প্রতিবেদকঃ সারা দেশের ন্যায় যশোরের শার্শায়ও চা’লের কার্ড বিতরণ নিয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির দারুণ অভিযোগ উঠেছে। প্রকৃত প্রাপ্যদের না দিয়ে দলীয় ধন্যাঢ্য দের নামে কার্ড দেয়া হয়েছে। আর এ কার্ড বিতরণ অনিয়মের সাথে জড়িত বিএনপির গ্রাম পর্যায় ও ওয়ার্ড পর্যায় ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতা পাতি নেতারা পর্যন্ত।
শুধু তাই নয়, বিএনপির নেতাদের বিরুদ্ধে শক্ত অভিযোগ উঠেছে নেতারা উক্ত চালের কার্ডের মালামাল নিজেদের নামে তুলে আওয়ামীলীগ নেতাদের বাড়িতে গোপনে পৌঁছে দিচ্ছে। আর কাজটি এমন গোপনীয়ভাবে করছে যাতে অন্যরা কেউ জানতে না পারে বা বুঝতে পারে।
এক গোপন তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে উপজেলার ১১টা ইউনিয়নেই এই ধরণের কাজ হচ্ছে। আওয়ামীলীগ সরকারের পরিবর্তন এবং দেশ ছেড়ে গেলেও বারো আনা নেতা কর্মীরা দেশেই আছে। বিশেষ করে উপজেলা ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতা কর্মীরা নিজ নিজ স্থানেই আছে। পতিত সরকারের আমলে যেমন আওয়ামিলীগের নেতা কর্মীদের ছত্রছায়ায় বিএনপি নেতাকর্মীরা টিকে ছিল ঠিক তেমনি এখন এই অন্তবর্তি সরকারের আমলে এসে বিএনপি সেই আওয়ামীলীগের রুপ ধারণ করেই শুরু করেছে তাদের কর্ম।
২০২৪ সালের বিদায়ের সাথে সাথে ২০২৫এর শুরুতে দেশের সব প্রশাসনিক অফিস দপ্তর গুলো হোমজিকালি ভাবে নিজেদের দখলে নিয়ে নিয়েছে। প্রশাসনিক কর্মকর্তারা জিম্মি হয়ে গেছে বিএনপি নেতাকর্মীদের কাছে। তারই ভয়ংকর রুপ প্রকাশ পেয়েছে সব অফিস দপ্তরে। শার্শা উপজেলায় ১১টি ইউনিয়নেই আওয়ামীলীগের চেয়ারম্যান বহাল। তাদের পদ ক্ষমতা টিকাতে বিএনপি নেতাকর্মিদের হাতের পুতুল হতে হয়েছে। ১১ ইউনিয়নের সবকটি ইউনিয়নেই বিএনপি নেতাকর্মিদের কমান্ডে চলছে ইউপি চেয়ারম্যানরা। বিএনপি নেতাকর্মীরা তাদের পছন্দের ব্যক্তি পরিবারে টাকার বিনিময়ে চাউলের কার্ড, ভজিডি কার্ড সহ যাবতীয় সরকারী বরাদ্দের অনুদান দিচ্ছে এবং দিয়েছে। যারা পাবার আদৌ যোগ্য না তাদেরকেই দিয়েছে।
এ বিষয়ে এক তথ্য অনুসন্ধানে গিয়ে দেখা গেছে ইউনিয়ন পরিষদে পরিষদে আওয়ামীলীগের নির্বাচিত কোন মেম্বরই নেই সেখানে আছে বিএনপির ইউনিয়ন পর্যায়ের এবং ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মিরা। এ চিত্র দেখা গেছে সকল ইউনিয়ন পরিষদে। এ প্রতিবেদক শার্শার সব ইউনিয়নের মতো উত্তর শার্শার লক্ষণপুর ইউনিয়ন, নিজামপুর ইউনিয়ন এবং ডিহি ইউনিয়নেও। উত্তর শার্শার নিজামপুর ইউনিয়নের বিএনপির অনিয়ম দুর্নিতি কর্মের তথ্য আমাদের হাতে এসেছে।
বিএনপির নেতাকর্মীরা এখন দুই ভাগে হয়েছে মানে করা হয়েছে। এক গ্রুপ হচ্ছে হাসান অন্য গ্রুপ হচ্ছে তৃপ্তি। এদের মধ্যে সবচেয়ে ডিয়ারিং হাসান গ্রুপ। যার কর্মকাণ্ড ইতোমধ্যেই দেখতে পেয়েছে নাজিমপুর ইউনিয়নবাসী। ইউনিয়নে সন্ত্রাসী বৈশিষ্ট্যে তৎপর যারা, বলতে গেলে নিজামপুর ওয়ার্ড ও কেরালখালী ওয়ার্ড অঞ্চলেই তাদের বসবাস। অনুসন্ধানে যাদের নাম আমরা পেয়েছি তাদের নাম পদবী সহ বিস্তারিত বিবরণ আমরা আগামী সংখ্যায় প্রশাসনের দৃষ্টিতে তুলে ধরব ইনশা আল্লাহ। (চলমান)
আপনার মতামত লিখুন :