যুদ্ধ বিরতি চুক্তিভঙ্গ করে গাজায় ইসরাইল যে নৃশংসতা চালাচ্ছে এটা গোটা মানবতার বিরুদ্ধে এক নির্মম হত্যাযজ্ঞ। রোজাদার নিরপরাধ মুসলিমদের নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় গোটা দুনিয়ার শান্তিপ্রিয় মানুষ মর্মাহত। কিন্ত আমাদের দেশের তথাকথিত বুদ্ধিজীবি, মানবতাবাদীরা ফিলিস্তিনিদের হত্যাযজ্ঞে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। মুসলিম রাষ্ট্রপ্রধানরা নীরবতায় বর্বর ইসরাইল ফিলিস্তিনিদের ওপর উপযুপরি হত্যাযজ্ঞা বাড়াচ্ছে।
গাজায় রোজাদার মুসলিমদের নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ ও বিবৃতিতে বিভিন্ন ইসলামী দলের নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। নেতৃবৃন্দ ইসরাইলি হত্যাযজ্ঞ বন্ধে কার্যকরী উদ্যোগ নেয়ার জোর দাবি জানান।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসঃ বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা মামুনুল হক ও মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেন, যুদ্ধ বিরতি চুক্তিভঙ্গ করে গাজায় ইসরাইল যে নৃশংসতা চালাচ্ছে একে মানবতার বিরুদ্ধে এক নির্মম হত্যাযজ্ঞ বৈ কী বলা যেতে পারে? গত দুই দিন ধরে ইসরাইল গাজার নিরীহ জনগণের ওপর যে ববর্র হামলা চালাচ্ছে তা শুধু অমানবিক নয়, এটি মানবতার বিরুদ্ধে এক জঘন্য অপরাধ। নির্বিচারে বোমাবর্ষণ, হাসপাতাল ও স্কুলে হামলা, খাদ্য ও ওষুধ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া—এসবই গণহত্যার সুস্পষ্ট প্রমাণ। এক্ষেত্রে বিশ্ব-মোড়ল আমেরিকার ভূমিকা আরও ন্যক্কারজনক। এরা গাজা সমস্যা সমাধানের নামে ইসরাইলি নেকড়েদেরকে গাজার নিরস্ত্র মুসলমানদের উপর লেলিয়ে দিয়েছে। তাদের হিংস্র থাবা থেকে নিষ্পাপ শিশু, অবলা নারী আর বয়োবৃদ্ধ কেউই নিরাপদ নয়।
নেতৃদ্বয় ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, বিশ্ববাসী যখন ন্যায়বিচারের জন্য সোচ্চার, তখন ইসরাইলের এই রক্তপাতের বিরুদ্ধে মুসলিম-বিশ্বের কার্যকর পদক্ষেপ নিতে না পারা, শুধুই অপরাধকে প্রশ্রয় দিচ্ছে। শিশু, নারী ও বেসামরিক মানুষদের হত্যা কোনোভাবেই আত্মরক্ষা হতে পারে না; বরং এটি যুদ্ধাপরাধ। বিবৃতিতে তারা আরও বলেন, এই নৃশংসতার বিরুদ্ধে বিশ্ব সম্প্রদায়কে এখনই কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। শুধুমাত্র নিন্দা জানানো যথেষ্ট নয়, ইসরাইল ও তার দোসর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে তাদের যুদ্ধাপরাধের জন্য জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। নেতৃদ্বয় বলেন, মধ্যপ্রাচ্য তথা বিশ্বের শান্তি ও স্থিতিশীল জন্য অবৈধ দখলদার জায়নবাদি ইহুদিদেরকে পবিত্র আক্বসা-ভূমি থেকে উৎখাত করে আলাস্কা অঞ্চলে পূনর্বাসন করা দরকার । মানুষের সমাজে বসবাসের কোন শিক্ষা ইসরাইলি নেকড়েদের কখনওই ছিলনা। এরাঁ মধ্যপ্রাচ্যে সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকার প্রক্সি বটে। বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় আরও বলেন, গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে, অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর, অবরোধ প্রত্যাহার এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কঠোর হস্তক্ষেপ জরুরি।
ঢাকা জেলা উত্তর হেফাজতঃ মজলুম গাজাবাসীর পক্ষে দাঁড়ানো এখন বিবেক ও সময়ের দাবি। যারা নীরব, তারা এই হত্যাযজ্ঞের অংশীদার। নেতৃদ্বয় গাজার গণহত্যার বিরুদ্ধে সরকারের বিবৃতি ও কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার দাবী জানিয়ে দেশবাসীকে রাজপথে নেমে আসার আহবান জানান হেফাজতে ইসলাম ঢাকা নেতৃবৃন্দ। যুদ্ধবিরতির চুক্তি ভঙ্গ করে সাহরীর সময় ফিলিস্তীনের গাজায় মজলুম মুসলমানদের উপর সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ইসরাঈলের নৃশংস হামলায় চার শতাধিক নারী শিশু হত্যা এবং ভারতে হোলি উৎসবের নামে উগ্র হিন্দুদের দ্বারা মুসলমানদের ওপর বর্বরোচিত হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন হেফাজত ঢাকা জেলা উত্তর নেতৃবৃন্দ। গতকাল রমজান আশুলিয়ার এলাহী কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত ইফতার পূর্ব আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ইসরাইলের সন্ত্রাসী বাহিনী যুদ্ধবিরতির চুক্তি ভঙ্গ করে সাহরীর সময় ফিলিস্তীনের গাজা ভূ-খ-ের ওপর স্মরণকালের ভয়াবহ হামলা চালিয়ে চার শতাধিক মুসলিম নারী পুরুষকে হত্যা করেছে। তাদের এই নির্মম ও বর্বর হত্যাকা- শতাব্দীর সকল রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। গোটা ফিলিস্তীনকে ধ্বংসস্তুপ ও গণকবরে পরিণত করেছে তারা।
এছাড়া সম্প্রতি লাউড স্পিকারে আজান দেওয়ায় ভারতে ইমামের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। হোলি উৎসবের নামে মুসলিমদের নামাজ আদায় না করতে দেওয়ার ঘোষণা হয়েছে। রোজাদার মুসলিমদের পথ আটকে হোলির রঙ মাখিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ইসরাইল ভারতের উগ্রবাদী হিন্দুদের বর্বর এই হত্যাযজ্ঞ অবিলম্বে বন্ধ করার জন্য মুসলিম বিশ্বের ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদ প্রতিরোধ জরুরি। ওআইসির অন্তর্ভুক্ত রাষ্ট্রগুলো সম্মিলিত সামরিক বাহিনী গঠন করে মজলুম মুসলমানের পাশে দাঁড়ানোর বিকল্প নাই। আল্লাহ তায়ালা মুসলিম নেতৃবৃন্দকে সুমতি দান করুন। হেফাজত ঢাকা জেলা উত্তরের সভাপতি হাফেজ মাওলানা আলী আকবর কাসেমীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর মাওলানা মুহিউদ্দিন রব্বানী। ঢাকা জেলা উত্তরের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আলী আজমের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন, শায়খুল হাদীস মাওলানা আশিকুর রহমান কাসেমী, মাওলানা খুরশিদ আলম কাসেমী, সাভার উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব কফিল উদ্দিন, আশুলিয়ার ধামসোনা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর মিয়া, মাওলানা আব্দুল মান্নান পাটোয়ারী, মাওলানা আবু জাফর কাসেমী, মাওলানা মাহফুজুর রহমান, মাওলানা আশরাফ আলী, মুফতি আমিনুল ইসলাম কাসেমী, মুফতি নাজমুল হাসান বিন নূরী,মুফতি মাহফুজ হায়দার কাসেমী, মুফতি আলী আশরাফ তৈয়ব, মাওলানা মাহমুদুল কবির মুনীর, মাওলানা বাহাউদ্দীন, মুফতি আলী আকরাম, মুফতি সুলতান মাহমুদ, মুফতি আবদুল্লাহ ফিরোজী।
বাংলাদেশ মুসলিম সমাজঃ ফিলিস্তিনি গাজায় গণহত্যা বন্ধে জাতিসংঘকে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মুসলিম সমাজ। বাংলাদেশ মুসলিম সমাজের উদ্যোগে ইয়াহুদী গোষ্ঠী ইসরাইলি বাহিনী কর্তৃক ফিলিস্তিনের গাজায় নিরস্ত্র মুসলমানদের ওপর গণহত্যার প্রতিবাদে বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে থেকে বিক্ষোভ মিছিল সহকারে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাপ্ত হয়। মিছিল শেষে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বাংলাদেশ মুসলিম সমাজের চেয়ারম্যান মো. মাসুদ হোসেন বলেন, আমার জ্ঞান বুঝ হওয়ার পর থেকে দেখে আসতেছি নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের উপর দখলদারির বাহিনী হামলা করে তাদেরকে হত্যা করে মুসলমানদের প্রথম কাবা আল আকসা মসজিদ দখল করে রেখেছে। দখলদারী বাহিনী গত কয়েক মাস আগেও নিরস্ত্র নিরীহ নিরঅপরাধী ফিলিস্তিনিদের উপর নির্বিবিচারে গণঅত্যাচার চালিয়েছে। তখন কাতার ও তুরস্কসহ কয়েকটি মুসলিম দেশের সহযোগিতায় যুদ্ধ বিরতি হয়েছে।
এই যুদ্ধ বিরতির মাঝে গতকাল আমেরিকার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রত্যক্ষ মদদে ইসরাইলি বাহিনী নিরস্ত্র নিরপরাধী অসহায় ফিলিস্তিনের গাজাবাসীদের উপর নির্বিচারে বিমান হামলা চালিয়ে চার শতাধিক ফিলিস্তিনিদের গণহত্যা করেছে। আমরা অনতিবিলম্বে গাজা এখন হত্যা বন্ধে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর বিরুদ্ধে বিশ্ব নেতাদের ঐক্যবদ্ধভাবে জাতিসংঘের মাধ্যমে বিচারের আওতায় আনার জোর দাবি জানাই। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ সরকারের প্রধান মোহাম্মদ ইউনুস পৃথিবীব্যাপী পরিচিত সম্মানিত ব্যক্তিত্ব। তিনি জাতিসংঘে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে নিন্দা প্রস্তাব জানাবেন ও বিশ্ব নেতাদের ঐক্যবদ্ধভাবে ফিলিস্তিনের গাজায় জনগণের উপর এই গণহত্যার বিচারের ব্যবস্থা করবেন। এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন, ইসলামিক ঐক্যজোটের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা শওকত আমিন, ন্যাপ ভাসানীর মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টির চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মজুমদার, নজর“ল স্মৃতি পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির, বাংলাদেশ লেবার পার্টির দলীয় মুখপাত্র শরিফুল ইসলাম, গণধিকার পরিষদের প্রচার সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশঃ জমিয়তে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মহিউদ্দিন ইকরাম এক বিবৃতিতে বলেন, সন্ত্রাসী ইসরাইল যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা করার পরও ফিলিস্তিনের গাজায় নিরস্ত্র মুসলমানদের উপর হামলা করে ৪০০ বেশি মুসলমানকে শহীদ করেছে। মুসলিম রাষ্ট্রগুলো নীরবতার কারণে ইসরাইল পশুর আচরণ করতে করছে। রমজান মাস মুসলমানদের নিকট একটি পবিত্র মাস। এই মাসে সেহরির সময় হামলা কোন মুসলমান মেনে নিতে পারে না। জুলুম করে পৃথিবীর বুকে কেউ টিকে থাকতে পারেনি। সাধারণ মুসলমানদের যার যার অবস্থান থেকে এই জালেমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা ফরজ হয়ে গেছে। তুমি জাতিসংঘ ও ওআইসি সহ সবাইকে জালেম ইসরাইলকে কঠোর হচ্ছে দমনের আহ্বান জানান। কওমি পরিষদের সভাপতি ও রাজধানী গুলিস্তান পীর ইয়ামেনি জামে মসজিদের খতিব মুফতি ইমরানুল বারী সিরাজী পবিত্র রমজান মাসে সেহরীর সময় সন্ত্রাসী ইসরাইল কর্তৃক ফিলিস্তিনের নিরস্ত্র মুসলমানদেরকে শহীদ করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
