বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা শেষ হলো


Sarsa Barta প্রকাশের সময় : এপ্রিল ১৪, ২০২৫, ১১:১৬ পূর্বাহ্ণ /
বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা শেষ হলো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে সকাল ৯টায় শুরু হয় ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’-ছবি : সংগৃহীত

এটি শাহবাগ মোড়, টিএসসি, শহীদ মিনার, শারীরিক শিক্ষাকেন্দ্র ও দোয়েল চত্বর হয়ে বাংলা একাডেমির সামনের রাস্তা দিয়ে পুনরায় চারুকলা অনুষদে গিয়ে শেষ হয়।

পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’ প্রতিপাদ্য নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হওয়া বর্ণাঢ্য বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা শেষ হয়েছে। সোমবার সকাল ৯টায় শুরু হয়ে এটি ১০টা ৩০ মিনিটে চারুকলা অনুষদের সামনেই এসে সমাপ্ত হয়।

শোভাযাত্রাটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে শুরু হয়। এটি শাহবাগ মোড়, টিএসসি, শহীদ মিনার, শারীরিক শিক্ষাকেন্দ্র ও দোয়েল চত্বর হয়ে বাংলা একাডেমির সামনের রাস্তা দিয়ে পুনরায় চারুকলা অনুষদে গিয়ে শেষ হয়।

শোভাযাত্রায় যোগ দেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খানসহ বিশিষ্টিজনেরা। এছাড়া শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছেন চারুকলার শিক্ষক-শিক্ষার্থী, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, সাংস্কৃতিক সংগঠনের কর্মী এবং নানা বয়সী মানুষ।

ভোরের আলো ফুটতেই জনস্রোত জমতে শুরু করে চারুকলায়। রমনা, টিএসসি, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ আশপাশের এলাকায়ও ছিল মানুষের ঢল।

শোভাযাত্রায় মুখোশ, পাপেট, বাঁশের তৈরি বাঘ, পাখি, মাছসহ নানা বিশালাকৃতির শিল্পকর্মের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে গ্রামীণ জীবন ও প্রকৃতিনির্ভর মানুষের সংগ্রামের রূপ।

শুধু ঢাকা নয়, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেও মানুষ এসেছেন এই বর্ণিল শোভাযাত্রায় অংশ নিতে। হলুদ, লাল, সবুজ ও কমলা রঙের পোশাকে সেজেছেন সবাই। নারীদের মাথায় ফুলের মালা, হাতে রঙিন চুড়ি এবং শিশুদের মুখে উচ্ছ্বাস-সব মিলিয়ে ছিল প্রাণবন্ত পরিবেশ। ছোট ছোট মুখোশ পরে এবং হাতে পতাকা নিয়ে আনন্দ মিছিলে অংশ নেয় তারা।

বর্ষবরণ উপলক্ষ্যে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বাণী দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

এদিকে, পহেলা বৈশাখের আনন্দ শোভাযাত্রায় নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রশাসন সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। নিরাপত্তার স্বার্থে এ বছর যেখান-সেখান থেকে শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়া যাবে না বলে নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।

বাংলা বর্ষবরণ উৎসবকে কেন্দ্র করে ঢাকা মহানগরকে ২১টি সেক্টরে ভাগ করে পর্যাপ্ত সংখ্যক পোশাকধারী ও সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্য মোতায়ন করা হয়েছে। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাস্থলগুলো ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করা হচ্ছে। রমনা পার্ক ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ মোট ২১টি স্থানে ব্যারিকেড রয়েছে।

প্রতিটি অনুষ্ঠানস্থলের প্রবেশমুখে আর্চওয়ে ও হ্যান্ড মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশি করা হচ্ছে। অনুষ্ঠানস্থলে যাওয়া ও শোভাযাত্রার রোড সমূহ সিসি ক্যামেরাসহ স্থির ও ভিডিও ক্যামেরা দ্বারা ও ড্রোনের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে। অনুষ্ঠানের চারপাশে পর্যাপ্ত পরিমাণ ফুট পেট্রোল রয়েছে। সিটিটিসি, সোয়াত ছাড়াও পর্যাপ্ত সংখ্যক পোশাকধারী ও সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছে।