ‘রাতের ভোট’ হিসেবে চিহ্নিত ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের সেই নির্বাচনে সর্বাধিক কারচুপির অভিযোগ রয়েছে। আগের রাতেই ব্যালটে সিল মেরে ভোট বাক্সে ভরা হয়। রাতের বেলায় বাক্স ভরার অভিযোগে নির্বাচনের দিন সকাল বেলায় শতাধিক আসনে ভোট বর্জন করেন বিএনপি নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরা। অস্বাভাবিক ফলাফলের ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ৭৯ দশমিক ১ শতাংশ। বিএনপি পায় ৬ আসন। আওয়ামী লীগ ২৫৮ এবং জাতীয় পার্টি ২২ আসন পায়। চূড়ান্ত ফলাফলে দেখা যায় ১০৩টি আসনের ২১৩টি ভোট কেন্দ্রে শতভাগ ভোট পড়েছে। ১ হাজার ২০৫টি কেন্দ্রে ভোট পড়ে ৯৬ থেকে ৯৯ শতাংশ।
আওয়ামী লীগ শতাধিক প্রার্থী ৯০ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন বলে দেখানো হয়। অভিযোগ আসেÑ রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার এবং প্রিজাইডিং অফিসারদের যোগসাজসে নির্বাচনের আগে ব্যালটে সিল দিয়ে ভোটবাক্স ভর্তি করে পুলিশ। এর আগে, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচন বর্জন করে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো। দিনভর কেন্দ্র ফাঁকা থাকলেও ভোটের হার দেখানো হয় ৪০ দশমিক ০৪ শতাংশ। অভিযোগ রয়েছে, এসব আসনের নির্বাচনে ব্যালটে সিল দিয়ে বাক্স ভরে ভোটের হার বাড়িয়ে দেখানো হয়।
একাদশ সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লার রিটার্নিং কর্মকর্তা ছিলেন প্রশাসনের ২০ ব্যাচের কর্মকর্তা আবুল ফজল মীর। অস্বাভাবিক ফলাফল ছিল কুমিল্লা জেলার ১১টি আসনেই। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব হয়ে অবসরে যাওয়া তোফাজ্জল হোসেন মিয়া ২০১৪ সালে কুমিল্লার ডিসি ছিলেন। ২০ ব্যাচের আবুল ফজল মীর ছিলেন ১৮ সালে আর ২৪ সালে ডিসি ছিলেন খন্দকার মুশফিকুর রহমান। আবুল ফজল মীর বর্তমানে যুগ্ম সচিব হিসেবে কর্মরত। আর খন্দকার মুশফিক কুমিল্লার জেলা প্রশাসক তথা রিটার্নিং কর্মকর্তা হওয়ার আগে ছিলেন ত্রাণ ও দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমানের একান্ত সচিব।
রাজশাহীতে ২০১৪ সালে ছিলেন ৯ম ব্যাচের মেজবাহউদ্দিন চৌধুরী। ২০১৮ সালে তিনি ছিলেন সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার। এরপর এক পর্যায়ে তিনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হন। বর্তমান সরকার দায়িত্ব গ্রহণের কিছুদিন পর তাকে ওএসডি করা হয়। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব মো. কামরুল হাসান ১১ ব্যাচের কর্মকর্তা। ২০১৪ সালে মৌলভীবাজারের রিটার্নিং কর্মকর্তা ছিলেন তিনি। ওই সময়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা ছিলেন মো. ইসমাইল হোসেন। তিনি ২০২২ সালের জুনে খাদ্য সচিব পদে পদোন্নতি পান। ১০ অক্টোবর অন্তর্বর্তী সরকার তাকে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে সচিব হিসেবে বদলি করে। এর ১২ দিনের মাথায় তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়।
২০১৪ সালের নির্বাচনের সময়ে দিনাজপুরের রিটার্নিং কর্মকর্তা ছিলেন ডিসি আবু হেনা মোরশেদ জামান। শেখ হাসিনা সরকারের সময়ে তিনি স্থানীয় সরকারের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের সচিব ছিলেন। ৬ অক্টোবর অন্তর্বর্তী সরকার ওএসডি করেছে ১১ ব্যাচের এই কর্মকর্তাকে। ২০১৪ সালে ফেনীর রিটার্নিং কর্মকর্তার পদে থাকা ১০ম ব্যাচের কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীর খোন্দকার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ছিলেন শেখ হাসিনার সরকারে। গত ১২ সেপ্টেম্বর তাকে ওএসডি করা হয়।
