ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে উপগ্রহ সিগন্যাল আটকানোর জন্য নতুন পরিকল্পনা করছে আমেরিকা। এবার জ্যামার বসানোর পরিকল্পনার কথা প্রকাশ্যে আনল আমেরিকা। আর জ্যামার বসলে চীনের সঙ্গে প্রথমবারের মতো বৈদ্যুতিক যুদ্ধেও জড়াতে পারে আমেরিকা বলে মনে করা হচ্ছে।
এই নিয়ে আমেরিকার ‘স্পেস র্যাপিড ক্যাপাবিলিটিস’ অফিসের ডিরেক্টর কেলি হ্যামেট জানান, ‘রিমোট মডুলার টার্মিনাল (আরএমটি)’ নামে পরিচিত জ্যামার সিস্টেমটি ‘কিল চেন’ রুখতে প্রস্তুত করা হয়েছে। ‘কিল চেন’ হল একটি সামরিক পদ্ধতি যা শত্রুদের আক্রমণের ছক সহজেই শনাক্ত করতে পারে। শত্রুদের চিনিয়ে দিতে সাহায্য করে এই ‘কিল চেন’।
এই নিয়ে হ্যামেট আরও জানান, জ্যামারের প্রাথমিক লক্ষ্য হল- চীনের নজরদারি উপগ্রহের নেটওয়ার্ক, বিশেষ করে ‘ইয়াওগান’ সিরিজের উপগ্রহগুলির সিগন্যাল আটকে দেয়া। উপগ্রহের মাধ্যমে নজরদারির বিষয়ে চীনকে এক প্রকার ‘অন্ধ’ করে দেয়াই এর লক্ষ্য। প্রাথমিকভাবে ১১ টি জ্যামার লাগানোর কথা বলা হলেও এখন প্রায় ২০০ এর কাছাকাছি জ্যামার লাগানো হতে পারে বলে জানিয়েছে হ্যামেট।
সম্প্রতি আমেরিকা দাবি করেছে ‘ইয়াওগান’ সিরিজের একাধিক উপগ্রহ নিজেদের সামরিক কাজে ব্যবহার করছে চীন। এই নিয়ে মহাকাশ নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছে, ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে উপগ্রহের মধ্যে চীনা নজরদারিকে দুর্বল করার অন্যতম চাবিকাঠি হল জ্যামার। আর এই জ্যামার বসানোর নিয়েই তৈরি হয়েছে আমেরিকা ও চীনের মধ্যে বৈদ্যুতিক যুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :