গাজী আনোয়ার হোসেন কুষ্টিয়া থেকে ফিরে: তৎকালিন কুষ্টিয়ার ডিসি ,মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম ,মোঃ খাইরুল আলম( এসপি )ব্র্যাক ব্যাংকের এমডি সেলিম আর এফ হোসেন ,আইলচারার চালকল ব্যবসায়ী আব্দুর রশীদ কুষ্টিয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি ) মোঃ সাবিরুল আলম কে আইনের আওতায় এনে বিচার দাবী করেন মোঃ শফিকুল ইসলাম ও তার পরিবার ।
অভিযোগ করে মোঃ শফিকুল ইসলাম – এই প্রতিনিধি – গাজী আনোয়ার হোসেন কে বলেন – আমি মোঃ শফিকুল ইসলাম কুষ্টিয়া সদর থানার আইলচারা গ্রামের বিশ্বাস ট্রেডার্স ,এন্ড ভিআইপি রাইচ মিলও ভিআইপি অটো ফ্লাওয়ার মিলের স্বত্বাধীকারি , আমি উপরোক্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মেসার্স বিশ্বাস ট্রেডার্স এন্ড ভিআইপি রাইচ মিলের নামে ঋণের আবেদনকরলে ব্র্যাক ব্যাংক লিঃ ,ঢাকা কর্তৃক গত ২২/১১/২০১৮ ইং তারিখের রেফারেন্স নং CAD -Dhaka /SS/03705887/2018 /0446 এর মাধ্যমে আমার ০৬ ( ছয় )একর ৫৬ ( ছাপ্পান্ন) শতাংশ জমি ও তার উপর স্থাপিত দালান – কোঠা , মিল কারখানা ইত্যাদি মর্টগেজ রাখা সম্পত্তির ভ্যালুয়েশন করে ৪২,৭৬,২০,০০০/-( বিয়াল্লিশ কোটি ছিয়াত্তুর লক্ষ বিশ হাজার ) টাকার বিপরীতে ০১-১২-২০১৯ ইং তারিখের রেফারেন্স নং CAD-Dhaka /SS/03705887/2019 /0467 এর মাধ্যমে ২৪,০০, ০০, ০০০/-( চব্বিশ কোটি টাকা ঋণ অনুমোদন করা হয় এবং ভিআইপি অটো ফ্লাওয়ার মিলের নামে ঋণের আবেদন করলে , ব্র্যাক ব্যাংক ঢাকা কর্তৃক গত ২২/১১/২০১৮ ইং তারিখের রেফারেন্স নং -CAD Dhaka /SS/03705885/2018/0447 এর মাধ্যমে আমার ১ (এক) একর ২১.২৬ ( একুশ দশমিক ছাব্বিশ শতাংশ জমি ও তার উপর স্থাপিত দালান – কোঠা , মিল কারখানা মর্টগেজ রাখা সম্পত্তির ভ্যালুয়েশান করে ২৮,৬২,৩৭,০০০/-( আঠাইশ কোটি বাষট্টি লক্ষ সাইত্রিশ হাজার টাকা ) টাকার বিপরীতে ০১/১২/২০১৯ ইং তারিখের রেফারেন্স নং CAD-Dhaka /SS/03705885 /2019 /0468 এর মাধ্যমে আমাকে ১৭,৪২,৪৬,০০০/-( সতেরো কোটি বিয়াল্লিশ লক্ষ ছিচল্লিশ হাজার টাকা ঋণ অনুমোদন করা হয় ।ঋণ গ্রহনের পর ২০২২ সাল পর্যন্ত সুনামের সাথে ব্যবসা করে আসচ্ছিলাম এবং ব্র্যাক ব্যাংকের কিস্তি নিয়মিত পরিশোধ করে আসচ্ছিলাম – করোনা পরবর্তী সময় ব্যবসা মন্দা দেখা দিলে অনিচ্ছাকৃত ভাবে বেশ কয়েকটি কিস্তির টাকা জমা দিতে ব্যর্থ হই । এমত অবস্থায় হঠাৎ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ০৫/০৯/২০২১ ইং তারিখ – আইনজীবির মাধ্যমে আমাকে লিগ্যাল নোটিশ প্রেরণ করে । নোটিশ প্রপ্তির পর আমি বারবার ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ করতে থাকি সময় বৃদ্ধি সহ ঋণ পরিশোধের জন্য । কিন্তু ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আমাকে