ভারতে বাংলাদেশি নারীকে ধর্ষণের পর হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ঢাকায়


Sarsa Barta প্রকাশের সময় : জানুয়ারি ২৬, ২০২৫, ৮:১১ পূর্বাহ্ণ /
ভারতে বাংলাদেশি নারীকে ধর্ষণের পর হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ঢাকায়

ভারতের বেঙ্গালুরুতে বাংলাদেশি নারীকে ধর্ষণের পর হত্যার প্রতিবাদে ঢাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। শনিবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে এ সমাবেশ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সমাবেশে ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, ‘দালালি না আজাদী, আজাদী আজাদী’, ‘ভারতীয় আগ্রাসন, রুখে দাও জনগণ’ ইত্যাদি স্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দপ্তর সম্পাদক জাহিদ আহসান।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসিব আল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চায়। এর আগে আওয়ামী লীগ সরকার আমাদের স্বাধীনতা ভারতের কাছে বিক্রি করে দিয়েছিল। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বলে দিতে চাই, আপনারা যদি নাজমা হত্যাকাণ্ডের বিচারে পদক্ষেপ না নেন, তাহলে জনগণ কিন্তু সেটা মেনে নেবে না।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘ভারতের হাতে বাংলাদেশিদের খুন কোনো নতুন ঘটনা নয়। ভারত বাংলাদেশের মানুষকে দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক মনে করে একের পর এক খুন করেই গেছে। অসংখ্য প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে তারা এই দেশকে করদরাজ্য বানিয়ে রেখেছিল। গত ৫৪ বছরে ভারতের আধিপত্যের কারণে যত খুন হয়েছে, তার সবগুলোর বিচার নিশ্চিত করতে হবে।’

নির্বাহী কমিটির সদস্যসচিব আরিফ সোহেল বলেন, ভারত বাংলাদেশের জুলাই অভ্যুত্থানকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হিসেবে দেখাতে চেয়েছে। তারা বাংলাদেশের মানুষকে নিয়ে ভারতে ঘৃণা উৎপাদন করেছে। এ হত্যাকাণ্ড তারই ফলাফল।

সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ বৈকল্য বিভাগের ছাত্র ইফতি বলেন, ‘আমরা চাই রাষ্ট্রীয়ভাবে নতজানু না হয়ে যেন এ অপরাধের বিচার নিশ্চিত করা হয়। এর জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে যেন একটা জোরালো পদক্ষেপ নেওয়া হয়। আমরা চাই আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো এই বিষয় নিয়ে কথা বলুক। বাংলাদেশসহ অন্য যেকোনো রাষ্ট্রে কোনো নারী যেন কখনো ধর্ষিত না হয়।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা কলেজের আহ্বায়ক আফজাল হোসেন রাকিব বলেন, ‘ভারতে আজকে আমাদের একজন বোনকে হত্যা করা হয়েছে। ভারতের আগ্রাসনবাদীরা যদি এখনো মনে করে থাকে যে এদেশে এখনো অপসংস্কৃতি, দুর্নীতি প্রবেশ করাবে তাহলে তারা এখনো বোকার স্বর্গে বাস করছে। আমরা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে চাই, এই বাংলাদেশে আর কোনো ফ্যাসিস্টের দোসর মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে না।’

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গতকাল শুক্রবার ভারতের বেঙ্গালুরুর রামমুরির কালকেকে লেক থেকে এক বাংলাদেশি নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ধর্ষণের পর ওই নারীকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ। তার স্বামী একজন পরিচ্ছন্নকর্মী। তাদের তিন সন্তান রয়েছে। তিনি গৃহপরিচারিকার কাজ করতেন।