খেলাফত মজলিসঃ ফিলিস্তিনের গাজায় গতকাল ইসরাইলী বোমা হামলায় নারী-শিশু সহ অর্ধ সহস্র মানুষ হত্যাকা-ের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে খেলাফত মজলিস। এক যুক্ত বিবৃতিতে খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের বিষফোঁড় ইসরাইল যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে গাজায় গতকাল ভারি বোমা হামলা চালিয়ে অর্ধ সহস্র মানুষকে হত্যা করেছে। নেতৃদ্বয় ইসরাইলি বর্বরতা চিরতরে বন্ধ করতে কার্যকরী উদ্যোগ নেয়ার জন্য জোর দাবি জানান। ইসলামিক মুভমেন্ট বাংলাদেশ ঃ ইসলামিক মুভমেন্ট বাংলাদেশের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খায়রুল আহসান এক বিবৃতিতে বলেন, জঙ্গিবাদী ইসরাইল অবৈধ রাষ্ট্রের জঙ্গি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু একজন সাইকো এবং অস্বাভাবিক মানুষ। তিনি ফিলিস্তিনি মুসলমানদেরকে পাখির মতো মারতে আনন্দ পায়। ইসরাইল একটি অবৈধ রাষ্ট্র, জাতিসংঘে তাকে স্বীকৃতি দেয়নি এবং বিশ্বের কোন মুসলিম রাষ্ট্র ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেয়নি।
তিনি বলেন, মুসলমানরা এই জুলুম নির্যাতন আর সহ্য করতে পারছে না। ফিলিস্তিনের নারী শিশু এবং মানুষগুলো রাস্তায় কাতড়াচ্ছে আর নেতা নিয়াহু মনের খুশিতে হাসছেন। আর তাকে জান প্রাণ দিয়ে সহযোগিতা করে যাচ্ছে তথাকথিত বিশ্বের মোড়ল রাষ্ট্র আমেরিকা। তিনি জাতিসংঘকে জরুরি ভিত্তিতে ইসরাইলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে এবং ফিলিস্তিনি মুসলমানদের প্রাণ বাঁচাতে উদ্যোগ নেয়ার আহবান জানান। তিনি ওআইসিকে জরুরি মিটিং আহ্বান করে সমস্ত মুসলিম বিশ্বকে একত্রিত করার জন্য এবং ইসরাইলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জোর দাবি জানান। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশের তথাকথিত সুশীল সমাজ, বিএনপি, জামায়ত, বুদ্ধিজীবী এবং এনজিও ব্যক্তিরা মুখে কোন এটে বসে আছেন। মনে হচ্ছে এ পৃথিবীতে কিছু ঘটছে না। তারা যেন চোখে কিছু দেখতে পাচ্ছে না। কারণ মুসলমানের রক্ত তাদের কাছে কোন মূল্যই রাখেনা অথচ এই দেশে সামান্য কিছু হলেই তারা বিদেশিদের স্বার্থে এই দেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। কিন্তু আজকে তারা ফিলিস্তিনের বিষয়ে কোন কথাই বলছে না।
ইসলামী ঐক্যজোটঃ ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি অ্যাডভোকেট মাওলানা আব্দুর রকিব গাজায় ইসরাইলি বর্বরোচিত হত্যাযজ্ঞের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের মুসলিম রাষ্ট্রগুলোকে ইসরাইলের বিরুদ্ধে একত্রিত হয়ে সামাজিক, বাণিজ্যিক এবং সামরিকভাবে জরুরি ব্যবস্থা নিতে হবে। তিনি আন্তর্জাতিক আদালতের কাছে জঙ্গি রাষ্ট্র ইসরাইল এবং নেতা নিয়াহুসহ তার সহযোগীদের দ্রুত বিচার করার জন্য আহ্বান জানান। তিনি বলেন, রোজাদার মুসলিম নরী নারী হত্যাযজ্ঞের পরিণাম শুভ হবে না। গোটা মুসলিম উম্মাহ একদিন সন্ত্রাসী ইসরাইলকে দাঁতভাঙ্গা জবাব দিবে ইনশাআল্লাহ ।
আপনার মতামত লিখুন :