নিজস্ব প্রতিবেদক: শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মদিন উপলক্ষে বেনাপোল হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়ন ৯২৫ এর শ্রমিকরা কেক কেটে জন্মদিন পালন করেছেন।
(১৯ জানুয়ারী) রবিবার দুপুর এক টার সময় বেনাপোল হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়ন ৯২৫ এর কার্যালয়ে, ৯২৫ এর সভাপতি মোঃ আসাদুল ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ সহিদ আলীর পক্ষ থেকে,শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মদিন উপলক্ষে কেক কেটে জন্মদিন পালন করেছেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন,বেনাপোল হ্যান্ডেলিং শ্রমিক ইউনিয়ন ৯২৫ এর সভাপতি মোঃ আসাদুল ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ সহিদ আলী, উলশী ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি আব্দুল হামিদ,বেনাপোল পৌর যুবদলের সদস্য সচিব-রায়হানুজ্জামান দিপু , ইউনিয়ন বিএনপির অন্যতম নেতা জব্বার আলী মেম্বার,বেনাপোল ইউনিয়ন ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি মোঃ খোকন,সহ-সভাপতি মোঃ তবিবুর রহমান,বেনাপোল হ্যান্ডেলিং শ্রমিক ইউনিয়ন ৯২৫ এর সহ-সভাপতি (১) )মোঃ তবিবুর রহমান,মোঃ তবিবুর রহমান তবি,সহ-সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল মজিদ, মোঃ জিয়াউর রহমান,সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ রফিকুল ইসলাম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ইদ্রিস আলী ডাক্তার, কোষাধ্যক্ষ মোঃ সবুজ হোসেন, প্রচার সম্পাদক মোঃ ওমর ফারুক,বন্দর বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আব্বাস আলী, দপ্তর সম্পাদক মোঃ আবুল কাশেম, কার্যনির্বাহী সদস্য মোঃ কামরুজ্জামান,মোঃ ইছাহক মেম্বার,মোঃ জুলু মেম্বার,লিংকন মেম্বার,লেবার সরদার মোঃ হাসেম আলীসহ ৯২৫ এর সকল নেতাকর্মী ও সাধারণ শ্রমিক বিন্দ্যরা উক্ত জন্মদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশের সপ্তম রাষ্ট্রপতি, সাবেক সেনাপ্রধান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ জিয়াউর রহমানের জন্মদিন আজ।
জিয়াউর রহমান ১৯৩৬ খ্রিষ্টাব্দের এই দিনে বগুড়া জেলার বাগবাড়ী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশবে তার ডাক নাম ছিলো কমল। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীরউত্তম খেতাবে ভূষিত করে।
জিয়াউর রহমান ১৯৭৭ খ্রিষ্টাব্দের ২১ এপ্রিল বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হন এবং ১৯৭৮ খ্রিষ্টাব্দের ১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল প্রতিষ্ঠা করেন।
পিতার চাকরির কারণে জিয়াউর রহমান কলকাতা হেয়ার স্কুলে লেখাপড়া করেন। ভারতবর্ষ ভাগের পর তার বাবা সপরিবারে পাকিস্তানের করাচিতে চলে গেলে তখন জিয়াউর রহমান করাচি একাডেমি স্কুলে ভর্তি হন।
করাচি একাডেমি থেকে তিনি ১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দে কৃতিত্বের সঙ্গে মাধ্যমিক শিক্ষা সমাপ্ত করে ১৯৫৩ খ্রিষ্টাব্দে করাচিতে ডিজে কলেজে ভর্তি হন। একই বছর তিনি কাকুল পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমিতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগদান করেন।
সামরিক বাহিনীতে তিনি একজন সুদক্ষ প্যারাট্রুপার ও কমান্ডো হিসেবে সুপরিচিতি লাভ করেন এবং স্পেশাল ইন্টেলিজেন্স কোর্সে উচ্চতর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।
১৯৬৫ খ্রিষ্টাব্দের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে একটি কোম্পানির কমান্ডার হিসেবে খেমকারান সেক্টরে তিনি অসীম বীরত্বের পরিচয় দেন। এই যুদ্ধে বীরত্বের জন্য পাকিস্তান সরকার জিয়াউর রহমানকে হিলাল-ই-জুরাত খেতাবে ভূষিত করে।
১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দে একজন মেজর হিসেবে তিনি দেশে ফিরে আসেন এবং চট্টগ্রামে নবগঠিত অষ্টম ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের সেকেন্ড-ইন কমান্ড পদের দায়িত্ব লাভ করেন।
১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ২৬ মার্চ চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।
১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠিত হলে প্রথমে তিনি ১ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার নিযুক্ত হন এবং চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, রাঙ্গামাটি, মিরসরাই, রামগড়, ফেনী প্রভৃতি স্থানে মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত করেন। জুন হতে অক্টোবর পর্যন্ত যুগপৎ ১১ নম্বর সেক্টরের ও জেড-ফোর্সের কমান্ডার হিসেবে তিনি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। স্বাধীনতাযুদ্ধে বীরত্বের জন্য তাকে বীর উত্তম উপাধিতে ভূষিত করা হয়।
১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ আগস্ট শেখ মুজিবুর রহমানের নিহত হওয়ার ১০ দিন পর জিয়া বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান নিযুক্ত হন। ১৯৭৮ খ্রিষ্টাব্দের ডিসেম্বরে তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে অবসরগ্রহণ করেন।
রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন জিয়াউর রহমান দেশে আবার গণতন্ত্রায়নের উদ্যোগ নেন। তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্র চালুর সিদ্ধান্ত নেন। দেশের রাজনীতিতে প্রতিযোগিতা সৃষ্টির আভাস দিয়ে তিনি বলেন, will make politics difficult for the politicians. ১৯৭৮ খ্রিষ্টাব্দের ৩ জুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জিয়াউর রহমান জয়লাভ করেন।
১৯৮১ খ্রিষ্টাব্দের ৩০ মে গভীর রাতে সার্কিট হাউসে এক সামরিক অভ্যুত্থানে তিনি শহীদ হন।
আপনার মতামত লিখুন :