কোন প্রকার সহযোগীতা না করে জামানত হিসেবে ব্যাংকে জমা রাখা CAC-1711326 CAC1711326 নং চেকের বিপরীতে আমার নামে বিজ্ঞ সি , এম, আদালত ঢাকা মামলা নং সি আর ২৮৩১/২০২১ ১৭,৪২,৪৬,০০০/-সতের কোটি বিয়াল্লিশ লক্ষ ছেচল্লিশ হাজার টাকার মামলা রুজু করে ও ০১/০১/২০২২ তারিখে ব্যাংকে জামানত হিসেবে ব্যাংকে জমা রাখা CAC 1652015 নং চেকের বিপরীতে আমার নামে মোকাম কুষ্টিয়ার বিজ্ঞ সিনিয়ার জুডিশিয়াল মেজিস্ট্রেট আদালত কুষ্টিয়া মিরপুর সি আর ৪২/২০২২ ২৭,৭৮,৪৬,৬৮০/-( সাতাইশ কোটি আছাত্তর লক্ষ ছেচল্লিশ হাজার ছেচল্লিশ শত আশি ) টাকার একটি মামলা রুজু করে । যা বর্তমানে মামলা দুটি আদালতে চলমান আছে ।পরবর্তীতে ব্র্যাক ব্যাংকের অসাধু কর্মকর্তা – ডিসি এসপি , ওসি , আব্দুর রশীদ ও
ব্র্যাক ব্যাংকের এমডি , সহ আমাকে না জানিয়ে – ঐ সকল দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের যোগসাজসে আমার সমদ্বয় সম্পত্তি ২০২২ সালের জমির ভ্যালুয়ে শন ১২৩ কোটি টাকা ।আমি ঐসকল দুর্নীতিবাজ ব্যাংকের এমডি সহ যারা অবৈধ ভাবে নিলামের সাথ জড়িত ছিল তাদের আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবী করচ্ছি ।
ঐ সম্পদ কোন আইনের বলে নামমাত্র মূল্যে ১৫ কোটি টাকায় নিলামে বিক্রয় করলেন , ব্র্যাক ব্যাংকের নিকট থেকে আমি ঋন নিয়েছিলাম ৪১ কোটি টাকা – ঐ সময় সমুদয় সম্পত্তি ওপেন বিক্রয় করলে ব্র্যাক ব্যাংকের সমুদয় টাকা পরিশোধ করেও আমি মোটা অংকের টাকা পেতাম – আমার সমুদয় সম্পত্তি ব্র্যাক ব্যাংকের নিকট মর্টগেজ রেখে ৪১ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে ব্যবসা শুরু করি – সুনামের সাথে ব্যবসা করি ও ব্র্যাক ব্যাংকের কিস্তি নিয়মিত পরিশোধ করতে থাকি । ২০২২ সাল – করোনার কারনে ব্যবসা মন্দা যাচ্ছিল অনিচ্ছাকৃত কারনে ব্যাংকের কিস্তি ফেল করলে হঠ্যাৎ ব্যাংকের এমডি আমাকে একটি চিঠি ধরিয়ে দিয়ে – ঐ সকল দুর্নীতি বাজদের সার্বিক সহযোগীতায় – আমাকে না জানিয়ে গোপনে আমার সমুদয় সম্পত্তি নিলাম করে নামমাত্র টাকায় – আমি বিচার চেয়ে সম্পত্তি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ফিরে পাবার আশায় আইনের দ্বারস্থ হই। হাইকোর্ট আমার অনুকুলে রায় দেয়। নিয়মানুযায়ী আদালতের রায়ের কপি নিয়ে ব্রাক ব্যাংকের কর্মকর্তাদের নিকট যোগাযোগ করি। বিভিন্ন ব্যাংকের মাধ্যমে ব্রাক ব্যাংকে ৪ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা পরিশোধ করি । আজও আমার প্রতিষ্ঠান ফিরে পাইনি। উল্ল্যেখ থাকে যে , আদালত অবমাননার অভিযোগ ২০২২ সালে আদালত অবমাননার অভিযোগে কুষ্টিয়া জেলাপ্রশাসক , পুলিশ সুপার ও ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সহ ৫ জনকে তলব করেছিলেন। বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সেই