অতীতে দেখা গেছে, প্রতিবারই ফেনী ১ আসনে জয়ী হয় বিএনপি। দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার এই আসনে একাদশ নির্বাচনে বিএনপি মাত্র ২৪ হাজার ৯৭২ ভোট পায়। নৌকা প্রতীকে জাসদের শিরিন আখতার ২ লাখ ৪ হাজার ২৫৬ ভোট পেয়েছেন বলে দেখানো হয়। এমন অস্বাভাবিক ফলাফল ছিল নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুরসহ দেশের সব আসনেই। ২০১৮ সালের নির্বাচনে ফেনীর তিনটি আসনেই জয়ী দেখানো হয় আওয়ামী লীগ জোটের প্রার্থীদের।
২০১৪ সালের নির্বাচনকালে ফেনীর ডিসি ছিলেন পরবর্তীকালে তথ্য সচিব পদে উন্নীত হওয়া হুমায়ুন কবির খন্দকার। তিনি ১০ম ব্যাচের কর্মকর্তা। আর ২০১৮ সালের নির্বাচনকালে ২০ ব্যাচের ওয়াহিদুজ্জামান ছিলেন ডিসি; ২০২৪ সালে ছিলেন ২৭ ব্যাচের শাহীনা আকতার। ২০১৮ সালের নির্বাচনে নোয়াখালী জেলা প্রশাসক ছিলেন তন্ময় দাস। ১৮ ব্যাচের এই কর্মকর্তা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে বিজয়ী করতে বিএনপির প্রার্থী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদকে একদিনের জন্যও প্রচারণা চালাতে দেননি। রিটার্নিং অফিসার তন্ময়ের কাছে অসংখ্যবার অভিযোগ করেও প্রতিকার পাওয়া যায়নি। বর্তমানে তন্ময় দাস অতিরিক্ত সচিব হিসেবে কর্মরত।
ভোট কারচুপির মাধ্যমে পছন্দের প্রার্থীকে বিজয়ী করার অভিযোগ আসে প্রতিটি নির্বাচনের পরপর। পরাজিত প্রার্থী ও দল এমন অভিযোগ করলেও নির্বাচন কমিশন এবং ক্ষমতাসীন সরকারের পক্ষ থেকে বরাবরই তা অস্বীকার করা হয়।
গত তিনটি জাতীয় নির্বাচন চলাকালে প্রশাসনের শীর্ষপর্যায়ের কর্মকর্তা ছিলেন যারা, তাদের তালিকাকরণ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোখলেস উর রহমানের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার গতকাল বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে অনেকের দায়িত্ব আছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা দায় এড়াতে পারেন না। অনেক কর্মকর্তা অতি উৎসাহী হয়ে দলীয় কর্মীর ভূমিকায়ও অবতীর্ণ ছিলেন।
নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য জেসমীন টুলি বলেন, একটি নির্বাচনপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে রাষ্ট্রের অনেক সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান ভূমিকা রাখে। এ ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসক তথা রিটার্নিং অফিসারদের দায়িত্ব সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। জেলাপর্যায়ে নির্বাচনের ফল ঘোষণা এবং অনিয়ম হলে ব্যবস্থা নেওয়ার দায়িত্ব তার। তাকে সাহায্য করবেন প্রশাসনের অন্য কর্মকর্তারা।
ইউএনও তথা সহকারী রিটার্নিং অফিসারদেরও ব্যাপক দায়িত্ব আছে। নির্বাচনি এলাকার তদারকি করেন তিনি। ভোটকেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্বও তার। আবার এসপিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের দায়িত্ব আছে নানা স্তরে। কার কী কাজ, তা ভাগ করা আছে। কোথাও অনিয়ম হলে কী ব্যবস্থা নেবেন এবং নিজে অনিয়ম ঠেকাতে না পারলে কাকে জানাবেন সব বিষয়েই আইনি নির্দেশনা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা প্রবর্তনের দাবিতে জামায়াতে ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন শুরু করে তৎকালীন বিরোধী দল আওয়ামী লীগ। পরবর্তীকালে ২০০৯ সালে ক্ষমতাসীন হওয়ার পর সেই আওয়ামী লীগই ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিলের বন্দোবস্ত করে। এরপর ক্ষমতাসীন এ দলটির অধীনে পরপর তিনটি জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, যেগুলো প্রহসনমূলক ও একপেশে নির্বাচন হিসেবে দেশ-বিদেশে ব্যাপক সমালোচিত হয়।
আপনার মতামত লিখুন :