সময় প্রচার হয় । তাদের বিরুদ্ধে আদালতে স্থগিতাদেশ লঙ্ঘন করে ১২৩ কোটি টাকা মূল্যের সম্পত্তি ১৫ কোটি টাকায় বিক্রি করার অভিযোগ আনা হয়েছে । হাইকোর্টের আদেশ লঙ্ঘন করার ব্যাখ্যা চেয়ে কুষ্টিয়ার ডিসি মোঃ সাইফুল ইসলাম , মোঃ খায়রুল আলম , ও ব্র্যাক ব্যাংককের এমডি সেলিম আরএফ , সহ ৫ জনকে গত ২১ আগষ্ট ২০২২ আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। অপর দুজন হলেন ব্যবসায়ী আব্দুর রশীদ ও কুষ্টিয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) মোঃ সাবিরুল আলম। মোঃ শফিকুল ইসলামের ১২৩ কোটি টাকা মূল্যের সম্পত্তি নিলামে আব্দুর রশীদের কাছে ১৫ কোটি টাকায় বিক্রি করায় কেন তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করা হবে না তা জানতে চেয়ে একটি রুলও জারি করেছিলেন আদালত । ঐ সকল অভিযুক্তরা আদালতে হাজির হয়ে বিচারকের নিকট ও আদালতের নিকট সন্তোষ জনক উত্তর / জবাব দিতে পারে নাই। আদালত সূত্রে জানা যায় স্থগিতাদেশ লঙ্ঘন করে ব্র্যাক ব্যাংক , কুষ্টিয়ার ডিসি , এসপি ও ওসির সহযোগীতা নিয়ে রশিদ ইন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধীকারী আব্দুর রশিদের নিকট ৫ ই আগস্ট ২০২২ ইং অবৈধ নিলামের মাধ্যমে গোপনে ঐ সম্পত্তি বিক্রি করে দেয় বলে যানা যায় । ওই সম্পত্তি ব্যাংকের নিকট বন্ধক ছিল উল্লেখ করে আইনজীবি জানান , আগস্টের রায়ে হাইকোর্ট শফিকুল কে দির্দেশ দেয় যে একমাসের মধ্যে ব্র্যাক ব্যাংকে ৪ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা পরিশোধ করে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে সমুদয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বুঝে নিয়ে ব্যবসা করবে, বাদ বাকি কিস্তির টাকা নিয়মানুয়ায়ী পরিশোধ করতে হবে। শফিকুল ইসলাম আদালতের নির্দেশ অনুয়ায়ী বিভিন্ন ব্যাংকের মাধ্যমে ব্রাক ব্যাংককে ৪ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা পরিশোধ করেন এবং ব্যাংকের নিকট যোগাযোগ করেন , কিন্ত দুঃখ জনক হলেও সত্য যে , আজও ব্রাক ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আদালতের নির্দেশে শফিকুল ইসলামের সমুদয় সম্পত্তি ফেরত দেয়নি । অপর দিকে শফিকুল ইসলাম ও তার পরিবার মানবেতর জীবন যাপন করছেন। উল্লেখ থাকে যে , আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ আব্দুর রশিদ ও তার গ্যাং মোঃ শফিকুল ইসলামকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। এখন শফিকুল ইসলাম ও তার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগচ্ছেন জানমাল রক্ষার্থে তিনি বর্তমান পুলিশ সুপার কুষ্টিয়া সদর , সহ সকল মহলের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
আপনার মতামত লিখুন :